রবিবার, ১৭ সেপ্টেম্বর, ২০২৩ ০০:০০ টা
কংগ্রেসম্যান অ্যান্থনি

বাংলাদেশ নিয়ে প্রচারণা বিচলিত করার মতো

লাবলু আনসার, যুক্তরাষ্ট্র

বাংলাদেশ নিয়ে প্রচারণা বিচলিত করার মতো

মার্কিন কংগ্রেসে হোমল্যান্ড বিষয়ক কমিটির প্রভাবশালী সদস্য এবং ইমারজেন্সি ম্যানেজমেন্ট ও টেকনোলজি সংক্রান্ত সাব-কমিটির চেয়ার কংগ্রেসম্যান (রিপাবলিকান) অ্যান্থনি দি’ইসপোসিটো বলেছেন, বাংলাদেশের পরিস্থিতি নিয়ে মিথ্যা ও আজগুবি প্রচারণায় প্রবাসী বাংলাদেশিদের মধ্যকার উদ্বেগ-উৎকণ্ঠা আমাকেও বিচলিত করে। কারণ, আমার নির্বাচনী এলাকার অনেক মানুষ বাংলাদেশি আমেরিকান। আপনাদের সঙ্গে সম্পর্কের যে সূচনা ঘটল তাকে আরও জোরদার করে বাংলাদেশের গণতন্ত্র, অর্থনীতি, উন্নয়ন-অগ্রগতির পরিক্রমাকে ত্বরান্বিত করা যেতে পারে। ‘ফ্রেন্ডস অব বাংলাদেশ’-এর ব্যানারে ১৪ সেপ্টেম্বর নিউইয়র্ক সিটি সংলগ্ন লং আইলান্ডে একটি পার্টি হলে অনুষ্ঠিত এক মতবিনিময় সভায় কংগ্রেসম্যান আরও বলেন, ক্যাপিটল হিলে ফিরেই সহকর্মীদের সঙ্গে এবং স্টেট ডিপার্টমেন্ট ও হোমল্যান্ড সিকিউরিটি ডিপার্টমেন্টে কথা বলব। বাংলাদেশের জাতির জনকের ঘাতক হিসেবে মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত রাশেদ চৌধুরী কীভাবে যুক্তরাষ্ট্রে বসবাস করছে সেটিও জানতে চাইব।

উল্লেখ্য, ‘ফ্রেন্ডস অব বাংলাদেশ’র অন্যতম সংগঠক এবং বাংলাদেশ প্রতিদিনের উত্তর আমেরিকা সংস্করণের নির্বাহী সম্পাদক বীর মুক্তিযোদ্ধা লাবলু আনসার ঘাতক রাশেদ চৌধুরীর প্রসঙ্গ উত্থাপন করলে কংগ্রেসম্যান বলেন, সাবেক প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প তার অ্যাটর্নি জেনারেল বিল বারকে নির্দেশ দিয়েছিলেন বিষয়টি খতিয়ে দেখতে। কিন্তু নির্বাচনে পরাজিত হওয়ার পর সে বিষয়টি স্থবির হয়ে পড়েছে। আমাকে রাশেদ চৌধুরী সংক্রান্ত নথিপত্র প্রদান করলে আমি হোমল্যান্ড সিকিউরিটি কমিটিতে বিষয়টি উত্থাপন করব। রাশেদ চৌধুরীর মতো গুরুতর অপরাধী তথা মানবাধিকার লঙ্ঘনকারীদের অভয়ারণ্য যুক্তরাষ্ট্র হতে পারে না। ‘ফ্রেন্ডস অব বাংলাদেশ’র প্রধান সংগঠক মোর্শেদ আলম কংগ্রেসম্যানকে জানান, বাংলাদেশ নানা ক্ষেত্রে অনেক অগ্রগতি সাধন করেছে শেখ হাসিনার নেতৃত্বে। কিন্তু সেই পরম বাস্তবতাকে মুছে ফেলতে একটি মহল অপপ্রচার চালাচ্ছে মার্কিন প্রশাসনের প্রায় সব স্তরে। এহেন মিথ্যাচার দূর করতেই আমরা এ প্রক্রিয়া চালাচ্ছি ‘ফ্রেন্ডস অব বাংলাদেশ’র ব্যানারে। এসব তথ্য জেনে কংগ্রেসম্যান বলেন, আজ থেকে আমি আপনাদের বন্ধু হলাম এবং বাংলাদেশ নিয়ে আরও বেশি মনোযোগী হওয়ার সুযোগ তৈরি হলো।

বিশ্ববাংলা টোয়েন্টিফোর টিভির চেয়ারম্যান ও সেক্টর কমান্ডারস ফোরাম-মুক্তিযুদ্ধ ’৭১-র যুগ্ম সম্পাদক আলিম খান আকাশ জানতে চেয়েছিলেন, নামের কারণে বারবার অনেক মুসলমানকে বিব্রত হতে হচ্ছে। ৯/১১ এর সন্ত্রাসী হামলার পর নাম ‘মোহাম্মদ খান’, ‘মোহাম্মদ ইসলাম’ ইত্যাদি হলেই এয়ারপোর্ট তথা সীমান্তে নানাভাবে প্রশ্নবাণে জর্জরিত করা হয়। জবাবে কংগ্রেসম্যান বলেন, অবশ্যই আমি বিষয়টি গুরুত্বের সঙ্গে গ্রহণ করলাম এবং কমিটির মিটিংয়ে তা উত্থাপন করব।

সর্বশেষ খবর