বুধবার, ৪ অক্টোবর, ২০২৩ ০০:০০ টা
পোশাক শ্রমিকদের ৮ হাজার টাকা মজুরি

প্রশ্ন তুললেন দুই রাষ্ট্রদূত

নিজস্ব প্রতিবেদক

দেশের তৈরি পোশাক খাতের ন্যূনতম মজুরি নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন ঢাকায় নিযুক্ত দুই রাষ্ট্রদূত। তাঁরা বলেছেন, ৮ হাজার টাকা ন্যূনতম মজুরি মোটেও ভালো মজুরি নয়। আর কতদিন এ মজুরি থাকবে, বর্তমানে সেটাই জরুরি প্রশ্ন।

গতকাল তৈরি পোশাক খাতের পরিবেশবান্ধব রূপান্তরকে টেকসই করার বিষয়ে আয়োজিত এক সংলাপে তাঁরা এসব কথা বলেন। বেসরকারি গবেষণা প্রতিষ্ঠান সেন্টার ফর পলিসি ডায়ালগ (সিপিডি) রাজধানীর গুলশানের একটি হোটেলে এ সংলাপ আয়োজন করে। সংলাপে পরিকল্পনা প্রতিমন্ত্রী শামসুল আলম প্রধান অতিথি ছিলেন। সম্মানিত অতিথি ছিলেন বাংলাদেশে সুইডেনের রাষ্ট্রদূত আলেকজান্দ্রা বার্গ ভন লিন্ডে ও ঢাকায় নিযুক্ত ইউরোপীয় ইউনিয়নের (ইইউ) রাষ্ট্রদূত চার্লস হোয়াটলি। প্যানেল আলোচক হিসেবে ছিলেন বাংলাদেশ পোশাক প্রস্তুতকারক ও রপ্তানিকারক সমিতির (বিজিএমইএ) জ্যেষ্ঠ সহসভাপতি শহীদুল্লাহ আজিম এবং বাংলাদেশে নেদারল্যান্ডস দূতাবাসের ডেপুটি হেড থিজ উডস্ট্রা। ঢাকায় নিযুক্ত ইউরোপীয় ইউনিয়নের (ইইউ) রাষ্ট্রদূত চার্লস হোয়াইটলি বলেন, আমাদের এখন শোভন মজুরি ও তা নিশ্চিতে ব্র্যান্ড ও ক্রেতাদের ভূমিকা নিয়ে কথা বলা প্রয়োজন। পাঁচ বছর আগে সর্বশেষ মজুরি বাড়ানো হয়েছিল। বর্তমান অর্থনৈতিক বাস্তবতায় একটি সাধারণ পরিবারের জন্য ৮ হাজার টাকা মোটেও ভালো মজুরি নয়। মজুরি বৃদ্ধির বিষয়ে উদ্যোক্তা ও সরকারের পাশাপাশি ব্র্যান্ড ও ক্রেতাদেরও এগিয়ে আসতে হবে। বাংলাদেশে নেদারল্যান্ডস দূতাবাসের উপপ্রধান থিজ উডস্ট্রা বলেছেন, এলডিসি উত্তরণের পর বাংলাদেশকে ন্যূনতম মজুরির ফাঁদ থেকে বের হতে হবে। এ অবস্থায় দেশের পোশাকশ্রমিকদের ন্যূনতম মজুরি আর কতদিন ৮ হাজার টাকা থাকবে, বর্তমানে এটিই জরুরি প্রশ্ন। অনুষ্ঠানে থিজ উডস্ট্রা আরও বলেন, প্রবৃদ্ধির মডেল নিয়ে বাংলাদেশের পুনরায় চিন্তা করা প্রয়োজন। এলডিসি উত্তরণের পর বাংলাদেশের জন্য একই সঙ্গে সুযোগ ও চ্যালেঞ্জ তৈরি হবে। ফলে বিষয়টি মাথায় রেখে দেশের পোশাক খাতের ৪৫ লাখ শ্রমিকের কথা চিন্তা করতে হবে। বর্তমান বাস্তবতায় শ্রমিকদের মজুরি বৃদ্ধি ও কাজের পরিবেশ উন্নত করার বিকল্প নেই। অনুষ্ঠানে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন সিপিডির গবেষণা ফেলো মুনতাসির কামাল। সংলাপে সভাপতিত্ব করেন সিপিডির নির্বাহী পরিচালক ফাহমিদা খাতুন।

সর্বশেষ খবর