ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক ও অপরাধ বিশেষজ্ঞ ড. তৌহিদুল হক বলেছেন, একটি দেশের মানুষ নানা কারণে সহিংসপ্রবণ কিংবা অপরাধপ্রবণ হয়ে উঠতে পারে। অন্যতম কারণ হলো নাগরিকদের মধ্যে সংহতি সংস্কৃতির ঘাটতি। সময় ও বিভিন্ন প্রেক্ষাপটে সংগঠিত অপরাধের বিচার বিলম্বিত হওয়া এবং অপরাধের শিকার ব্যক্তির জন্য নিরাপত্তা ও স্বাভাবিক জীবন-যাপনের জন্য প্রয়োজনীয় সেবার অপ্রতুলতা। মনে রাখা প্রয়োজন, মানুষ নিজ জীবনের স্বার্থে অথবা আইন এবং নৈতিকতার বিধিনিষেধ-বহির্ভূত সুযোগ পেতে কখনো কখনো মরিয়া হয়ে ওঠে। এই ধরনের পরিস্থিতি বা বাস্তবতা মানুষকে সহিংস করে তোলে। আইনের প্রয়োগের ওপর আস্থার ঘাটতি বা সমাজে মর্যাদা ও অবস্থানের খাতিরে মানুষের মূল্যায়ন মানুষকে দাঁড় করায় মানুষের বিরুদ্ধে। তিনি আরও বলেন, বাংলাদেশ বৈশ্বিক বিচারে ২২তম সহিংসপ্রবণ দেশ। বিচার-বিশ্লেষণে প্রতীয়মান যে, প্রথম স্থানে অবস্থান করা দেশ এবং বাংলাদেশের আগে অবস্থানকারী দেশসমূহে নাগরিকের সাংবিধানিক ও মানবাধিকার ভোগ করার পূর্বশর্তগুলো প্রশ্নবিদ্ধ। রাষ্ট্রের প্রতিষ্ঠানসমূহের প্রতি নাগরিকের আস্থার ঘাটতি এবং সমাজজীবনে সামাজিক অনুশাসনের ভিত্তিতে সৌহার্দ্যপূর্ণ শিষ্টাচারের অনুপস্থিতি সমাজে মানবিকতার পরিবর্তে ক্ষমতার দাপটে প্রচলিত চিরাচরিত প্রথা কোণঠাসা হয়ে পড়ে।