রবিবার, ২৪ সেপ্টেম্বর, ২০২৩ ০০:০০ টা
ভিসানীতি নিয়ে যত কথা

এককভাবে দায়ী সরকার

বিএনপি

নিজস্ব প্রতিবেদক

বাংলাদেশে যুক্তরাষ্ট্রের ভিসা নিষেধাজ্ঞা আরোপের ঘটনাকে সমগ্র জাতির জন্য ‘অপমান ও লজ্জাজনক’ বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। তিনি বলেন, এ নিষেধাজ্ঞার জন্য আওয়ামী লীগ সরকার এককভাবে দায়ী। অবাধ, সুষ্ঠু, নিরপেক্ষ ও অংশগ্রহণমূলক জাতীয় নির্বাচনের স্বার্থে এই পদক্ষেপকে ইতিবাচক হিসেবেই দেখছে বিএনপি। গতকাল সাংবাদিকরা বাংলাদেশের ওপর যুক্তরাষ্ট্রের ভিসানীতির পদক্ষেপ সম্পর্কে বিএনপির প্রতিক্রিয়া জানতে চাইলে তিনি এসব কথা বলেন। মির্জা ফখরুল বলেন, বর্তমান সরকার দেশের গণতন্ত্র ও নির্বাচনী ব্যবস্থা একেবারে ধ্বংস করে দিয়েছে। মানুষের মতপ্রকাশের স্বাধীনতা কেড়ে নিয়েছে এবং মানবাধিকার লঙ্ঘন করে চলেছে। বিরোধী দলের নেতা-কর্মীদের নির্যাতন, গ্রেফতার করা হচ্ছে। এসব কারণে যুক্তরাষ্ট্রসহ বিভিন্ন দেশ থেকে নানা রকম পদক্ষেপ দেখা যাচ্ছে। তিনি বলেন, বাইডেন প্রশাসন সারাবিশ্বে গণতন্ত্রের কথা বলছে। এর অংশ হিসেবে তারা বাংলাদেশে গণতন্ত্রের পক্ষে পদক্ষেপ নিয়েছে। তারা তাদের দায়িত্ব পালন করেছে।

মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, দেশের স্বাধীনতার ৫২ বছর পর এসে অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচনের প্রশ্নে যুক্তরাষ্ট্রের ভিসা বিধিনিষেধ এসেছে। এটি আমাদের দেশের জন্য প্রাপ্য নয়। আওয়ামী লীগ সরকার বাংলাদেশকে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের মুখোমুখি দাঁড় করিয়েছে।

‘যুক্তরাষ্ট্রের এই ভিসা নিষেধাজ্ঞার বিষয়ে বিএনপি চিন্তিত কি না?’- এমন প্রশ্নের জবাবে বিএনপি মহাসচিব বলেন, এ নিয়ে বিএনপি চিন্তিত নয়। সরকারের অপকর্মের কারণেই এ ধরনের পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছে। ফলে ক্ষমতাসীনদের জন্যই এটি চিন্তার বিষয়। বিএনপি বরং মানুষের অধিকার আদায়ে এবং অবাধ, সুষ্ঠু, নিরপেক্ষ ও অংশগ্রহণমূলক জাতীয় নির্বাচনের স্বার্থে এই পদক্ষেপকে ইতিবাচক হিসেবেই দেখছে।

‘যুক্তরাষ্ট্রের এমন পদক্ষেপের পর দেশে অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন হবে কি না’- এমন প্রশ্নের জবাবে বিএনপির মুখপাত্র বলেন, আসলে এখন সরকার কী করবে, সেটা তাদের ওপর নির্ভর করছে। তবে আমরা জনগণকে সঙ্গে নিয়ে আমাদের আন্দোলন অব্যাহত রাখব।

৫২ বছরের অর্জন আমেরিকার স্যাংশন ও ভিসানীতি- দুদু : বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান শামসুজ্জামান দুদু বলেছেন, আমাদের দেশের বয়স ৫২ বছর। এই সময়ে আমাদের অর্জন আমেরিকার স্যাংশন ও ভিসানীতি। আমাদের প্রধানমন্ত্রী আমেরিকায় থাকা অবস্থায় ভিসানীতির কার্যক্রম চালু করেছে সে দেশের সরকার। শোনা যাচ্ছে, সরকারি দলের দায়িত্বশীল অনেক নেতা, প্রশাসনের অনেক কর্মকর্তা এবং সচিব পর্যায়ের অনেকেই এই ভিসানীতির আওতায় পড়েছেন। তিনি প্রশ্ন রেখে বলেন, কেন বাংলাদেশের ওপর ভিসা নিতে আসবে? এটা তো কোনো আনন্দের সংবাদ না। গতকাল জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে বাংলাদেশ নাগরিক অধিকার আন্দোলন আয়োজিত এক প্রতিবাদ সভায় তিনি এসব কথা বলেন। আয়োজক সংগঠনের আহ্বায়ক এম জাহাঙ্গীর আলমের সভাপতিত্বে ও সদস্য সচিব মোফাজ্জল হোসেন হৃদয়ের পরিচালনায় এতে বিএনপি নেতা কাদের গণি চৌধুরী, তাঁতী দলের কাজী মনিরুজ্জামান মনির, মুক্তিযোদ্ধা দলের মিয়া মোহাম্মদ আনোয়ার, দেশ বাঁচাও মানুষ বাঁচাও আন্দোলনের সভাপতি কে এম রকিবুল ইসলাম রিপন, যুব জাগপার সভাপতি মীর আমির হোসেন আমু প্রমুখ বক্তব্য রাখেন।

এই রকম আরও টপিক

সর্বশেষ খবর