বুধবার, ২৭ সেপ্টেম্বর, ২০২৩ ০০:০০ টা

যুক্তরাষ্ট্রে পোশাক রপ্তানি কমেছে

নিজস্ব প্রতিবেদক

যুক্তরাষ্ট্রের বাজারে বাংলাদেশ থেকে পোশাক রপ্তানি এক-তৃতীয়াংশ কমেছে। গতকাল উত্তরায় বিজিএমইএ কমপ্লেক্সে ‘পোশাক শিল্পের সার্বিক পরিস্থিতি’ নিয়ে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এ কথা বলেন বিজিএমইএ’র সভাপতি ফারুক হাসান।

এ সময় বিজিএমইএ’র সাবেক সভাপতি ও সংসদ সদস্য শফিউল ইসলাম মহিউদ্দিন, সালাম মুর্শেদী, বিজিএমইএ’র ভাইস প্রেসিডেন্ট শহিদুল্লাহ আজিমসহ সংগঠনের অন্য নেতারা উপস্থিত ছিলেন। লিখিত বক্তব্যে ফারুক হাসান বলেন, চলতি বছরের প্রথম সাত মাসে যুক্তরাষ্ট্র এবং ইউরোপীয় ইউনিয়নের সামগ্রিক পোশাক আমদানি আশঙ্কাজনক হারে কমেছে। যুক্তরাষ্ট্রের বৈশ্বিক পোশাক আমদানি ভ্যালুতে কমেছে ২২ দশমিক ২৮ শতাংশ, যেখানে বাংলাদেশ থেকে তাদের আমদানি কমেছে প্রায় ২০ শতাংশ। অন্যদিকে পরিমাণের দিক থেকেও যুক্তরাষ্ট্রের বৈশ্বিক আমদানি ২৮ শতাংশ কমেছে। যেখানে বাংলাদেশ থেকে কমেছে ২৯ শতাংশ। অর্থাৎ পরিমাণের দিক থেকে এই সময়ে বাংলাদেশ থেকে যুক্তরাষ্ট্রের আমদানি এক-তৃতীয়াংশ কমেছে। আর ইউরোপের বৈশ্বিক আমদানি কমেছে ৭ দশমিক ৫ শতাংশ এবং বাংলাদেশ থেকে কমেছে প্রায় ১২ শতাংশ। পাশাপাশি পরিমাণ অনুযায়ী সমগ্র বিশ্ব থেকে আমদানি কমেছে প্রায় ১৩ শতাংশ এবং বাংলাদেশ থেকে কমেছে ১৪ দশমিক ৫০ শতাংশ।

বিজিএমইএ’র সভাপতি বলেন, ‘আমাদের প্রধান দুটি বাজার হলো উত্তর আমেরিকা ও ইউরোপ। এ দুটি বাজারে মোট রপ্তানির প্রায় ৮০ শতাংশ হয়। এসব বাজারে অস্থিতিশীলতা তৈরি হলে বিরূপ প্রভাব পড়ে আমাদের শিল্পে। আমরা এ দুর্বলতা কাটিয়ে ওঠার জন্য বরাবরই বাজার সম্প্রসারণ ও নতুন বাজার তৈরির ওপর বিশেষ গুরুত্ব দিয়ে আসছি। ২০১০ সাল থেকে আমরা ক্রমাগত এ কাজটি করে আসছি। সর্বশেষ আমরা অস্ট্রেলিয়ায় দিনব্যাপী বাংলাদেশ অ্যাপারেল সামিট করেছি। সেখানে আমরা আমাদের শিল্পের সার্বিক অগ্রগতি তুলে ধরেছি। আমরা আশা করছি, অস্ট্রেলিয়ায় আমাদের রপ্তানিতে নতুন গতি সঞ্চার হবে। আমরা আরও অনেক অপ্রচলিত বাজার নিয়ে কাজ করছি যেমন দক্ষিণ কোরিয়া, জাপান, চীন, ভারত, সৌদি আরব এমনকি ইরাক। বর্তমান সংকটময় সময়ে নতুন বাজারে রপ্তানির প্রবৃদ্ধি আমাদের সাহায্য করছে। যুক্তরাষ্ট্রের ভিসা নিষেধাজ্ঞার কারণে পোশাক খাতের ব্যবসায় কোনো নেতিবাচক প্রভাব পড়বে না।’

ফারুক হাসান বলেন, ‘ন্যূনতম মজুরি বোর্ড এখন পর্যালোচনার জন্য কাজ করছে। বোর্ড এরই মধ্যে কয়েকটি সভা করেছে এবং বিভিন্ন স্টেকহোল্ডারের সঙ্গে পরামর্শ করছে। তারা কারখানা পরিদর্শন করে শ্রমিক ও মালিকদের সঙ্গে আলোচনা করছে। ধারণা করছি এ বছর শেষ হওয়ার আগেই একটি নতুন ন্যূনতম মজুরি ঘোষণা করা হবে। এর ফলে আমাদের খরচ কিন্তু আরও বাড়বে।’ সালাম মুর্শেদী বলেন, বিজিএমইএ পর্ষদের মেয়াদ আরও ছয় মাস বাড়ছে।

সর্বশেষ খবর