শনিবার, ১৬ সেপ্টেম্বর, ২০২৩ ০০:০০ টা

ভারতকে হারিয়ে শেষটা রাঙাল বাংলাদেশ

৬ রানের রোমাঞ্চকর এক জয়

ক্রীড়া প্রতিবেদক

ভারতকে হারিয়ে শেষটা রাঙাল বাংলাদেশ

বাতাসে ভাসতে থাকা বলটা তানজিদ হাসান লুফে নিতেই আকাশের দিকে তাকিয়ে স্বস্তির নিঃশ্বাস ফেলেন মুস্তাফিজুর রহমান। অক্ষর প্যাটেলের উইকেট পতনে বাংলাদেশের জয়টাই যে নিশ্চিত হয়ে গেল। ভারতের বিপক্ষে শ্বাসরুদ্ধকর এক ম্যাচ জিতে এশিয়া কাপের শেষটা রাঙাল বাংলাদেশ। গতকাল কলম্বোর প্রেমাদাসা স্টেডিয়ামে প্রথমে ব্যাটিংয়ে নেমে ৫০ ওভারে ৮ উইকেটে ২৬৫ রান করে বাংলাদেশ। জবাবে এক বল বাকি থাকতে ২৫৯ রান করে অলআউট হয় ভারত। ৬ রানের জয়ে এশিয়া কাপ মিশন শেষ করে বাংলাদেশ।

দুই দলেরই ছিল আনুষ্ঠানিকতার ম্যাচ। ভারত আগেই ফাইনাল নিশ্চিত করেছে। বাংলাদেশেরও বিদায় নিশ্চিত হয়ে গেছে। তারপরও জিততে মরিয়া সাকিব বাহিনী গতকাল চার পরিবর্তন নিয়ে খেলতে নামে। অভিষেক হয় পেসার তানজিম হাসান সাকিবের। তিন ম্যাচ পর ফেরেন ওপেনার তানজিদ হাসান তামিম। ৯ মাস পর ফেরেন এনামুল হক বিজয় এবং মুস্তাফিজুর রহমান। একাদশে তিন স্পেশালিস্ট স্পিনার ছাড়াও ছিলেন দুজন পেসার মুস্তাফিজ ও তানজিম সাকিব। ভারত বিশ্রাম দেয় দলের অন্যতম সেরা তিন ক্রিকেটার বিরাট কোহলি, হার্দিক পান্ডিয়া ও জশপ্রিত বুমরাহকে। শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে খেলা কুলদীপ ও মোহাম্মদ সিরাজও ছিলেন না গতকাল। টস হেরে ব্যাটিংয়ে নামে বাংলাদেশ। তৃতীয় ওভারের প্রথম বলে সাজঘরে ফেরেন ছন্দ হারানো লিটন। পরের ওভারে পুল খেলে বোল্ড হন তানজিদ। অভিষেক ম্যাচে শূন্য করার পর গতকাল ১২ বলে ১৩ রান করেন ৩ চারে। গত ডিসেম্বরে ভারতের বিপক্ষে খেলার পর ৯ মাস দলের বাইরে ছিলেন এনামুল বিজয়। গতকাল সুযোগের সদ্ব্যবহার করতে পারেননি। আউট হন ব্যক্তিগত ৪ রানে। মেকশিফট ওপেনার হিসেবে সেঞ্চুরি হাঁকানো মেহেদি মিরাজ খেলেন ৫ নম্বরে। দলীয় ৫৯ রানে মিরাজ আউট হলে বিপর্যয়ে পরে টাইগাররা। পঞ্চম উইকেট জুটিতে তৌহিদের সঙ্গে ১০১ রান যোগ করেন সাকিব। সাকিব খেলেন ৮৫ বলে ৬ চার ও ৩ ছক্কায় ৮০ রানের অধিনায়কোচিত ইনিংস। এটা ক্যারিয়ারের ৫৪তম হাফসেঞ্চুরি। আসরে দ্বিতীয় হাফসেঞ্চুরি। এর আগে পাকিস্তান ম্যাচে দলের বিপর্যয়ে মুশফিককে নিয়ে ১০০ রানের জুটি গড়েছিলেন। অধিনায়কের দেখানো পথে হাঁটেন তৌহিদ। খেলেন ৫৪ রানের ইনিংস। ১৪ ওয়ানডে ক্যারিয়ারে এটা তার পঞ্চম হাফসেঞ্চুরি। শ্রীলঙ্কা ম্যাচে খেলেছিলেন ৮২ রানের ইনিংস। সাকিব ও তৌহিদের পর লেট অর্ডারে নাসুম, মেহেদি ও তানজিম সাকিবের আগ্রাসী ব্যাটিংয়ে শেষ ১০ ওভারে ৭৭ রান যোগ করে টাইগাররা। ২৬৫ রানের লড়াকু সংগ্রহ গড়ে বাংলাদেশ। জবাব দিতে নেমে শুবমন গিল এক পাশ আগলে রাখলেও অপর পাশ থেকে টপ টপ করে উইকেট পড়তে থাকে ভারতের। শুবমন ১২১ রান করেন ১৩৩ বল খেলে। তিনি ৮টি চার ও ৫টি ছক্কা হাঁকান। এ ছাড়া দ্বিতীয় সর্বোচ্চ রান করেন অক্ষর প্যাটেল (৩৪ বলে ৪২ রান)। মুস্তাফিজুর রহমান রবীন্দ্র জাদেজা, অক্ষর প্যাটেল ও শার্দূল ঠাকুরের উইকেট তিনটি শিকার করেন। অভিষেকেই তানজিম হাসান সাকিব দুটি উইকেট শিকার করেন ( রোহিত শর্মা ও তিলক বার্মা)। মেহেদি হাসান ২টি এবং মিরাজ ও সাকিব আল হাসান ১টি করে উইকেট শিকার করেন। ম্যাচসেরার পুরস্কার পান অধিনায়ক সাকিব আল হাসান।

সর্বশেষ খবর