শনিবার, ৩০ সেপ্টেম্বর, ২০২৩ ০০:০০ টা

জলদস্যুদের গুলিতে দুই জেলে নিহত

নোয়াখালী প্রতিনিধি

নোয়াখালীর উপকূলীয় হাতিয়ার মেঘনা নদীর সন্দ্বীপের সীমানা অংশে মাছ ধরার স্থান দখলকে কেন্দ্র করে জলদস্যুদের গুলিতে দুই জেলে নিহত হয়েছেন। এ সময় গুলিবিদ্ধ দুজনসহ আহত হয়েছেন আরও পাঁচজন। অপহরণ করা হয়েছে আরও পাঁচজনকে। নিহত দুজনের লাশ সন্দ্বীপ হাসপাতালে নেওয়া হয়েছে। বৃহস্পতিবার সকালে গুলিবিদ্ধ জিল্লুর রহমান ও নুর আলম নামে দুই জেলেকে নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতাল থেকে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকায় নেওয়া হয়েছে। নিহতরা হলেন- নোয়াখালীর সুবর্ণচর উপজেলার পূর্ব চরবাটা ইউনিয়নের নাছির আহমদের ছেলে আবদুর রহমান (৪০) ও একই উপজেলার মোহাম্মদপুর ইউনিয়নের রাজু (৪২)। সন্দ্বীপ উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা মানস বিশ্বাস দুই জেলে নিহত হওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, কোস্টগার্ডের সদস্যরা দুই জেলের লাশ হাসপাতালে নিয়ে আসেন। ওই সময় আহত দু-তিন জেলেকে প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে ছেড়ে দেওয়া হয়। ভুক্তভোগী জেলেরা অভিযোগ করে বলেন, সুবর্ণচর উপজেলার মাইন উদ্দিন মাঝি ও অলি মাঝি মেঘনা নদীর স্বর্ণদ্বীপের পশ্চিমে সন্দ্বীপ অংশ থেকে দীর্ঘদিন থেকে মাছ শিকার আসছে। কিছু দিন আগে থেকে মেঘনা নদীর মাছ শিকারের এ স্থান দখলের চেষ্টা চালায় জলদস্যু কেফায়েত বাহিনী। বুধবার বিকালে এ বাহিনী ওই স্থান দখল করতে জেলেদের জাল কেটে দেয়। খবর পেয়ে দুটি মাছ ধরার ট্রলার নিয়ে সেখানে যান ভুক্তভোগী জেলেরা। এ সময় জলদস্যু কেফায়েত বাহিনীর সদস্য আলতাফ, নুরউদ্দিন ও জুয়েল জেলেদের দুটি মাছ ধরার ট্রলারে দুই দফা হামলা চালিয়ে মাছ, জাল, ট্রলারসহ কোটি টাকার মালামাল নিয়ে যায়। একপর্যায়ে জলদস্যু বাহিনী গুলি ছোড়ে এবং পাঁচ জেলেকে অপহরণ করে। চরজব্বর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) হুমায়ন কবির বলেন, মেঘনা নদীতে গোলাগুলি হয়েছে। এতে সুবর্ণচরের কয়েকজন আহত হয়েছেন। হাতিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা জিসান আহমেদ ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে বলেন, নদীতে দুপক্ষের মধ্যে মারামারি হয়েছে খবর পেয়ে কোস্টগার্ড ঘটনা থামানোর জন্য যায়।

সর্বশেষ খবর