বৃহস্পতিবার, ২১ সেপ্টেম্বর, ২০২৩ ০০:০০ টা

বিএনপি থেকে আরও অনেকে আসবে

নিজস্ব প্রতিবেদক

বিএনপি থেকে আরও অনেকে আসবে

তথ্যমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন, শুধু শমসের মবিন চৌধুরী এবং তৈমূর আলম খন্দকার নন, বিএনপি থেকে আরও অনেকেই চলে আসবেন, একটু অপেক্ষা করুন, দেখতে পাবেন। গতকাল সচিবালয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময়কালে বিএনপির সিনিয়র নেতা শমসের মবিন চৌধুরী এবং তৈমূর আলম খন্দকারের তৃণমূল বিএনপিতে যোগদান বিষয়ে জানতে চাইলে তথ্যমন্ত্রী এসব কথা বলেন। মন্ত্রী আরও বলেন, যে দল নেতাদের সম্মান দিতে জানে না, আর যে দল কাউকে নির্বাচন করতে দেয় না, সে দল তো সবাই করবে না। বিএনপির সরকার পতনের আন্দোলন আর নির্বাচনে আসা-না আসা নিয়ে এক ধরনের বিভ্রান্তি তৈরি হচ্ছে- এমন প্রশ্নের জবাবে হাছান মাহমুদ বলেন, বিএনপি জনমনে বিভ্রান্তি সৃষ্টি করতে চায়। ২০১৮ সালের নির্বাচনে তারা যেমন বলেছিল নির্বাচনে অংশগ্রহণ করবে না কিন্তু শেষ পর্যন্ত অংশ নিয়েছিল। তথ্যমন্ত্রী বলেন, এবারও তাদের এখনকার বক্তব্য আর এক মাস আগের বক্তব্যের মধ্যে কিছুটা তফাত আছে। ‘গতবার যেমন গাধা জল ঘোলা করে খেয়েছিল, এবার কী করে সেটা দেখার বিষয়’। মন্ত্রী বলেন, একটি রাজনৈতিক দল যদি ক্রমাগতভাবে নির্বাচন বর্জন করে তাহলে তারা জনগণ থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে যায়। বিএনপি নির্বাচনে জেতার গ্যারান্টি চায়। কাউকে নির্বাচনে জেতার গ্যারান্টি তো সরকার, নির্বাচন কমিশন কেউ দিতে পারবে না। আমরা চাই তারা নির্বাচনে আসুক। বিএনপি মহাসচিবের এক অভিযেগের বিষয়ে তথ্যমন্ত্রী বলেন, বিএনপি ক্ষমতায় থাকতে কী করেছিল সেটা পেছনে ফিরে তাকালেই বুঝতে পারবেন, দেখতে পাবেন। মির্জা ফখরুলরা অগ্নিবোমা হামলার হুকুমদাতা। সেগুলোর অডিও রেকর্ড, তথ্যপ্রমাণ সরকারের কাছে আছে। এর পরও তারা সরকারের বিরুদ্ধে বিষোদগার করছেন। এতেই প্রমাণিত হয় সরকার মোটেই নির্যাতন চালাচ্ছে না। বরং তারা ২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলা, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে হত্যার অপচেষ্টা চালানো থেকে শুরু করে এমপি আহসান উল্লাহ মাস্টার, সাবেক অর্থমন্ত্রী শাহ এ এম এস কিবরিয়াসহ এমপিদের হত্যা করা, সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী মোহাম্মদ নাসিমকে লাঠিপেটা করা, জ্যেষ্ঠ রাজনীতিবিদ মতিয়া চৌধুরীকে রাস্তায় টানাহেঁচড়া করাসহ নেতা-কর্মীদের যে পরিমাণ অত্যাচার-নির্যাতন চালিয়েছে তা বর্ণনাতীত।

মতবিনিময়ে সদ্যসমাপ্ত কানাডা সফরের সংক্ষিপ্ত বর্ণনায় সম্প্রচারমন্ত্রী জানান, টরন্টো ফিল্ম ফেস্টিভ্যালে ১৩ সেপ্টেম্বর বঙ্গবন্ধুর বায়োপিক ‘মুজিব-একটি জাতির রূপকার’ সিনেমার প্রথম প্রদর্শনী হয়েছে। ২ ঘণ্টা ৫৮ মিনিটের বিরতিহীন এ প্রদর্শনীতে একজন দর্শকও আসন থেকে নড়েননি। সেখানে বাংলাদেশি, ভারতীয় ছাড়াও বিভিন্ন দেশের দর্শক ছিলেন, প্রত্যেকেই সিনেমাটির প্রশংসা করেছেন। সিনেমাটি প্রকৃতপক্ষে আমাদের ইতিহাসের দলিল হয়ে থাকবে। আগামী মাসে আমরা বায়োপিকটি বাংলাদেশে মুক্তি দেওয়ার পরিকল্পনা করছি।

এ সময় তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী বলেন, দেশে ফেরার পথে আমি সিঙ্গাপুরে চিকিৎসাধীন আমাদের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদেরকে দেখতে গিয়েছিলাম। তিনি ভালো আছেন। দেশে নানা আলোচনা হয়েছে কিন্তু আমি দেখেছি তাঁর শারীরিক ও মানসিক অবস্থা খুবই ভালো।

সর্বশেষ খবর