মঙ্গলবার, ১৯ সেপ্টেম্বর, ২০২৩ ০০:০০ টা

আলোচনায় তৃণমূল বিএনপি

নেতৃত্বে আসছেন সাবেকরা

নিজস্ব প্রতিবেদক

আজ ব্যারিস্টার নাজমুল হুদার প্রতিষ্ঠিত রাজনৈতিক দল তৃণমূল বিএনপির প্রথম সম্মেলন। উদ্বোধনী অনুষ্ঠানের পর কাউন্সিলের মাধ্যমে ঘোষণা করা হবে নতুন কমিটি।

জানা গেছে, বিএনপির সাবেক ভাইস চেয়ারম্যান, সাবেক পররাষ্ট্র সচিব যুদ্ধাহত মুক্তিযোদ্ধা শমসের মবিন চৌধুরী দলটির চেয়ারম্যান হওয়ার ব্যাপারে সম্মতি দিয়েছেন। আর মহাসচিব হচ্ছেন বিএনপি থেকে বহিষ্কৃত দলের চেয়ারপারসনের সাবেক উপদেষ্টা তৈমুর আলম খন্দকার। তৃণমূল বিএনপির কো-চেয়ারম্যান হিসেবে থাকবেন দলের বর্তমান ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান অন্তরা হুদা। তিনি সাবেক বিএনপি নেতা ও মন্ত্রী ব্যারিস্টার নাজমুল হুদার কন্যা। তার সভাপতিত্বে আজ বেলা ১১টায় রাজধানীর ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশন মিলনায়তনে দলটির প্রথম সম্মেলন ও কাউন্সিল হবে। হাই কোর্টের নির্দেশে গত ১৬ ফেব্রুয়ারি নির্বাচন কমিশনের (ইসি) সচিব জাহাঙ্গীর আলম স্বাক্ষরিত এক প্রজ্ঞাপনে তৃণমূল বিএনপিকে নিবন্ধন দেওয়া হয়। দলের নিবন্ধন পাওয়ার তিন দিনের মাথায় মারা যান ব্যারিস্টার নাজমুল হুদা। তার মৃত্যুর পর গত ৬ মে দলটির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান হন তার মেয়ে অন্তরা হুদা। তৃণমূল বিএনপিতে আনুষ্ঠানিকভাবে যোগ দিতে যাচ্ছেন বিএনপির সাবেক দুই নেতা, শমসের মবিন চৌধুরী ও তৈমুর আলম খন্দকার। এ বিষয়ে তৃণমূল বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান অন্তরা হুদা বাংলাদেশ প্রতিদিনকে বলেন, আমার বাবার প্রতিষ্ঠিত দলটিকে সারা দেশে প্রতিষ্ঠিত করাই আমার উদ্দেশ্য। দলের এই বৃহত্তর স্বার্থেই আমরা রাজনীতিতে সর্বজনগ্রহণযোগ্য দুই ব্যক্তিত্বকে দায়িত্ব দিতে যাচ্ছি। নির্বাচন কমিশনের স্বাভাবিক কোনো প্রক্রিয়ায় তৃণমূল বিএনপিকে নিবন্ধন দেওয়া হয়নি। বরং হাই কোর্টের নির্দেশে নির্বাচন কমিশন এই নিবন্ধন দিতে বাধ্য হয়েছে। এর তিন দিনের মাথায় আমার বাবা মৃত্যুবরণ করেন। দেশবাসীর কল্যাণে তার এই দলটিকে কাজে লাগাতেই আমাদের এই প্রচেষ্টা। আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচন প্রসঙ্গে তিনি বলেন, আমাদের দলটি অবশ্যই একটি নির্বাচনমুখী দল। তবে সেই নির্বাচন হতে হবে- সুষ্ঠু, সুন্দর, নিরপেক্ষ এবং অংশগ্রহণমূলক। কোনো পাপেট নির্বাচনে তৃণমূল বিএনপি অংশ নেবে না। আবার বিনা কারণে নির্বাচন বর্জনেও বিশ্বাসী নয়। কাজেই নির্বাচনে অংশগ্রহণের বিষয়টি নির্ভর করবে তখনকার পরিবেশ-পরিস্থিতির ওপর। খোঁজ নিয়ে জানা যায়, শমসের মবিন চৌধুরী ইতোমধ্যেই তৃণমূল বিএনপির সদস্য পদে যোগ দিয়েছেন এবং তিনি আজকের এই কাউন্সিলকে সফল করে তোলার জন্য সক্রিয়ভাবে কাজ করছেন। আজকের সম্মেলন শেষে নতুন কমিটি ঘোষণার আগ পর্যন্ত তিনি মুখ খুলতে চাচ্ছেন না। তবে এ ব্যাপারে কোনো রাখঢাক নেই তৈমুর আলম খন্দকারের। তিনি স্পষ্টতই বলেছেন, তৃণমূল বিএনপির মহাসচিব পদে যোগ দিচ্ছেন। গতকাল দুপুরে তিনি এ বিষয়ে তার সুপ্রিম কোর্টের নিজ চেম্বারে সাংবাদিকদের জানান, তিনি তৃণমূল বিএনপিতে যোগ দিচ্ছেন। কান্নাজড়িত কণ্ঠে প্রবীণ এই রাজনীতিবিদ বলেন, আমি বিএনপি ছাড়ার সিদ্ধান্ত নেওয়ার পর আমার ছোট ভাই (কাউন্সিলর খোরশেদ আলম) ফোন দিয়ে কান্না করছেন। মেয়ে ব্যারিস্টার মার-ইয়াম খন্দকার অভিমান করে আছেন। কিন্তু আমার তো করার কিছু নেই। দেড় বছর আগে বিএনপি বহিষ্কার করেছে। তারপর বিএনপির কেউ একটিবারের জন্যও ফোন দিয়ে খোঁজখবর নেয়নি। কোনো মূল্যায়ন করেনি। এখন আমার কোনো রাজনৈতিক পরিচয় নেই। নিজের পরিচয় দেওয়ার জন্য তো একটি প্ল্যাটফরম দরকার। আমার ১৪ গোষ্ঠী বিএনপির সঙ্গে জড়িত। ছোট ভাই বিএনপিতে আছে, তারা বিএনপি করবে। দল আমার প্রতি সুবিচার করেছে, নাকি অবিচার করেছে, জাতি সেটা দেখবে।

এই রকম আরও টপিক

সর্বশেষ খবর