শুক্রবার, ৮ সেপ্টেম্বর, ২০২৩ ০০:০০ টা

আমাকেও জেলে পাঠাতে পারে

নিজস্ব প্রতিবেদক

আমাকেও জেলে পাঠাতে পারে

বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, নির্বাচনের আগে বিএনপিসহ বিরোধী দলের নেতা-কর্মীদের বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলায় সাজা দিয়ে রাজনীতির মাঠ শূন্য করার চক্রান্ত করছে সরকার। এক দুই মাসের মধ্যে আমাকেও সাজা দিয়ে জেলে পাঠানো হতে পারে। ইতোমধ্যে খালেদা জিয়া, তারেক রহমান, ডা. জোবাইদা রহমানসহ বিএনপির শীর্ষনেতাদের সাজা দেওয়া হয়েছে। জেলা নেতাদের বিরুদ্ধেও পুরনো মামলা সচল করে দ্রুত সাজা দেওয়া হচ্ছে। কয়েকজনকে মৃত্যুদণ্ডের আদেশও দেওয়া হয়েছে।

গতকাল বিকালে রাজধানীর নয়াপল্টনে ঢাকা মহানগর দক্ষিণ বিএনপির আয়োজনে বিএনপি চেয়ারপারসন ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়া এবং ঢাকা মহানগর দক্ষিণ বিএনপির সদস্যসচিব রফিকুল আলম মজনুর সুস্থতা কামনায় দোয়া মাহফিলে তিনি এসব কথা বলেন। মির্জা ফখরুল বলেন, সরকার আদালতকে ব্যবহার করে বিচারের নামে প্রহসন করছে। তারা অবৈধ ক্ষমতাকে স্থায়ী করতে আবারও পাতানো নির্বাচন করতে হীন চক্রান্তে লিপ্ত হয়েছে। অবাধ গণতন্ত্র ও ভোটাধিকারের জন্য গণতন্ত্রকামী রাষ্ট্রগুলো যখন স্যাংশনসহ ভিসানীতি আরোপ করছে, দেশের মানুষ যখন নিজের অধিকার আদায়ে জেগে উঠছে, বিশেষ করে ঢাকার রাজপথ যখন জনগণ দখল নিতে শুরু করেছে, তখনই আবার শুরু হয়েছে দমননীতি। শুরু হয়েছে গায়েবি মামলা। যে কর্মীকে গতকাল আটক করা হয়েছে, তাকে আজকের একটি সহিংসতার মামলায় আসামি করা হচ্ছে। এগুলো করে সরকার এ দেশ থেকে বিরোধী দল নির্মূল করতে চায়। বিএনপি মহাসচিব বলেন, প্রতিদিন হাজারো নেতা-কর্মীকে হাজিরা দিতে আদালতে আসতে হয়। নিয়মিত হাজিরা দিলেও তাদের আটক করা হচ্ছে।

এগুলো করে ক্ষমতায় টিকে থাকা যাবে না, মানুষ আজ ঘুরে দাঁড়িয়েছে। এ সরকারের অধীনে কোনো নির্বাচন হবে না। জাতীয় পার্টিও বলছে, বর্তমান সরকারের অধীনে কোনো সুষ্ঠু নির্বাচন সম্ভব নয়। সবকিছু হারিয়ে আওয়ামী লীগ এখন অপপ্রচারে লিপ্ত হয়েছে।

বিএনপি মহাসচিব বলেন, অল্পদিনের মধ্যেই চূড়ান্ত আন্দোলন শুরু হচ্ছে। আর এ আন্দোলনে ঢাকা মহানগর বিএনপিকেই অগ্রণী ভূমিকা পালন করতে হবে।

আবদুস সালামের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে খায়রুল কবির খোকন, ফজলুল হক মিলন, মীর সরাফত আলী সপু, শামীমুর রহমান শামীম প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।

এই রকম আরও টপিক

সর্বশেষ খবর