বুধবার, ২৭ সেপ্টেম্বর, ২০২৩ ০০:০০ টা
প্রতিদিনই রাজপথে দুই দল

নিষেধাজ্ঞা মানি না মানব না

শান্তি ও উন্নয়ন সমাবেশে কাদের

নিজস্ব প্রতিবেদক

নিষেধাজ্ঞা মানি না মানব না

আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক, সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, যুক্তরাষ্ট্র নিষেধাজ্ঞা দেয়। আর ভয় দেখায় মির্জা ফখরুল। আমেরিকা মনে হয় তাকে এজেন্সি দিয়েছে। যুক্তরাষ্ট্রের নিষেধাজ্ঞা কেউ এখন শোনে না উল্লেখ করে তিনি বলেন, একাত্তরে নিষেধাজ্ঞা দিয়ে আমাদের থামাতে পারেনি। আজও আমাদের থামাতে পারবে না। আমরা কারও নিষেধাজ্ঞার পরোয়া করি না, আমরা পরোয়া করি আমাদের সংবিধানের। কোনো দেশের নিষেধাজ্ঞা আমরা মানি না, মানব না। গতকাল রাজধানীর পাশে কেরানীগঞ্জের জিনজিরায় ঢাকা জেলা আওয়ামী লীগের শান্তি ও উন্নয়ন সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় তিনি এ কথা বলেন। ঢাকা জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি বেনজীর আহমদের সভাপতিত্বে সমাবেশে বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তৃতা করেন, আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য অ্যাডভোকেট কামরুল ইসলাম, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুব-উল আলম হানিফ, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আ ফ ম বাহাউদ্দিন নাছিম, সাংগঠনিক সম্পাদক মির্জা আজম ও বিদ্যুৎ ও জ্বালানি প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ। ঢাকা জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক পনিরুজ্জামান তরুণের সঞ্চালনায় আরও বক্তব্য রাখেন, কেরানীগঞ্জ দক্ষিণ থানা আওয়ামী লীগের সভাপতি কেরানীগঞ্জ উপজেলা চেয়ারম্যান শাহীন আহম্মেদ ও সাধারণ সম্পাদক ম ই মামুন, ঢাকা জেলা আওয়ামী লীগের সহসভাপতি হাজী মুজিবুর রহমান, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক হাজী ইকবাল হোসেন, সাংগঠনিক সম্পাদক সাকুর হোসেন সাকু, কোষাধ্যক্ষ জসীম মাহমুদ। বেগম খালেদা জিয়ার অসুস্থতার বিষয়ে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বলেন, বিএনপি খালেদার অসুস্থতার চেয়েও তাকে নিয়ে বেশি রাজনীতি করতে চেয়েছে। সেটাই তাদের উদ্দেশ্য। খালেদা জিয়ার মুক্তির জন্য ৪৮ মিনিটের জন্য একটা আন্দোলনও করতে পারেনি। তিনি বলেন, বিএনপির লোকেরা এখন আড়ালে বসে হুমকি দিচ্ছে। কী করবে? ঢাকা দখল করবে? আমরাও প্রস্তুত আছি, কারা দখল করবে দেখা যাবে।

বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের কান্না প্রসঙ্গে আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক বলেন, কত মায়ের বুক খালি করে, কত জনকে স্বামী হারা, বাবা হারা করে বিএনপি এখন নিজেই কাঁদছে। ফখরুল সাহেব, কাঁদতে কাঁদতে বাংলাদেশ কান্নার দরিয়া হয়ে যাবে তবুও আপনাদের ক্ষমা নেই। পিতৃহত্যা, মাতৃহত্যার প্রতিশোধ আমরা নেব। বাংলাদেশের মানুষ বিএনপিকে ক্ষমা করবে না। ওবায়দুল কাদের আরও বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দেশে ফিরলেই খেলা শুরু হয়ে যাবে। ক্যাপ্টেন আসতেছেন। জাতিসংঘ সাধারণ অধিবেশন শেষে ক্যাপ্টেন এখন ওয়াশিংটনে আছেন। প্রস্তুত হয়ে যান, খেলা হবে। বিশেষ অতিথির বক্তৃতায় অ্যাডভোকেট কামরুল ইসলাম বিএনপি নেতাদের উদ্দেশে বলেন, আন্দোলন কত প্রকার ও কী কী আওয়ামী লীগ জানে। বেশি বাড়াবাড়ি করলে এমন জবাব দেব, আপনারা পালাবার পথ পাবেন না। মাহবুব-উল আলম হানিফ মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রকে উদ্দেশ করে বলেন, এ দেশের মানুষ ভিসানীতির পরোয়া করে না। সত্যিকারই যদি অবাধ সুষ্ঠু নির্বাচন চান, তবে নির্বাচন যারা বাধাগ্রস্ত করতে চায় সেই বিএনপিকে ভোটে আসতে বলুন। কোনো হুমকি দিয়ে লাভ হবে না। আ ফ ম বাহাউদ্দিন নাছিম বলেন, বাংলাদেশের গণতান্ত্রিক ধারাবাহিকতা নস্যাৎ করতে চায় বিএনপি। হরতাল, অবরোধ ও নৈরাজ্য সৃষ্টির নানা পাঁয়তারা করছে বিএনপি-জামায়াত। মির্জা আজম বলেন, অক্টোবরে সরকার পতনের সব ধরনের ষড়যন্ত্র করছে বিএনপি-জামায়াত। বাড়িঘর ভেঙে ফেলাসহ জীবননাশেরও হুমকি দিচ্ছে বিএনপি। তাই অক্টোবর মাস খুবই গুরুত্বপূর্ণ। দলের নেতা-কর্মীদের সজাগ থাকতে হবে।

বিদ্যুৎ ও জ্বালানি প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ বলেন, বিরিয়ানি দিয়ে বিএনপি কর্মী জোটায়। আর আওয়ামী লীগ কর্মীরা মাঠে-ঘাটে পরীক্ষিত। তিনি বলেন, এক সময় বাংলাদেশে বিদ্যুৎ ছিল না। আজ শতভাগ বিদ্যুতায়ন করেছি। প্রতিটি ঘর আজ বিদ্যুতের আলোয় আলোকিত। প্রতিটি জায়গায় লেগেছে উন্নয়নের ছোঁয়া।

 

 

সর্বশেষ খবর