মঙ্গলবার, ১২ সেপ্টেম্বর, ২০২৩ ০০:০০ টা

শেখ হাসিনার নেতৃত্বের সমর্থনে বিশ্বনেতারা : কাদের

নিজস্ব প্রতিবেদক

আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, প্রধানমন্ত্রীর দূরদর্শী পদক্ষেপ ও গৃহীত নীতির কারণে গত দেড় দশকে বাংলাদেশ নজিরবিহীন সফলতা অর্জন করেছে। সফলভাবে রাষ্ট্র পরিচালনায় অসাধারণ যোগ্যতা ও দক্ষতার উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত প্রধানমন্ত্রীর প্রতি বিশ্বনেতাদের সম্মানসূচক অভিব্যক্তিতে তারই প্রতিফলন ঘটেছে। যার মধ্য দিয়ে বিশ্বনেতারা শেখ হাসিনার সুদক্ষ নেতৃত্বের প্রতি সমর্থন জানিয়েছেন। গতকাল এক বিবৃতিতে   তিনি এ কথা বলেন। বিবৃতিতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের তোলা সেলফি নিয়ে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের বক্তব্যকে ‘শিষ্টাচারবিহীন ও অমার্জিত’ উল্লেখ করে নিন্দা ও প্রতিবাদ জানান তিনি। ওবায়দুল কাদের বলেন, মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর যে বক্তব্য দিয়েছেন তা শুভবোধসম্পন্ন কোনো রাজনৈতিক নেতৃত্বের কাছ থেকে জাতি প্রত্যাশা করে না। তিনি বলেন, সদস্য না হয়েও বিশ্বের শক্তিধর রাষ্ট্রগুলো নিয়ে গঠিত জি২০ সম্মেলনে আমন্ত্রিত অতিথি হিসেবে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার উপস্থিতি বিশ্বনেতাদের মনোযোগ আকর্ষণ করেছে। ফ্রান্সের রাষ্ট্রপতি ইমানুয়েল ম্যাক্রোঁসহ বিশ্বনেতারা শেখ হাসিনার সুযোগ্য নেতৃত্বের প্রশংসা করেছেন। আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক বলেন, শুধু মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্টই নন, অন্য বিশ্বনেতারাও প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে উষ্ণ মনোভাব নিয়ে কুশলবিনিময় করেছেন, যার ছবি ও সংবাদ গণমাধ্যমে প্রকাশিত হয়েছে। দেশপ্রেমিক কোনো ব্যক্তি কিংবা রাজনৈতিক সংগঠন দেশকে বন্ধুহীন করার আকাক্সক্ষা লালন-পালন করতে পারে না। কিন্তু বিএনপি এ হীন ষড়যন্ত্রে লিপ্ত থেকে দীর্ঘদিন ধরে দেশবিরোধী কর্মকাণ্ডের মাধ্যমে জনগণকে বিভ্রান্ত করার অপচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। ওবায়দুল কাদের বলেন, আওয়ামী লীগ বিশ্বাস করে জনগণই ক্ষমতার উৎস ও রাজনৈতিক সংগঠনের প্রধান শক্তি। মার্কিন প্রেসিডেন্টের তোলা সেলফি আওয়ামী লীগকে ক্ষমতায় আনবে এমনটি নয়, তবে তা মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে বাংলাদেশের সুসম্পর্কের ইঙ্গিত বহন করে। বর্তমান সরকারের কোনো বন্ধু নেই বলে বিএনপি নেতারা এতদিন ধরে যে অপপ্রচার চালিয়ে আসছে, তার যথার্থ জবাব এ সেলফিতেই প্রতিফলিত হয়েছে। তিনি বলেন, দারিদ্র্যের হার ৪১ শতাংশ থেকে ১৮.৭ শতাংশে এবং অতি দারিদ্র্যের হার ২৫ শতাংশ থেকে ৫.৬ শতাংশে নেমে এসেছে। দেশের শতকরা ২৯ ভাগ মানুষ বিভিন্ন ভাতার আওতায় এসেছে। সারা দেশে ১০ লাখের বেশি ভূমিহীন ও গৃহহীন পরিবারকে বিনামূল্যে গৃহ প্রদান করা হয়েছে। পদ্মা সেতু, এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়েসহ একের পর এক মেগা প্রকল্প বাস্তবায়ন করা হয়েছে। প্রধানমন্ত্রীর সুদক্ষ নেতৃত্বে ধারাবাহিক উন্নয়ন ও অগ্রগতির মধ্য দিয়ে বিশ্বসভায় বাংলাদেশ আজ একটি আত্মমর্যাদাশীল রাষ্ট্র হিসেবে প্রতিষ্ঠিত হয়েছে।

 

সর্বশেষ খবর