শিরোনাম
বুধবার, ২৭ সেপ্টেম্বর, ২০২৩ ০০:০০ টা
আলোচনায় আগামী ভোট

নির্বাচন হতে হবে, না হলে সাংবিধানিক শূন্যতা : ইসি

নিজস্ব প্রতিবেদক

‘সংবিধান অনুযায়ী আগামী দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন জানুয়ারির ২৯ তারিখের মধ্যে হতে হবে। যেভাবেই হোক না কেন নির্বাচন (সংসদ নির্বাচন) হতে হবে। কারণ, তা না হলে একটি সাংবিধানিক বিরতি (শূন্যতা) তৈরি হবে। সেই বিরতি তৈরি হলে দেশে একটা অরাজকতার পরিস্থিতি সৃষ্টি হবে। সেটি তো নির্বাচন কমিশন হতে দিতে পারে না।’ গতকাল নির্বাচন ভবনে নিজ দফতরে সাংবাদিকদের বিভিন্ন প্রশ্নের জবাবে নির্বাচন কমিশনার মো. আলমগীর এসব কথা বলেন।

ইসি আলমগীর বলেন, আমরা তো একটি শপথ করেছি, না কি? আমরা কিন্তু সরকারি বা কোনো প্রতিষ্ঠানের কর্মচারী নয়। আমরা কিন্তু সংবিধান অনুযায়ী শপথ নিয়েছি এবং সংবিধানের দোহাই দিয়ে শপথ নিয়েছি। সেই শপথ তো আমাদের পূরণ করতে হবে। বিদেশি পর্যবেক্ষকের বিষয়ে এক প্রশ্নের জবাবে মো. আলমগীর বলেন, ইউরোপীয় ইউনিয়ন একটি সংস্থা। পৃথিবীতে আরও অনেক দেশ আছে। ইউরোপে অনেক দেশ আছে, এশিয়া, অস্ট্রেলিয়ায় অনেক দেশ আছে, সার্কভুক্ত দেশ আছে। এসব দেশ থেকে পর্যবেক্ষক আসতে পারেন। এই নির্বাচন কমিশনার আরও বলেন, ইউরোপীয় ইউনিয়ন থেকে বলেছে পূর্ণাঙ্গ না, ছোট পরিসরে আসতে পারে। পরবর্তী সময়ে হয়তো তারা মনেও করতে পারে, বড় পরিসরে আসবে। এটি তো চূড়ান্ত কোনো কথা নয়। মো. আলমগীর বলেন, শিগগির আগামী জাতীয় নির্বাচন পর্যবেক্ষণের জন্য সার্কভুক্ত দেশগুলোকে আমন্ত্রণ জানানো হবে।

তিনি বলেন, নির্বাচন কমিশনের ওপর যে দায়িত্ব জাতীয় নির্বাচন করার জন্য, সে অনুযায়ী প্রস্তুতির প্রয়োজন হয়। প্রস্তুতি কিন্তু আগে থেকে নিতে হয়। যেমন ভোটার তালিকা করতে হবে, ভোটকেন্দ্র করতে হবে। যারা নির্বাচনে দায়িত্ব পালন করবে তাদের প্রশিক্ষণ দিতে হবে। ব্যালট পেপার কেনার জন্য কাগজ প্রকিউরমেন্ট করতে হবে। নির্বাচন করার জন্য বাক্স লাগবে, সেগুলো কিনতে হবে, কালি লাগবে। সুঁই, সুতা নানা ধরনের জিনিস লাগবে। এখন নির্বাচন ডিসেম্বরে না কি জানুয়ারিতে হবে সেটি পরের বিষয়। নির্বাচন যখনই করেন।

 আপনাকে প্রস্তুতি তো আগে থেকেই রাখতে হবে। রাজনৈতিক দলগুলো কী ভোটের পথে- এ প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে সংকট আছে। নির্বাচন চায় না এমনটা তো কোনো দল বলছে না। আমাদের নিবন্ধিত যে রাজনৈতিক দল আছে, নির্বাচন চায় না কোনো দলই এটি বলেনি। আমরা কেন নির্বাচনের প্রস্তুতি নেব না।

নির্বাচনে পরিবেশ নিয়ে ইসি আলমগীর বলেন, নির্বাচনের পরিবেশ নিয়ে হয়তো অনেকে কথা বলছেন। পরিবেশ যাতে সুন্দর করা যায় তার জন্য আমরা চেষ্টা করব। পরিবেশের সবটা সুন্দর করার দায়িত্ব তো আমাদের নয়। পরিবেশ সুন্দর করা আমাদের যেটুকু দায়িত্ব সেটুকু আমরা করে যাচ্ছি।

সর্বশেষ খবর