বুধবার, ১৩ সেপ্টেম্বর, ২০২৩ ০০:০০ টা

নির্বাচন নিয়ে বাইডেনের সঙ্গে আলাপ হয়নি

কূটনৈতিক প্রতিবেদক

নির্বাচন নিয়ে বাইডেনের সঙ্গে আলাপ হয়নি

পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কে আবদুল মোমেন জানিয়েছেন, নয়াদিল্লিতে জি২০ শীর্ষ সম্মেলনের ফাঁকে যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের সঙ্গে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সাক্ষাতে নির্বাচন নিয়ে কোনো আলাপ হয়নি। গতকাল পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে তিনি এ কথা জানান। এ সময় তিনি আরও বলেন, স্যাটেলাইট উৎক্ষেপণে রাশিয়ার দেওয়া প্রস্তাবে সুদের হার বেশি ছিল, ফ্রান্সের প্রস্তাবে সুদের হার কম। নয়াদিল্লিতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের আলাচনার বিষয়ে জানতে চাইলে মোমেন বলেন, খুব ভালো ভালো আলাপ হয়েছে। আমাদের প্রধানমন্ত্রী জো বাইডেনকে বলেছেন, ‘আমি বাবা-মা, ভাইদের হারিয়েছি; পরিবারের সব লোককে হারিয়েছি। এখন বাংলাদেশের জনগণই আমরা পরিবার। তাদের মুখে দুবেলা ভাত, জীবনমানের উন্নয়নের জন্য আমি কাজ করছি। আমার এখন বিরাট পরিবার, ১৭০ মিলিয়নের পরিবার। তাদের আমি সুযোগ-সুবিধা সৃষ্টি করে দিতে চাই। আমাদের স্বপ্ন একটি সুন্দর বাংলাদেশ। আমার একটাই জীবনের কাম্য, আমার দেশবাসীর মঙ্গল করা। শেখ হাসিনার এই বক্তব্যের পরিপ্রেক্ষিতে মার্কিন প্রেসিডেন্ট কী বলেছেন জানতে চাইতে মোমেন বলেন, তিনি (বাইডেন) বলেছেন, আমি জানি। আরেক প্রশ্নের জবাবে মোমেন বলেন, আমরা কখনো চাপের মুখে ছিলাম না। আমরা চাপের মধ্যে নেই। আমরা আগামী অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচনে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। সুতরাং আমরা কোনো চাপের মধ্যে নেই। আপনারা (গণমাধ্যম) বরং চাপের মধ্যে আছেন। আর আপনারা আমাদের চাপের মধ্যে ফেলতে চান। অন্য এক প্রশ্নের জবাবে পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, স্যাটেলাইট উৎক্ষেপণে রাশিয়ার দেওয়া প্রস্তাবে সুদের হার অনেক বেশি ছিল। সে কারণে রাশিয়ার সঙ্গে না হয়ে ফ্রান্সের সঙ্গে স্যাটেলাইট-২ উৎক্ষেপণের চুক্তি হয়েছে। তিনি বলেন, ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট সুসম্পর্ক গড়তে ঢাকায় এসেছেন। তিনি বলেছেন, এখানে আসতে পেরে তিনি খুব খুশি। তিনি স্বীকার করেছেন, ইন্দো প্যাসিফিকসহ অত্র অঞ্চলে শান্তি স্থিতিশীলতা অব্যাহত রাখতে হবে। কেননা এটা খুব গুরুত্বপূর্ণ এলাকা। তারা চাইছেন, ইন্দো প্যাসিফিকে বাংলাদেশসহ এ এলাকার সঙ্গে সম্পর্ক আরও গভীর করতে। ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট জলবায়ু ইস্যুতে আমাদের এক বিলিয়ন ডলার সহায়তা দেবেন বলে জানিয়েছেন। তিনি বলেছেন, টাকা-পয়সা নিয়ে চিন্তা করবেন না, যত লাগবে দেওয়া যাবে।

যুক্তরাষ্ট্রের ভিসা নিয়ে আমাদের কোনো মাথা ব্যথা নেই : পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, যুক্তরাষ্ট্রের ভিসা নিয়ে আমাদের কোনো মাথা ব্যথা নেই।

ভিসা না দিলে সেটা যুক্তরাষ্ট্রের সরকারকে জিজ্ঞাসা করেন। এটা আমাদের বিষয় না। পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে গতকাল ‘স্মার্ট বাংলাদেশ : দ্য ইয়ুথ পার্সপেক্টিভ’ শীর্ষক সেমিনারে তিনি এ কথা বলেন। মার্কিন ভিসানীতি ঘোষণার পর অনেক শিক্ষার্থীর যুক্তরাষ্ট্রে স্কলারশিপ পাওয়ার পরও তাদের ভিসা বাতিল হচ্ছে- এ বিষয়ে মন্ত্রীর দৃষ্টি আকর্ষণ করলে পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, সেটা যুক্তরাষ্ট্রের সরকারকে জিজ্ঞাসা করেন। এটা আমাদের বিষয় না। এটা তাদের মাথা ব্যথা, আমার না। আমাদের অধিকাংশ লোকজন এসব ভিসা-টিসা নিয়ে খুব চিন্তিত নয়। সেমিনারে সাবেক মুখ্যসচিব আবুল কালাম আজাদ বক্তব্য রাখেন।

সর্বশেষ খবর