রবিবার, ১০ সেপ্টেম্বর, ২০২৩ ০০:০০ টা

হাসপাতালে এক মাস, উন্নতি নেই খালেদা জিয়ার স্বাস্থ্যের

নিজস্ব প্রতিবেদক

হাসপাতালে এক মাস, উন্নতি নেই খালেদা জিয়ার স্বাস্থ্যের

রাজধানীর এভারকেয়ার হাসপাতালে চিকিৎসাধীন বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার ১ মাস পূর্ণ হলো। নিবিড় পর্যবেক্ষণে আছেন তিনি। তাঁর শারীরিক অবস্থা আশঙ্কাজনক। কোনো উন্নতি নেই। লিভার ও কিডনি সমস্যা কিছুতেই নিয়ন্ত্রণে আনা যাচ্ছে না। হৃদযন্ত্রের সমস্যাও জটিল হচ্ছে। আছে উচ্চরক্তচাপের সমস্যা। তাঁর শারীরিক অবস্থার এই ক্রমাবনতিতে মেডিকেল বোর্ডের সদস্যরাও শঙ্কিত।

বিএনপি চেয়ারপারসনের ব্যক্তিগত চিকিৎসক ও দলের ভাইস চেয়ারম্যান অধ্যাপক ডা. এজেডএম জাহিদ হোসেন বাংলাদেশ প্রতিদিনকে বলেন, বাংলাদেশে সম্ভাব্য যা চিকিৎসা আছে, মেডিকেল বোর্ডের চিকিৎসকরা তার সর্বোচ্চটাই বেগম খালেদা জিয়াকে দিয়েছেন এবং দিচ্ছেন। এখন তাঁদের আর বেশি কিছু করার নেই। সে জন্য তাঁর চিকিৎসায় গঠিত মেডিকেল বোর্ড বারবার তাঁকে উন্নত চিকিৎসার জন্য বিদেশে পাঠানোর পরামর্শ দিয়ে যাচ্ছে। কারণ এই পর্যায়ে তাঁর একমাত্র চিকিৎসা হচ্ছে- বিদেশে কোনো ‘মাল্টি ডিসিপ্লিনারি অ্যাডভান্স হেলথ সেন্টারে’ নিয়ে চিকিৎসা প্রদান। সৌদি আরবের রিয়াদে (কিং ফয়সাল হাসপাতাল), যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য, জার্মানসহ কয়েকটি দেশে এই অ্যাডভান্স হেলথ সেন্টার রয়েছে। এগুলোর যে কোনো একটিতে নিয়ে তাঁর চিকিৎসা করানো যেতে পারে। মেডিকেল বোর্ডের একজন সদস্য জানিয়েছেন, লিভারের জটিলতা বেড়ে যাওয়ায় সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়ার পেটে পানি জমে যাচ্ছে। তাঁর কিডনি ও হৃদযন্ত্রের জটিলতার ক্ষেত্রে উন্নতির কোনো লক্ষণ দেখা যাচ্ছে না। ওষুধপত্র যা দেওয়া হচ্ছে- সেগুলোর কাজের গতিও মন্থর। বর্তমানে তাঁকে এভারকেয়ার হাসপাতালের ‘নিবিড় পর্যবেক্ষণে’ রাখা হয়েছে। মেডিকেল বোর্ড প্রতিদিন সকাল, দুপুর ও রাতে- এই তিন দফায় বৈঠক করে তাঁর স্বাস্থ্যের সার্বিক বিষয় পর্যালোচনা করে চিকিৎসা দিচ্ছেন। এসব বৈঠকে লন্ডন থেকে তাঁর পুত্রবধূ ডা. জোবায়দা রহমানসহ অস্ট্রেলিয়া, যুক্তরাষ্ট্র ও যুক্তরাজ্য থেকেও বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকরা নিয়মিত যোগ দিচ্ছেন।

৭৮ বছর বয়সী সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়ার লিভার সিরোসিস ছাড়াও কিডনি জটিলতা, হৃদরোগ, ডায়াবেটিস, আর্থ্রাইটিস, উচ্চ রক্তচাপসহ নানা রোগে ভুগছেন। বর্তমানে তাঁর অবস্থা আশঙ্কাজনক। এর আগেও তিনি কয়েক দফা এভারকেয়ার হাসপাতালে চিকিৎসা নিয়েছেন। বিএনপির পক্ষ থেকে তাঁকে বিদেশে ‘মাল্টি ডিসিপ্লিনারি অ্যাডভান্স হেলথ সেন্টারে’ নিয়ে চিকিৎসার জন্য দাবি বারবার করা হলেও সরকারের অনুমতি না পাওয়ায় তা সম্ভব হচ্ছে না।

সর্বশেষ খবর