সোমবার, ২৫ সেপ্টেম্বর, ২০২৩ ০০:০০ টা

এলপিজি ব্যবহার করে ৪৫ লাখ মানুষ

নিজস্ব প্রতিবেদক

এলপিজি ব্যবহার করে ৪৫ লাখ মানুষ

বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজসম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ বলেছেন, ২০০৯ সালে বাংলাদেশের তরলীকৃত পেট্রলিয়াম গ্যাসের (এলপিজি) বাজার ছিল মাত্র ৬৫ হাজার টন। বর্তমানে এলপিজির বার্ষিক চাহিদা ১৪ লাখ টনের বেশি। গত ১৫ বছরে দেশে এলপিজির ব্যবহার বেড়েছে প্রায় ২০ গুণ। ২০০৯ সালে মাত্র আড়াই লাখ লোক এলপিজি ব্যবহার করত। এখন ব্যবহার করে প্রায় ৪৫ লাখ। এ সংখ্যা দিন দিন আরও বাড়ছে। প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে প্রায় ৩ কোটিরও বেশি মানুষ এলপিজির সুবিধাভোগী। বর্তমানে প্রতিবছর এলপিজির বাজার প্রায় ১০ শতাংশ হারে বাড়ছে। আশা করা হচ্ছে ২০৩০ সালের মধ্যে বাংলাদেশে এলপিজির চাহিদা ৩০ লাখ টনে উন্নীত হবে। গতকাল বাংলাদেশ এনার্জি রেগুলেটরি কমিশনের উদ্যোগে ‘হোটেল রেস্তোরাঁয় এলপিজি সিলিন্ডারের নিরাপদ ব্যবহার’ শীর্ষক কর্মশালায় তিনি এসব কথা বলেন। প্রতিমন্ত্রী আরও বলেন, গ্যাস সিলিন্ডার নিয়মিত ও যথাযথভাবে পরিবহন, মজুদ ও ব্যবহার করলে সিলিন্ডারজনিত দুর্ঘটনা অনেকাংশে কমে যাবে। তিনি আরও বলেন, একটি টেকসই এলপিজির বাজার প্রতিষ্ঠা এবং এলপিজির বাজার প্রসারে যেখানে সেখানে রিটেইলারের মাধ্যমে এলপিজির বিক্রি গ্রাহকবান্ধব হওয়া সময়ের দাবি। হোসপাইপ, রেগুলেটর, গ্যাস ভালভ ইত্যাদির দুর্বলতার কারণে সাধারণত গ্যাস লিক হতে পারে। এ বিষয়ে সংশ্লিষ্টদের সচেতন থাকতে হবে। প্রতিমন্ত্রী আরও বলেন, মূল্য ও নিরাপত্তার ইস্যুসহ এলপিজির নীতিমালা যুগোপযোগী করার উদ্যোগ নিতে হবে। দুর্ঘটনা এড়াতে সিলিন্ডার নিয়মিত পরীক্ষা করতে হবে। বাংলাদেশ এনার্জি রেগুলেটরি কমিশনের চেয়ারম্যান মো. নূরুল আমিনের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন জ্বালানি ও খনিজসম্পদ বিভাগের সচিব মো. নূরুল আলমসহ অন্যরা।

               

সর্বশেষ খবর