পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কে আবদুল মোমেন বলেছেন, যুক্তরাষ্ট্রের ভিসা নিষেধাজ্ঞা নিয়ে বাংলাদেশ মাথা ঘামাচ্ছে না। বৈশ্বিক শক্তি হিসেবে যুক্তরাষ্ট্র অন্যদের ওপর ক্ষমতার প্রভাব খাটাতে পারে। কিন্তু আমরা এ নিয়ে মাথা ঘামাচ্ছি না। যুক্তরাষ্ট্র গণতান্ত্রিক দেশ, তেমনি আমরাও। আমরা জানি কীভাবে গ্রহণযোগ্য নির্বাচন করতে হয়। এর আগে তিনি বলেছিলেন, আর ভিসা নিষেধাজ্ঞা নিয়ে ভোটাররাও মাথা ঘামাচ্ছে না। গতকাল কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আলজাজিরাকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে তিনি এসব কথা বলেন। গত বৃহস্পতিবার ‘বাংলাদেশে গণতান্ত্রিক নির্বাচন প্রক্রিয়া বাধাগ্রস্ত করার জন্য দায়ী বা জড়িত’ কিছু ব্যক্তির ওপর ভিসা নিষেধাজ্ঞা আরোপের ঘোষণা দিয়েছে মার্কিন পররাষ্ট্র দফতর। তবে ‘আইনি বাধ্যবাধকতার কারণে’ ভিসা নিষেধাজ্ঞা দেওয়া ব্যক্তিদের নাম প্রকাশ করেনি তারা।
পররাষ্ট্র দফতরের মুখপাত্র ম্যাথু মিলার ঘোষণায় বলেন, নিষেধাজ্ঞাপ্রাপ্ত ব্যক্তিদের মধ্যে বাংলাদেশের আইন প্রয়োগকারী সংস্থা, ক্ষমতাসীন দল ও বিরোধী রাজনৈতিক দলের সদস্যরা রয়েছেন। এই ব্যক্তিদের পাশাপাশি তাদের নিকটবর্তী পরিবারের সদস্যরাও যুক্তরাষ্ট্রে প্রবেশের জন্য অযোগ্য বিবেচিত হতে পারেন।
এর আগে গত ২৫ মে যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিঙ্কেন বাংলাদেশে ‘অবাধ, সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণ’ নির্বাচন প্রক্রিয়ায় বাধাদানকারীদের ওপর ভিসা নিষেধাজ্ঞা আরোপের হুঁশিয়ারি দিয়েছিলেন। তখনো বাংলাদেশের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচনের আশ্বাস দেওয়া হয়। এ সময় পররাষ্ট্রমন্ত্রী আবদুল মোমেন বলেছিলেন, আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীরা মার্কিন ভিসা নিষেধাজ্ঞা নিয়ে চিন্তিত নয়। কারণ তাদের বেশির ভাগ উন্নয়নশীল এই দেশেই থাকতে চায়। আর ভিসা নিষেধাজ্ঞা নিয়ে ভোটাররাও মাথা ঘামাচ্ছে না।