শনিবার, ১৬ সেপ্টেম্বর, ২০২৩ ০০:০০ টা

সাইবার সিকিউরিটি আইনের অপব্যাখ্যা হচ্ছে : আইনমন্ত্রী

ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রতিনিধি

সাইবার সিকিউরিটি আইনের অপব্যাখ্যা হচ্ছে : আইনমন্ত্রী

আইনমন্ত্রী অ্যাডভোকেট আনিসুল হক বলেছেন, সাইবার সিকিউরিটি অ্যাক্টে সাংবাদিকদের আপত্তি থাকা ধারায় আমূল পরিবর্তন আনা হয়েছে। চারটি বিষয় বাদে বাকিগুলোয় বিনা পরোয়ানায় কাউকে গ্রেফতারেরও সুযোগ নেই। কিন্তু এই অ্যাক্ট নিয়ে অপব্যাখ্যা দেওয়া হচ্ছে।

গতকাল সকালে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আখাউড়ায় সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে আইনমন্ত্রী বলেন, সাইবার সিকিউরিটি অ্যাক্টে মাত্র চারটি আমলযোগ্য ধারা আছে। আমলযোগ্য অপরাধ ছাড়া বিনা পরোয়ানায় গ্রেফতার করার অধিকার বা সুযোগ কোনো আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর নেই। এ বিষয়ে যেসব প্রশ্ন উত্থাপন করা হচ্ছে এগুলো সাইবার সিকিউরিটি অ্যাক্টের অপব্যাখ্যা মাত্র। ধারায় সাজার বিধান নিয়ে আনিসুল হক বলেন, ‘সাইবার সিকিউরিটি অ্যাক্টে টেকনিক্যাল অপরাধ, হ্যাকিং এবং কম্পিউটারের ভিতরে ঢুকে যদি কেউ কিছু নষ্ট করে সেজন্য ১৪ বছরের সাজার বিধান রয়েছে। ডিজিটাল সিকিউরিটি অ্যাক্টে যেসব ধারা নিয়ে সাংবাদিক মহলের আপত্তি ছিল, সেগুলোর আমূল পরিবর্তন করা হয়েছে। বিনা পরোয়ানায় যে গ্রেফতারের কথা বলা হচ্ছে- সেটার কিন্তু শর্ত আছে। একটা হচ্ছে এটা আমলযোগ্য অপরাধ হতে হবে। সকালে দক্ষিণ ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের আয়োজিত বর্ধিত জনসভায় আইনমন্ত্রী বলেন, ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট জাতির জনক বঙ্গবন্ধুসহ তার পরিবারকে নির্মমভাবে হত্যার পর জিয়াউর রহমান খুনি রাজাকারদের নিয়ে সরকার গঠন করেছিলেন। বঙ্গবন্ধুর খুনিদের জিয়াউর রহমান পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে চাকরি দিয়ে রাষ্ট্রদূত বানিয়েছিলেন। জিয়া হত্যার পর এরশাদও ঠিক তাই করার চেষ্টা করেছিলেন। আইনমন্ত্রী আরও বলেন, বিএনপি জামায়াত আবারও ষড়যন্ত্রে লিপ্ত। তারা কোনোদিন সামনের দরজা দিয়ে ক্ষমতায় আসেনি। সবসময় পেছনের দরজা দিয়ে আসছে। ভোট চুরি করেছে। মানুষকে ভোট দিতে দেয়নি।

সর্বশেষ খবর