রবিবার, ১০ সেপ্টেম্বর, ২০২৩ ০০:০০ টা

আরেকটি ম্যাচ বাকি সাকিবদের

এশিয়া কাপ তাদের জন্য এখন শুধু আনুষ্ঠানিকতা

ক্রীড়া প্রতিবেদক

আরেকটি ম্যাচ বাকি সাকিবদের

হাসানের এই হাসি দিন শেষে আর থাকেনি

প্রথমে পাকিস্তান, এরপর শ্রীলঙ্কা। সুপার ফোরে টানা দুই ম্যাচে হার। পরপর দুই হারে কার্যত এশিয়া কাপ মিশন শেষ হয়ে গেছে বাংলাদেশের। যদিও সাকিবদের একটি ম্যাচ বাকি। ১৫ সেপ্টেম্বর শুক্রবার ভারতের বিপক্ষে। রোহিত শর্মা, বিরাট কোহলিদের বিপক্ষে ম্যাচটি এখন অনেকটাই আনুষ্ঠানিকতায় পরিণত হয়েছে। গতকাল কলম্বোর খেত্তারামার প্রেমদাসা স্টেডিয়ামে ‘জীবন বাজির’ ম্যাচে বাংলাদেশ হেরেছে ২১ রানে। সুপার ফোরে প্রথম ম্যাচে টাইগাররা ৭ উইকেটে হেরেছিল পাকিস্তানের কাছে।

২৫৮ রানের টার্গেট। ৩০০ রান তাড়া করে জয়ের রেকর্ড রয়েছে টাইগারদের। সেখানে ওভার প্রতি ৫ রানের সামান্য ওপরে তাড়া করে জয় অসম্ভব কিছু নয়। তৌহিদ হৃদয় ছাড়া দলের অপরাপর ব্যাটাররা দায়িত্বহীন ব্যাটিং করায় জয় পায়নি। ধীরগতির উইকেটে স্বাগতিকদের নিয়ন্ত্রিত বোলিংয়ে টাইগার ব্যাটাররা নিয়মিত উইকেট হারিয়ে ৪৮.১ ওভারে ২৩৬ রানে অলআউট হয়। দুই ওপেনার মোহাম্মদ নাঈম ও মেহেদি হাসান মিরাজ ৫৫ রানের ভিত দেন। কিন্তু পরের ব্যাটাররা সেই সুবিধা কাজে লাগাতে পারেননি। ৮৩ রানের মধ্যে সাজঘরে ফেরেন দুই ওপেনার, সাকিব ও লিটন। এরপর পঞ্চম উইকেটে জুটি বাঁধেন মুশফিক ও তৌহিদ। দুজনে ১৯.৫ ওভারে ৭২ রান যোগ করেন। মুশফিক সাজঘরে ফেরেন ব্যক্তিগত ২৯ রানে। এরপর একাই টানতে থাকেন আগের তিন ম্যাচে ব্যর্থ তৌহিদ। কিন্তু তিনিও দলীয় ৪৪ ওভারের দ্বিতীয় বলে লেগ বিফোর হন। তার আগে খেলেন ৯৭ বলে ৭ চার ও এক ছক্কায় ৮২ রান করেন এ ডান হাতি ব্যাটার। অবশ্য রিভিউ নিয়েছিলেন তিনি। এটা তার ১৩ ওয়ানডে ক্যারিয়ারে চার নম্বর হাফসেঞ্চুরি। স্বাগতিক দুই স্পিনার দাসুন শানাকা ও মাহিশ থিকশানা ধসিয়ে দেন টাইগারদের ব্যাটিং দৃঢ়তা। দাসুন, থিকশানা ও পাথিরানা ৩টি করে উইকেট নেন।

প্রেমদাসা স্টেডিয়ামের ম্যাচগুলো নিয়মিতই ৩০০ ঊর্ধ্ব স্কোর হচ্ছে। তিনশ ঊর্ধ্ব স্কোর আছে ২৩ ইনিংসে। সর্বোচ্চ ৫ উইকেটে ৩৭৫, শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে ২০১৭ সালে করেছিল। বাংলাদেশের বিপক্ষে শ্রীলঙ্কার সর্বোচ্চ স্কোর ৮ উইকেটে ৩১৪ রান ৫০ ওভারে। এখানে কোনো জয় নেই টাইগারদের। ২০০২ সালে শ্রীলঙ্কাকে ৬ উইকেটে ২৫৮ রানে আটকে রেখেও ৫৮ রানে হেরেছিল টাইগাররা। গতকালও টার্গেট ছিল ২৫৮ রান। এবার হেরেছে ২১ রানে। গতকাল জীবন বাজির ম্যাচে টস জিতে স্বাগতিকদের ব্যাটিংয়ে পাঠান টাইগার অধিনায়ক সাকিব। তিন পেসার তাসকিন আহমেদ, শরিফুল ইসলাম ও হাসান মাহমুদ এবং তিন স্পিনার নাসুম আহমেদ, সাকিব ও মেহেদি হাসান মিরাজের নিয়ন্ত্রিত বোলিংয়ে ৫০ ওভারে ৯ উইকেটে ২৫৭ রান করে। তাসকিন ৬২ রানে ৩টি, শরিফুল ৪৮ রানে ২টি এবং হাসান ৫৭ রানে নেন ৩ উইকেট। ম্যাচ সেরা সাদিরা সামারাবিক্রমা ৯৩ রানের ইনিংসটি খেলেন ৭২ বলে ৮ চার ও ২ ছক্কায়। উইকেটরক্ষক ব্যাটার কুশল মেন্ডিস ৫০ রান করেন ৭৩ বলে ৬ চার ও এক ছক্কায়।

এই রকম আরও টপিক

সর্বশেষ খবর