বুধবার, ২৭ সেপ্টেম্বর, ২০২৩ ০০:০০ টা
নিউইয়র্কে পররাষ্ট্রমন্ত্রী

যুক্তরাষ্ট্র সম্পর্ক আরও জোরদার করতে চায়

লাবলু আনসার, যুক্তরাষ্ট্র

পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে এ মোমেন বলেছেন, জলবায়ু পরিবর্তন, শান্তিরক্ষা মিশন, ট্রেড অ্যান্ড ইনভেস্টমেন্ট, নিরাপত্তা সেক্টরসহ সর্বত্র বাংলাদেশের সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের সম্পর্ক চমৎকার। প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন এ সম্পর্ককে আরও শক্তিশালী করতে চান। গত চার-পাঁচ বছরে বাংলাদেশের সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের বাণিজ্যিক সম্পর্ক দ্বিগুণ বেড়েছে। ৭ বিলিয়ন ডলার থেকে ১৪ বিলিয়ন ডলারে উঠেছে মার্কিন বাণিজ্যের পরিধি। শুধু তাই নয়, মার্কিন বিনিয়োগও বেড়েছে বাংলাদেশে। বাংলাদেশে বিদেশি বিনিয়োগের শতকরা ২১ ভাগ হচ্ছে আমেরিকান।

সোমবার নিউইয়র্কে বঙ্গবন্ধু ফাউন্ডেশন আয়োজিত এক মতবিনিময় সভায় তিনি এ কথা বলেন। এতে সভাপতিত্ব করেন সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক আবদুল কাদের মিয়া। সঞ্চালনা করেন আশরাব আলী খান লিটন। বক্তব্য রাখেন কবি ও কলামিস্ট ফকির ইলিয়াস, সেক্টর কমান্ডারস ফোরাম-মুক্তিযুদ্ধ ’৭১-র যুক্তরাষ্ট্র শাখার সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা লাবলু আনসার, বঙ্গবন্ধু ফাউন্ডেশনের কেন্দ্রীয় কমিটির নির্বাহী সভাপতি ড. মশিউর মালেক, ভাইস প্রেসিডেন্ট এম এ খালেক প্রমুখ। পররাষ্ট্রমন্ত্রী সরকারের অঙ্গীকার প্রসঙ্গে আরও বলেন, ফ্রি অ্যান্ড ফেয়ার ইলেকশন অনুষ্ঠানের অঙ্গীকার করেছি আমরা। শেখ হাসিনার সরকার গত ১৫ বছরে বাংলাদেশে অভাবনীয় সাফল্য অর্জন করেছেন। আমাদের যেখানে ১০ বিলিয়ন ডলারের এক্সপোর্ট ছিল, এখন তা ৬০ বিলিয়নে উঠেছে। জিডিপি ছিল ৯০ বিলিয়ন, এখন তা ৪৬৫ বিলিয়ন ডলার। অগ্রগতির এ ধারা অব্যাহত থাকলে খুব শিগগিরই ২৬তম বৃহত্তম অর্থনীতির দেশে পরিণত হব। ড. মোমেন বলেন, আমাদের দেশটি ১৭০ মিলিয়ন মানুষের। তাই আমাদের মার্কেটটি অনেক বড়। এ জন্য অনেকেরই আকর্ষণ বেড়েছে বাংলাদেশের প্রতি। আমাদের দেশের মানুষের গড় আয় পাঁচগুণ বেড়েছে। দারিদ্র্য অর্ধেকের নিচে নেমে এসেছে। তিনি বলেন, আমরা উন্নতি করছি বলে অনেকের গাত্রদাহ হয়েছে। কারণ আমরা এখন বিদেশি পয়সায় চলি না। আগে আমাদের শতকরা ৯৬ ভাগ উন্নয়ন প্রকল্প বিদেশিদের টাকায় হতো। এখন আমরা দেড় পার্সেন্টের বেশি বিদেশি টাকার ওপর নির্ভরশীল প্রকল্প নিই না। এ অবস্থায় অনেকে ঈর্ষান্বিত। এ ছাড়া আমরা অবস্থান করছি বে অব বেঙ্গলের মধ্যখানে। ভারত মহাসাগরের এ স্থান দিয়ে পৃথিবীর শতকরা ৬৮ ভাগ ব্যবসা-বাণিজ্য হয় এবং এগুলো চীনারা করছে।

আমেরিকা ও চীনের মধ্যে একটা বৈরী ভাব আছে। বাংলাদেশ চীনকে কনটেন্ট করতে চায়। অনেকে চায় আমরা তাদের লেজুড়বৃত্তি করি। কিন্তু বাংলাদেশের নেতা শেখ হাসিনা তা চান না। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান সুন্দর একটি পররাষ্ট্রনীতি দিয়ে গেছেন- ‘সবার সাথে বন্ধুত্ব, কারও সাথে বৈরিতা নয়’। সে আলোকে আমাদের পররাষ্ট্রনীতি কারও পক্ষে নয়। আমরা কারও বিরুদ্ধে যুদ্ধে লিপ্ত হতে চাই না বলে মানবাধিকার, সুশাসন, গণতন্ত্র ইত্যাদি ইস্যুতে আমাদের বিরুদ্ধে বক্তব্য দেওয়া হচ্ছে। ড. মোমেন সচেতন প্রবাসীদের প্রতি আহ্বান জানিয়ে বলেন, মূলধারার সঙ্গে সম্পর্ক জোরদার করুন, তাহলে কংগ্রেসম্যান ও সিনেটরদের তথ্য দিয়ে বিভ্রান্ত করা সম্ভব হবে না।

 

সর্বশেষ খবর