মঙ্গলবার, ৩ অক্টোবর, ২০২৩ ০০:০০ টা
ডিএমপি কমিশনার হাবিব

অনুমতি ছাড়া সমাবেশ করলে কঠোর ব্যবস্থা

বিশেষ প্রতিনিধি

অনুমতি ছাড়া সমাবেশ করলে কঠোর ব্যবস্থা

ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) নবনিযুক্ত কমিশনার হাবিবুর রহমান বলেছেন, রাজধানীতে কোনো সংগঠন অনুমতি ছাড়া মিছিল-মিটিং করলে আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। গতকাল সকালে ডিএমপির মিডিয়া সেন্টারে সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময় ও ব্রিফিংয়ে তিনি এ কথা বলেন। ডিএমপি কমিশনার বলেন, জনগণ যেন নির্ভয়ে ভোট কেন্দ্রে আসে, ভোট দেন সে ব্যবস্থা পুলিশ গ্রহণ করবে। একটি দেশ ভিসানীতি ঘোষণা করেছে, এটি তাদের নিজস্ব বিষয়। সেটি নিয়ে বাংলাদেশ পুলিশের চিন্তার কিছু নেই। তিনি বলেন, আমি পুলিশের ভিতর এ ধরনের নীতিতে কোনো চিন্তা দেখিনি। এটি ব্যক্তি পর্যায়ের বিষয়। এটি সংগঠন পর্যায়ের কোনো ব্যবস্থা নয়। সংগঠন হিসেবে ডিএমপি নিরাপদ ঢাকা গড়ার জন্য যতকিছু দরকার তা করছে। আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে কেন্দ্র করে আইনশৃঙ্খলার অবনতির আশঙ্কা নিয়ে এক প্রশ্নের জবাবে ডিএমপি কমিশনার বলেন, নির্বাচনে অবৈধ অস্ত্রের ঝনঝনানি বন্ধ করা গুরুত্বপূর্ণ। দেশে আদালত, বিচারিক প্রক্রিয়া আছে। যেসব অপরাধী জেল থেকে বের হচ্ছে তাদের কঠোর মনিটরিং করতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। অপরাধী ছোট হোক বড় হোক, কাউকে ছাড় নয়। জনগণ যেন নির্ভয়ে, নিশ্চিন্তে, নিরাপদে ভোট কেন্দ্রে যেতে পারেন, ভোট দিতে পারেন, পুলিশ সে ধরনের ব্যবস্থা গ্রহণ করবে। অবৈধ অস্ত্র বা যে কোনো চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় পুলিশের দক্ষতা ও যোগ্যতা রয়েছে। তিনি বলেন, ঢাকা একটি মেগাসিটি। ৩০৬ বর্গকিলোমিটার আয়তনের এই ঢাকা শহরে জনসংখ্যার ঘনত্ব ৭৩ হাজারের বেশি। এই শহরে পুলিশিং বড় চ্যালেঞ্জ ও জটিল প্রক্রিয়া। তারপরও ডিএমপি সৃষ্টির পর থেকে অত্যন্ত দক্ষতা ও যোগ্যতার সঙ্গে জনগণের পাশে রয়েছে, দায়িত্ব পালন ও সমস্যার সমাধান করে আসছে। হাবিবুর রহমান বলেন, বৈশ্বিক অবস্থা ও প্রযুক্তির উন্নয়নের কারণে নতুন সমস্যা হয়ে দেখা দিয়েছে সাইবার ক্রাইম। এই সাইবার অপরাধ দমনে বিভিন্ন তৎপরতা চালিয়ে যাচ্ছে ডিএমপি। আজ থেকে ১৫ বছর আগের তুলনায় এখন ঢাকার চিত্র অনেক ভিন্ন। আমরা এখন দেখতে পাই এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে, ফ্লাইওভার, মেট্রোরেল। এই যানজটের নগরী ঢাকায় অট্টালিকা প্রতিদিন তৈরি হচ্ছে। রাস্তা কিন্তু কমেছে। জনসংখ্যার ঘনত্ব অনুযায়ী ঢাকায় দরকার ৭৫ বর্গ কি.মি. সড়ক। সেখানে আছে ২৮ বর্গ কি.মি. সড়ক। সুতরাং যানজট এই শহরের বড় সমস্যা। তিনি আরও বলেন, ২ কোটি ২৪ লাখ মানুষের জন্য আমাদের জনবল মাত্র ৩৪ হাজার। তবুও ডিএমপি দক্ষতা ও যোগ্যতার সঙ্গে দায়িত্ব পালন করে চলেছে। বিট ও কমিউনিটি পুলিশিংকে আরও শক্তিশালী করা হচ্ছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, এই শহরকে নিরাপদ ঢাকা, বেটার ঢাকা গড়ার লড়াই চালিয়ে যাব। ঢাকাকে আইনশৃঙ্খলা, জনশৃঙ্খলার দিক দিয়ে একটি নিরাপদ ও শক্তিশালী শহর হিসেবে গড়তে পুলিশ প্রস্তুত রয়েছে। এ জন্য সবার সহযোগিতা প্রত্যাশা করেন তিনি। এ সময় অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার (অ্যাডমিন) এ কে এম হাফিজ আক্তার, অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার (ক্রাইম অ্যান্ড অপারেশনস) ড. খ. মহিদ উদ্দিন, অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার (লজিস্টিকস, ফিন্যান্স অ্যান্ড প্রকিউরমেন্ট) মহা. আশরাফুজ্জামান, অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার (ট্রাফিক) মো. মুনিবুর রহমান, অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার (সিটিটিসি) মো. আসাদুজ্জামান, অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার (গোয়েন্দা) মোহাম্মদ হারুন অর রশীদ, যুগ্ম পুলিশ কমিশনারগণ, উপ-পুলিশ কমিশনারগণ ও বিভিন্ন পদমর্যাদার পুলিশ কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

 

সর্বশেষ খবর