সোমবার, ১১ সেপ্টেম্বর, ২০২৩ ০০:০০ টা

আজীবন স্প্লিন্টার বয়ে বেড়াতে হবে তাবাসসুমকে

আওয়ামী লীগের দুই পক্ষের গোলাগুলি

সাখাওয়াত কাওসার

শরীরে আজীবন স্প্লিন্টার বয়ে বেড়াতে হবে মুন্সীগঞ্জের সেই সাত মাস বয়সী শিশু তাবাসসুম বিন নূরকে। গত বুধবার মুন্সীগঞ্জের শোলারচরে আধিপত্য বিস্তার নিয়ে আওয়ামী লীগের দুই পক্ষের সংঘর্ষে গুলিবিদ্ধ শিশু তাবাসসুমকে গতকাল ছাড়পত্র দিয়েছে ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। অন্যদিকে, গতকাল পর্যন্ত পুলিশ বের করতে পারেনি কার ছোড়া গুলিতে এই কোমলমতি শিশুটি গুলিবিদ্ধ হয়েছে এবং সেটি বৈধ নাকি অবৈধ অস্ত্র ছিল। মুন্সীগঞ্জের পুলিশ সুপার আসলাম খান বাংলাদেশ প্রতিদিনকে বলেন, দীর্ঘদিন ধরে সাবেক এবং বর্তমান মেম্বার দুই গ্রুপের মধ্যে বিরোধের জেরে এ সংঘর্ষ। আমরা এখনো নিশ্চিত হতে পারিনি অস্ত্রটি বৈধ নাকি অবৈধ। বিষয়টি অত্যন্ত গুরুত্বের সঙ্গে তদন্ত করা হচ্ছে। তবে শিশুটির অবস্থা স্থিতিশীল বলে আমরা জানতে পেরেছি।  জানা গেছে, আধিপত্য বিস্তার নিয়ে আধারা ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক সুরুজ মিয়া ও দুই নম্বর ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সভাপতি হাজি আলী হোসেনের মধ্যে দীর্ঘদিন বিরোধ চলছিল। বুধবার সন্ধ্যার কিছুক্ষণ আগে স্থানীয় চরডুমুরিয়া বাজার থেকে আলী হোসেন পক্ষের জয় মস্তান, জহিরুল ও জুয়েল সোলারচর গ্রামে নিজ বাড়িতে যাচ্ছিলেন। সোলারচর গ্রামে পৌঁছানোর পর সেখানে আগে থেকে ওঁৎপেতে থাকা সুরুজ মিয়ার পক্ষের আহাদুল, মনাসহ তিন-চারজনের একটি দল ওই তিনজনকে গাড়ি থেকে নামিয়ে এলোপাতাড়ি মারধর করেন। এ সময় জয় ও জহিরুল পালানোর চেষ্টা করলে আহাদুল, মনারা এলোপাতাড়ি গুলি ছোড়েন। এতে গুলিবিদ্ধ হয়ে গুরুতর আহত হন জয় মস্তান, জহিরুল, জুয়েল, পথচারী সালাউদ্দিন এবং সাত মাস বয়সী শিশু তাবাসসুম। তাকে প্রথমে মুন্সীগঞ্জ সদর হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসকরা ঢাকায় নেওয়ার কথা বলেন। তিন ঘণ্টা পর তাকে নিয়ে ঢামেক হাসপাতালে পৌঁছান তাবাসসুমের স্বজনরা। গতকাল পর্যন্ত শিশুটির চিকিৎসা চলে ক্যাজুয়ালটির অধীনে ২০৩ নম্বর শিশু ওয়ার্ডে। টানা ৭২ ঘণ্টা পর্যবেক্ষণে রাখা হয় শিশুটিকে। মুন্সীগঞ্জ সদর উপজেলার সৈয়দপুর গ্রামের সেনেটারি ব্যবসায়ী বাবুল ব্যাপারীর মেয়ে তাবাসসুম। চিকিৎসকদের বরাত দিয়ে তাবাসসুমের মামা রাজা হোসেন বলেন, নতুন করে পরীক্ষা-নিরীক্ষার পর চিকিৎসকরা বলেছেন এত কম বয়সী বাচ্চার অপারেশন করা ঠিক হবে না। শরীরের অবস্থা এখন ভালো আছে। স্পিøন্টারগুলো ভিতরেই থাকবে, কোনো সমস্যা হবে না। কোনোরকম সমস্যা হলে চিকিৎসকরা আবার তাবাসসুমকে নিয়ে আসার পরামর্শ দিয়েছেন। শনিবার ঢামেকের চিকিৎসক মো. আলাউদ্দিন বলেছিলেন, শিশুটির অবস্থা এখন স্থিতিশীল। শিশুটির শরীরের দুই জায়গায় গুলির স্পিøন্টার রয়েছে। 

 

সর্বশেষ খবর