বৃহস্পতিবার, ২১ সেপ্টেম্বর, ২০২৩ ০০:০০ টা

উপাত্ত সুরক্ষা আইন চায় টিআইবি

নিজস্ব প্রতিবেদক

উপাত্ত সুরক্ষা আইন চায় টিআইবি

ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশ (টিআইবি) -এর নির্বাহী পরিচালক ড. ইফতেখারুজ্জামান বলেছেন, উপাত্ত সুরক্ষা আইনের ক্ষেত্রে সাইবার নিরাপত্তা আইনের মতো তড়িঘড়ি করে যেন করা না হয়। এটি গুরুত্বপূর্ণ একটি আইন। অংশীজনদের অংশগ্রহণের সুযোগ দিয়ে সরকার আইনটি প্রণয়নে ইতোমধ্যে দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছে। সেটা যেন অব্যাহত থাকে। সংসদে উপস্থাপনের আগে যেন সবার সঙ্গে আলোচনা হয়। গতকাল রাজধানীর ধানমন্ডিতে টিআইবির কার্যালয়ে ‘খসড়া উপাত্ত সুরক্ষা আইন-২০২৩ এর ত্রুটিপূর্ণ বিধানসমূহের ওপর পর্যালোচনা ও সুপারিশ’ নিয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা বলেন তিনি। এ সময় টিআইবির আউটরিচ অ্যান্ড কমিউনিকেশন পরিচালক শেখ মনজুর-ই-আলমের সঞ্চালনায় উপস্থিত ছিলেন টিআইবির উপদেষ্টা ড. সুমাইয়া খায়ের। টিআইবির নির্বাহী পরিচালক ইফতেখারুজ্জামান বলেন, খসড়ায় ব্যক্তিগত তথ্যের সংজ্ঞা পরিষ্কার নয়। বিভিন্ন দেশের আইনে এটা স্পষ্ট করা থাকে। ক্ষমতা থাকলেই কোনটাকে ব্যক্তিগত বলব আর কোনটাকে বলব না, সেই এখতিয়ার যেন আইনে না দেওয়া হয়। ব্যক্তিগত তথ্যের সংজ্ঞা স্পষ্ট থাকতে হবে। নয়তো অপব্যহার ও উদ্দেশ্যমূলক ব্যবহারের সুযোগ সৃষ্টি হবে। প্রস্তাবিত খসড়ায় উপাত্ত সুরক্ষা বোর্ড গঠন করার কথা বলা হয়েছে। এ বোর্ড সরকারই গঠন করবে। এ বিষয়ে টিআইবির প্রধান বলেন, এই বোর্ড সরকারের নিয়ন্ত্রণের বাইরে হতে হবে। স্বাধীন ও নিরপেক্ষ হতে হবে। কারণ, অন্য প্রতিষ্ঠানের মতো সরকারও ব্যক্তিগত তথ্য ব্যবহার করে। সরকারের হাতেই যদি নিয়ন্ত্রণ থাকে, তাহলে সরকার যখন ব্যক্তিগত তথ্যের অপব্যবহার করবে, তখন পরিত্রাণ পাওয়ার সুযোগ থাকবে না। কারণ, কর্তৃত্ব সরকারের হাতেই থাকবে। এটা স্বার্থের দ্বন্দ্ব। খসড়াটি এখন যেভাবে আছে, তাতে ব্যক্তিগত তথ্যের সুরক্ষার চেয়ে নিয়ন্ত্রণমূলক হবে।

নাম পরিবর্তন বিষয়ে ইফতেখারুজ্জামান বলেন, নাম যদি পরিবর্তিত হয়ে থাকে, তবে সেটি ইতিবাচক দিক। এ আইনের পরিধিতে ব্যক্তিগত তথ্যের বাইরে কিছু থাকার কথা নয়। তথ্য সীমাহীন। তার মধ্যে সুরক্ষা দেওয়ার কথা ব্যক্তিগত তথ্যকে। নামকরণটি পুরো আইনেই প্রতিফলিত হতে হবে। ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন থেকে সাইবার নিরাপত্তা আইনের মতো যদি শুধু খোলসের পরিবর্তন হয়, তাহলে সেটা অগ্রহণযোগ্যই থেকে যাবে।

সর্বশেষ খবর