মঙ্গলবার, ২৬ সেপ্টেম্বর, ২০২৩ ০০:০০ টা

সন্ত্রাস ষড়যন্ত্র করলে হাত গুঁড়িয়ে দেব : কাদের

নিজস্ব প্রতিবেদক

সন্ত্রাস ষড়যন্ত্র করলে হাত গুঁড়িয়ে দেব : কাদের

আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক, সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, বিএনপি খালেদা জিয়ার মুক্তির জন্য ৩৬ মিনিটও আন্দোলন করতে পারেনি। তাঁর চিকিৎসার জন্য ৩৬ ঘণ্টার আলটিমেটাম দিয়েছে। বিএনপিকে আজকের এই সমাবেশ থেকে আলটিমেটাম দিলাম ৩৬ দিনের, এর মধ্যে ঠিক হয়ে যান। এই ৩৬ দিনের মধ্যে বিএনপিকে আগুন সন্ত্রাস, নাশকতার রাজনীতি ছাড়তে হবে, গণতন্ত্রের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র বন্ধ করতে হবে। নতুবা জনগণকে সঙ্গে নিয়ে অপরাজনীতির কালো হাত গুঁড়িয়ে দেব। বিএনপি যদি অস্ত্র নিয়ে আসে ওই হাত ভেঙে দিতে হবে। আগুন নিয়ে আসলে ওই হাত পুড়িয়ে দিতে হবে। যেমন কুকুর, তেমন মুগুর। গতকাল বিকালে রাজধানীর উত্তরায় ঢাকা মহানগর উত্তর আওয়ামী লীগ আয়োজিত ‘শান্তি ও উন্নয়ন’ সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। ওবায়দুল কাদের বলেন, বিএনপি ভর করেছে ভিসানীতির ওপর আর আওয়ামী লীগ জনগণের শক্তির ওপর। কারও নিষেধাজ্ঞা ও খবরদারিতে বাংলাদেশে নির্বাচন চলবে না। ভিসানীতি, নিষেধাজ্ঞার তোয়াক্কা আমরা করি না। যারা ভিসানীতি, নিষেধাজ্ঞা দেয়, তাদের দেশেই গণতন্ত্র ত্রুটিমুক্ত নয়। মানবাধিকার লঙ্ঘিত হচ্ছে। কিছুই তারা করতে পারছে না। আমরা পরোয়া করি বাংলাদেশের জনগণকে। বাংলাদেশের জনগণ ছাড়া কোনো ভিসানীতি, নিষেধাজ্ঞা মানি না, মানব না। আমাদের নির্বাচন আমরা করব। সংবিধান বলে দিয়েছে কীভাবে নির্বাচন হবে।

সাংগঠনিক সম্পাদক এস এম কামাল হোসেন বলেন, দেশে ভোটের সংস্কৃতি নষ্টকারী দল বিএনপি। খুনির দল বিএনপি। আগামী নির্বাচনে দেশের জনগণ বিএনপিকে বর্জন করবে বলেই তারা বিদেশে বসে পলাতক সন্ত্রাসী, দণ্ডিত তারেক রহমান ষড়যন্ত্র করছে। দেশের জনগণ আওয়ামী লীগের সঙ্গে আছে। কোনো ষড়যন্ত্রই কাজ হবে না। নৌকার জয় হবেই ইনশাআল্লাহ।

আরেক সাংগঠনিক সম্পাদক মির্জা আজম বলেন, বিএনপি আমাদের আলটিমেটাম দিয়েছে। তারা আওয়ামী লীগ সভানেত্রী প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে ক্ষমতাচ্যুত করতে চায়। আমরা যারা আওয়ামী লীগের কর্মী আছি, তাদের দায়িত্ব নেত্রীকে পাহারা দেওয়া। তাঁর হাতকে শক্তিশালী করা। আগামী নির্বাচন পর্যন্ত রাজপথে ঐক্যবদ্ধ থেকে আবারও বঙ্গবন্ধুকন্যাকে প্রধানমন্ত্রী নির্বাচিত করব। তিনি বলেন, অনেক আরাম আয়েশ করেছি। এখন মাঠে থাকবে হবে। যেখানেই সন্ত্রাস-নাশকতা সেখানেই প্রতিরোধ গড়ে তুলতে হবে। ঢাকা মহানগর উত্তর আওয়ামী লীগের সভাপতি শেখ বজলুর রহমানের সভাপতিত্বে বক্তব্য রাখেন, আওয়ামী লীগের শিক্ষা সম্পাদক শামসুর নাহার চাপা, স্বাস্থ্য সম্পাদক ডা. রোকেয়া সুলতানা, কেন্দ্রীয় সদস্য আনোয়ার হোসেন, সাহাবুদ্দিন ফরাজী, মহানগর আওয়ামী লীগের সাদেক খান এমপি, হাবিব হাসান এমপি, যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক মাইনুল হোসেন খান নিখিলসহ কেন্দ্রীয় ও মহানগর আওয়ামী লীগের নেতারা।

এদিকে বিকালে রাজধানীর যাত্রাবাড়ীর শহীদ ফারুক সড়কে ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগের উদ্যোগে আয়োজিত শান্তি ও উন্নয়ন সমাবেশে অংশ নেন আওয়ামী লীগের সিনিয়র নেতারা। এ সময় তারা বলেন, দেশের উন্নয়ন যাত্রা অব্যাহত রাখতে, শেখ হাসিনার নেতৃত্বকে বেগবান করতে সবাইকে ঐক্যবদ্ধ থাকতে হবে। ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি নূরুল আমিন রুহুল এমপির সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক হুমায়ন কবিরের সঞ্চালনায় বক্তব্য রাখেন, আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য সংসদ উপনেতা বেগম মতিয়া চৌধুরী, কৃষিমন্ত্রী ড. আবদুর রাজ্জাক, মোফাজ্জল হোসেন চৌধুরী মায়া বীরবিক্রম, শাজাহান খান, ড. মোস্তফা জালাল মহিউদ্দিন, আবদুর রহমান, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক তথ্যমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ, মহানগর আওয়ামী লীগের হেদায়েতুল ইসলাম স্বপন, মোর্শেদ কামাল, গোলাম সরোয়ার কবির, কাজী মনিরুল ইসলাম মনু এমপি, ডেমরা থানা আওয়ামী লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক আলহাজ মশিউর রহমান মোল্লা সজলসহ মহানগর আওয়ামী লীগ, সহযোগী সংগঠনের নেতা-কর্মীরা। সংসদ উপনেতা মতিয়া চৌধুরী বলেন, দেশে গণতান্ত্রিক ধারা অব্যাহত আছে বলেই আজকে আমরা বাংলাদেশকে উন্নত করতে পেরেছি। এখন উন্নয়নশীল দেশের মর্যাদাও পেয়েছি। যদি একটা স্থিতিশীল ধারাবাহিকতা না থাকত তাহলে এটা কখনো অর্জন করা সম্ভব হতো না। আমাদের এই গণতান্ত্রিক ধারাটা কিন্তু দীর্ঘ সংগ্রামের ফসল, এটা সবাইকে মাথায় রাখতে হবে। ড. আবদুর রাজ্জাক বলেন, সরকার পতনের হুমকি দিয়ে বিএনপি আবারও নিজেদের দেউলিয়াত্ব প্রকাশ করছে। দলটির হুমকিতে আওয়ামী লীগ আরও ঐক্যবদ্ধ হয়। বিএনপি কর্মগুণে নিজ দলের জন্য হুমকিতে পরিণত হয়েছে।

 

সর্বশেষ খবর