স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান বলেছেন, চিকিৎসার জন্য বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়াকে বিদেশে পাঠানো সম্ভব নয় বলে মত দিয়েছে আইন মন্ত্রণালয়। কাজেই সেখানে সরকারের কিছু করণীয় নেই। গতকাল সচিবালয়ে নিজ দফতরে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, বেগম জিয়ার ছোটভাই যে আবেদন করেছিলেন সেখানে বলা হয়েছে, বিএনপি চেয়ারপারসনকে চিকিৎসার জন্য বিদেশে নিয়ে যাওয়া প্রয়োজন। আমরা সে আবেদন আইন মন্ত্রণালয়ে পাঠিয়েছি। কারণ, এ বিষয়ে কিছু আইনি জটিলতা রয়েছে। রবিবার আইন মন্ত্রণালয় মতামত দিয়ে আবেদনটি আবার আমাদের কাছে পাঠিয়েছে। এটা দেওয়া সম্ভব নয় বলে আইন মন্ত্রণালয় আমাদের জানিয়েছে। কাজেই এখন আমাদের আর কিছু করণীয় নেই। তাদের কোনো কিছু জানার থাকলে কথা বলতে পারেন। কিন্তু সিদ্ধান্ত যেটা সেটা পরিবর্তন হওয়ার সুযোগ এই মুহূর্তে নেই। ‘এটি আইনগত নয় বরং রাজনৈতিক সিদ্ধান্ত’ বিএনপির আইন সম্পাদকের এ বক্তব্য প্রসঙ্গে জানতে চাইলে মন্ত্রী বলেন, ক্রাইম অ্যান্ড পানিশমেন্ট তো রাজনৈতিক সিদ্ধান্ত নয়। আমাদের আইন বিভাগ ও বিচার বিভাগ সম্পূর্ণ স্বাধীন। সেখানে আমাদের কর্তৃত্ব নেই। রাষ্ট্রপতি কাউকে ক্ষমা করে দিতে পারেন। এটাই তো তারা ইঙ্গিত করছেন। তাদের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে আইন মন্ত্রণালয় যে মতামত দিয়েছে, সেটাই আপনাদের জানিয়েছি। এর বাইরে আমাদের কিছু করণীয় নেই। যুক্তরাষ্ট্রের ভিসানীতিতে অন্তর্ভুক্তদের তালিকা পেয়েছেন কি না জানতে চাইলে মন্ত্রী বলেন, আমরা এ ধরনের তালিকা পাইনি। আমাদের কাছে কোনো নাম আসেনি, যাদের যুক্তরাষ্ট্র ভিসা দেবে না। যেগুলো বলা হচ্ছে সেগুলো মনে হয় সবই অতিরঞ্জিত। অনেক পুলিশ কর্মকর্তার বাড়ি আছে যুক্তরাষ্ট্রে এটি স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় কীভাবে দেখছে জানতে চাইলে মন্ত্রী বলেন, আমাদের কাছে এ ধরনের সংবাদ নেই। আমরা তো শুনি অনেকেরই আছে। ব্যবসায়ীদের আছে, সাংবাদিক ভাইদেরও আছে। পুলিশের শুনতেছি থাকতে পারে। যুক্তরাষ্ট্র তো অনেকের যাওয়ার জায়গা, বাসস্থানের জায়গা। এ জন্য অনেকে হয়তো গেছেন, বাড়ি করেছেন। নির্বাচনকে কেন্দ্র করে আন্ডারওয়ার্ল্ড সক্রিয় হচ্ছে কি না জানতে চাইলে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, কারা আন্ডারওয়ার্ল্ড তৈরি করেছিল, বাংলাভাইয়ের জন্মদাতা কারা, কারা হাত-পায়ের রগ কেটে মেধাবী ছাত্রদের হত্যা করেছিল। সেগুলো আপনারা জানেন।
তারা যদি আবার বিশ্বাস করে সেই ধরনের ঘটনা ঘটিয়ে সরকারকে বিব্রত করবে, তবে সেটা তাদের ভুল ধারণা। জনগণ যতক্ষণ সরকারের পক্ষে থাকবে ততক্ষণ এ ধরনের ধ্বংসাত্মক রাজনীতি করে কেউ সুবিধা পাবে না।