শিরোনাম
মঙ্গলবার, ২৬ সেপ্টেম্বর, ২০২৩ ০০:০০ টা
শীর্ষ সন্ত্রাসীদের গোলাগুলি

নিরীহ ভুবন চলেই গেলেন

নিজস্ব প্রতিবেদক

নিরীহ ভুবন চলেই গেলেন

শীর্ষ সন্ত্রাসী তারিক সাঈদ ওরফে মামুনের প্রাইভেট কার লক্ষ্য করে ছোড়া গুলিতে আহত মোটরসাইকেল আরোহী ভুবন চন্দ্র শীলের (৫২) মৃত্যু হয়েছে। গতকাল সকাল সাড়ে ১০টায় রাজধানীর ধানমন্ডির বেসরকারি একটি হাসপাতালের নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্রে (আইসিইউ) চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি মারা যান। সেখানে তিনি লাইফ সাপোর্টে ছিলেন। ভুবন চন্দ্র শীলের শ্যালক তাপস মজুমদার তার মৃত্যুর খবরটি গণমাধ্যমকে জানিয়েছেন। শনিবার রাত পৌনে ৯টা থেকে পৌনে ১২টা পর্যন্ত ৩ ঘণ্টা ভুবনের মস্তিষ্কে অস্ত্রোপচার চলে। অস্ত্রোপচার সফল হয়েছে কি না, তা ৭২ ঘণ্টা পর্যবেক্ষণ করার পর জানানো হবে বলে জানিয়েছিলেন চিকিৎসকরা। তবে রবিবার বেলা ১১টা থেকে তার অবস্থার অবনতি হতে থাকে। এ সময় চিকিৎসকরা বলেছিলেন, ভুবন চিকিৎসায় কোনো সাড়া দিচ্ছেন না। গত ১৮ সেপ্টেম্বর রাতে রাজধানীর তেজগাঁও শিল্পাঞ্চলের সিটি পেট্রলপাম্প ও বিজি প্রেসের মাঝামাঝি রাস্তায় চারটি মোটরসাইকেলে করে সাত-আটজন এসে প্রাইভেট কার আরোহী শীর্ষ সন্ত্রাসী তারিক সাঈদ ওরফে মামুনকে লক্ষ্য করে এলোপাতাড়ি গুলি ছোড়েন। মামুন গাড়ি থেকে নেমে দৌড়ে পালানোর সময় তাকে কুপিয়ে আহত করেন তারা। এ সময় এক মোটরসাইকেল আরোহী ভুবন চন্দ্র শীল গুলিবিদ্ধ হন। আহত হন আরিফুল হক নামের এক পথচারীও। ঘটনার এক সপ্তাহ পরও কাউকে গ্রেফতার করতে পারেনি আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী। এ ঘটনায় গুলিবিদ্ধ পথচারী ভুবন চন্দ্র শীলের (৫২) স্ত্রী রত্না রানী শীল গত মঙ্গলবার রাতে তেজগাঁও শিল্পাঞ্চল থানায় অজ্ঞাতনামা সাত-আটজনকে আসামি করে মামলা করেন। ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) তেজগাঁও শিল্পাঞ্চলের সহকারী কমিশনার (এসি) আরিফ রাইয়ান বলেন, গুলি ও কুপিয়ে আহত করার ঘটনায় মামলা হয়েছে। তবে এখন পর্যন্ত কাউকে গ্রেফতার করা হয়নি। এ ঘটনায় জড়িত ব্যক্তিদের চিহ্নিত করে গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে। পুলিশের ধারণা, কারাগারে থাকা আরেক শীর্ষ সন্ত্রাসী সানজিদুল ইসলাম ইমনের নির্দেশে এই হামলার ঘটনা ঘটেছে। জানা গেছে, শীর্ষ সন্ত্রাসী ইমন ও মামুন একসময় ধানমন্ডি, মোহাম্মদপুর ও তেজগাঁও এলাকার আতঙ্ক ছিলেন। তাদের গড়ে তোলা বাহিনীর নাম ছিল ‘ইমন-মামুন’ বাহিনী। তারা দুজনই চিত্রনায়ক সোহেল চৌধুরী হত্যা মামলার আসামি। ইমন কারাগারে থাকলেও সম্প্রতি মামুন ২৪ বছর পর জামিনে বের হন। কারাগারে থাকা অবস্থায়ই দুজনের বিরোধ দেখা দেয়। এই হামলার পেছনে ইমনের হাত রয়েছে বলে পুলিশ ধারণা করছে।

এই রকম আরও টপিক

সর্বশেষ খবর