বৃহস্পতিবার, ৭ সেপ্টেম্বর, ২০২৩ ০০:০০ টা

আবারও সেই ব্যাটিং ব্যর্থতা

ক্রীড়া প্রতিবেদক

আবারও সেই ব্যাটিং ব্যর্থতা

লাহোরের উইকেট সাকিবদের কাছে বেশ পরিচিত। লিগ পর্বে নিজেদের সর্বশেষ ম্যাচে আফগানিস্তানের বিপক্ষে এ মাঠেই খেলেছে। উইকেটের আচরণ শতভাগ বুঝে জয় নিয়ে মাঠ ছেড়েছিলেন টাইগাররা। বিশ্বসেরা স্পিনার রশিদ খান, মুজিব উর রেহমানদের বিপক্ষে জয় আত্মবিশ্বাসী করে তুলেছিল বাংলাদেশকে। আত্মবিশ্বাসী টাইগাররা স্বপ্ন নিয়ে গতকাল খেলতে নামেন পাকিস্তানের বিপক্ষে। কিন্তু সুপার ফোরের প্রথম ম্যাচে দেখা গেল টাইগার ব্যাটিংয়ের সেই পুরনো চিত্র, ব্যাটিং ব্যর্থতা। নতুন বলে দায়িত্ব নিয়ে ব্যাটিং করতে শতভাগ ব্যর্থ ব্যাটাররা। শুধু তাই নয়, বরাবরের মতো লেট অর্ডারের অসহায় আত্মসমর্পণ। দুই সিনিয়র ক্রিকেটার সাকিব ও মুশফিকের জোড়া হাফসেঞ্চুরি এবং শতরানের জুটি সত্ত্বেও পাকিস্তানের কাছে ৭ উইকেটের বড় ব্যবধানে হেরেছে বাংলাদেশ। সুপার ফোরে বাংলাদেশের পরের দুই ম্যাচ কলম্বোয়। ৯ সেপ্টেম্বর স্বাগতিক শ্রীলঙ্কা এবং ১৫ সেপ্টেম্বর ভারতের বিপক্ষে ম্যাচ।      

আসরে নিজেদের প্রথম ম্যাচে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে ৫ উইকেটে হেরেছিলেন টাইগাররা। ব্যাটিং ব্যর্থতায় ম্যাচটিতে সাকিবদের স্কোর ছিল ১৬৪। সতীর্থদের ব্যাটিং ব্যর্থতায় লড়াকু ব্যাটিং করে ৮৯ রান করেছিলেন নাজমুল হোসেন শান্ত। আফগানদের বিপক্ষে জীবনবাজির ম্যাচে দারুণ ব্যাটিংয়ে ৮৯ রানে ম্যাচ জিতে জায়গা নেয় সুপার ফোরে। ওই ম্যাচে জোড়া সেঞ্চুরি করেন মেকশিফট ওপেনার মেহেদী মিরাজ ও শান্ত। মিরাজ রিটায়ার্ড হার্ট হন ১১২ রানে এবং শান্ত করেন ১০৪ রান। দুজনে তৃতীয় উইকেট জুটিতে যোগ করেন অপরাজিত ১৯৪ রান। গতকাল লাহোরে টস জিতে ব্যাটিংয়ে নেমে ৪৭ রানে ৪ উইকেট হারিয়ে বিপর্যয়ে পড়ে সাকিব বাহিনী। এরপর হাল ধরেন দুই অভিজ্ঞ সাকিব ও মুশফিক। পঞ্চম উইকেট জুটিতে ১০০ রান যোগ করেন দুজনে মাত্র ২০ ওভারে। সাকিব ২৩৮ ওয়ানডে ক্যারিয়ারে ৫৪তম হাফসেঞ্চুরি করেন। টাইগার অধিনায়ক ৫৩ রানের ইনিংসটি খেলেন ৫৭ বলে ৭ চারে। ২৫৪ ওয়ানডে ক্যারিয়ারে মুশফিকের হাফসেঞ্চুরিটি ৪৬তম। ৬৪ রানের ইনিংস খেলেন ৮৭ বলে ৫ চারে। দুই ব্যাটার ছাড়া আর কোনো ব্যাটার প্রতিরোধ গড়তে পারেননি। পুরোপুরি ব্যর্থ তৌহিদ হৃদয়। ছন্দে থাকা এই ব্যাটার ৩ ম্যাচে যথাক্রমে রান করেছেন ২০, ০ ও ২। শাহিন আফ্রিদি, নাসিম, হারিস ও ফাহিমের সাঁড়াশি আক্রমণে বাংলাদেশ অলআউট হয় ৩৮.৪ ওভারে ১৯৩ রানে। লেট অর্ডারে সাকিব বাহিনী শেষ ৪ উইকেট হারায় ৮ বলে মাত্র ৩ রানে। ১৯৪ রানের টার্গেট ছুড়ে টাইগার বোলাররা দারুণ বোরিং করেছেন। যদিও ব্যবধান ৭ উইকেট এবং বল বাকি ছিল ৬৩টি। পাকিস্তানকে জয় উপহার দিতে ব্যাট হাতে সামনে থেকে নেতৃত্ব দেন ওপেনার ইমাম উল হক। তিনি ৮৪ বলে ৫ চার ও ৪ ছক্কায় ৭৮ এবং মোহাম্মদ রিজওয়ান ৭৯ বলে ৭ চার ও এক ছক্কায় ৬৩ রানের অপরাজিত ইনিংস খেলেন।

সর্বশেষ খবর