শুক্রবার, ১৫ সেপ্টেম্বর, ২০২৩ ০০:০০ টা

শ্বাসরুদ্ধকর ম্যাচে ফাইনালে শ্রীলঙ্কা

আসিফ ইকবাল

পরতে পরতে রোমাঞ্চ ছড়ানো ছিল অলিখিত সেমিফাইনালে। ম্যাচটি একবার হেলেছে পাকিস্তানের দিকে। একবার শ্রীলঙ্কার দিকে। শ্বাসরুদ্ধকর ম্যাচটিতে শেষ হাসি হেসেছে শ্রীলঙ্কা। ফাইনাল খেলতে শেষ ওভারে শ্রীলঙ্কার দরকার ছিল ৮ রান। চারিথ আশালঙ্কার প্রত্যয়ী ব্যাটিংয়ে ডেব্যুটেন্ট জামান খানের ওভারে সেই টার্গেট ছুঁয়ে শেষ বলে ২ উইকেটে জিতেছে ‘দ্বীপরাষ্ট্র’ শ্রীলঙ্কা। ফাইনাল খেলতে দুটি সমীকরণ সামনে ছিল শ্রীলঙ্কার। প্রথমত, বৃষ্টিতে খেলা ভেসে যাওয়া এবং দ্বিতীয়ত, জয়। পাকিস্তানের সমীকরণ ছিল একটাই, জয়। এমন সমীকরণের অলিখিত সেমিফাইনালে শেষ হাসি হেসেছে শানাকা বাহিনী। বিপরীতে হারের বেদনায় মাথা নিচু করে মাঠ ছাড়েন বাবর আজমরা। ফলে প্রথমবারের মতো এশিয়া কাপে ভারত-পাকিস্তান ফাইনাল হলো না। শুধু ২০১২ সালের এশিয়া কাপের ফাইনাল খেলেনি ‘দ্বীপরাষ্ট্র’ শ্রীলঙ্কা। এ ছাড়া আর কখনোই ফাইনালে দর্শক হয়ে থাকেনি দেশটি। আসরের সবচেয়ে সফল দল শ্রীলঙ্কা ফের ফাইনালে উঠেছে। ১৭ সেপ্টেম্বর ফাইনালে শ্রীলঙ্কার প্রতিপক্ষ রোহিত শর্মার ভারত। ভারত ও শ্রীলঙ্কা আসরের সবচেয়ে সফল দল। ভারত সাতবার এবং শ্রীলঙ্কা ছয়বারের চ্যাম্পিয়ন। দুই দল এখন পর্যন্ত ফাইনালে মুখোমুখি হয়েছে এবার নিয়ে নবমবার। এর আগে ১৯৮৪, ১৯৮৮, ১৯৯১, ১৯৯৫, ১৯৯৭, ২০০৪, ২০০৮ ও ২০১০ সালে ফাইনাল খেলেছিল। গতকাল সুপার ফোরের ম্যাচে উইকেটে পাকিস্তানকে হারিয়ে ১৫ বারের মতো ফাইনালে উঠেছে শ্রীলঙ্কা। ফাইনাল খেলতে শ্রীলঙ্কার টার্গেট ছিল ডিএল মেথডে ৪২ ওভারে ২৫২ রান। সে রান অনায়াশে টপকে গেছে কুশল মেন্ডিসের নার্ভাস নাইনটিজে। মেন্ডিস ৯১ রান করেন ৮৭ বলে ৮ চার ও এক ছক্কায়। ১৩.২ ওভারে ৭৭ রানের মধ্যে দুই ওপেনার পাথুম নিশাঙ্কা ও কুশল পেরেরা সাজঘরে ফেরেন। এরপর তৃতীয় উইকেট জুটিতে উইকেটরক্ষক ব্যাটার কুশল মেন্ডিস ও সাদিরা সামারাবিক্রমা ১০০ রান যোগ করেন ১৬.২ ওভারে। বিক্রমাসিংহে আউট হন ৪৮ রানে। আশালঙ্কা ৪৯ রানের অপরাজিত ছিলেন। শ্রীলঙ্কা জয় পায় শেষ বলে। অলিখিত সেমিফাইনালে বৃষ্টি বাধা হয়ে দাঁড়াবে আবহাওয়া অফিস আগেই জানিয়েছিল। গতকাল কলম্বোর প্রেমাদাসা স্টেডিয়ামে বৃষ্টির জন্য খেলা শুরু হয় নির্ধারিত সময়ের দেড় ঘণ্টা পর।

শুরুর পর প্রথমবার খেলা নির্ধারিত হয় ৪৫ ওভারে। দ্বিতীয়বার চূড়ান্ত হয় ৪২ ওভার। বৃষ্টিস্নাত ম্যাচটিতে আবদুল্লাহ শফিক ও মোহাম্মদ রিজওয়ানের জোড়া হাফসেঞ্চুরিতে পাকিস্তানের সংগ্রহ ৭ উইকেটে ২৫২ রান। শফিক সাজঘরে ফেরেন ব্যক্তিগত ৫২ রানে। রিজওয়ান অপরাজিত থাকেন ৮৬ রানে। রিজওয়ানের এটা ৮৮ ওয়ানডে ক্যারিয়ারের ১২তম হাফসেঞ্চুরি। ৪৮ বলে সুইপ খেলে তুলে নেন হাফসেঞ্চুরি। শেষ পর্যন্ত ৮৬ রানের ইনিংসটি খেলেন ৭৩ রানে ৬ চার ও ২ ছক্কায়। শফিক ওপেন করেছেন বাঁ-হাতি ইমাম উল হকের পরিবর্তে। অসুস্থতার জন্য খেলেননি ইমাম। তিনি হাফসেঞ্চুরির ইনিংসটি খেলেন ৬৯ বলে ৩ চার ও ছক্কায়।

সর্বশেষ খবর