বুধবার, ৪ অক্টোবর, ২০২৩ ০০:০০ টা

খালেদা জিয়ার প্রতি মহানুভবতা নজিরবিহীন

নিজস্ব প্রতিবেদক

খালেদা জিয়ার প্রতি মহানুভবতা নজিরবিহীন

তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী এবং আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন, বেগম খালেদা জিয়া ১৫ আগস্ট বঙ্গবন্ধু হত্যাকান্ডের দিনে নিজের মিথ্যা জন্মদিন পালন করে কেক কেটেছেন। ২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলায় মদদ দিয়ে শেখ হাসিনা ও আওয়ামী লীগ নেতৃত্বকে নিশ্চিহ্ন করতে চেয়েছেন। ক্ষমতায় থেকে শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে ১২টা মামলা করেছেন। সেই প্রতিহিংসা পরায়ণ বেগম জিয়ার প্রতি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা যে মহানুভবতা দেখিয়ে চলেছেন তা নজিরবিহীন। গতকাল দুপুরে সচিবালয়ে ক্যাবল অপারেটরস অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (কোয়াব) প্রতিনিধিদের সঙ্গে বৈঠকের আগে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে এসব কথা বলেন তিনি। কোয়াব প্রেসিডেন্ট এ বি এম সাইফুল ইসলাম, সিনিয়র ভাইস প্রেসিডেন্ট নিজামুদ্দীন মাসুদ, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক কামরুল আলম শামীম প্রমুখ এ সময় উপস্থিত ছিলেন। বিএনপি নেতাদের বক্তব্য ‘আইনের ভুল ব্যাখ্যা দিয়ে সরকার বেগম জিয়াকে বিদেশ যেতে বাধা দিচ্ছে’ এর জবাবে তথ্যমন্ত্রী আরও বলেন, সরকার কোনোভাবেই ভুল ব্যাখ্যা দিচ্ছে না।

তাঁরা যদি তা মনে করেন তাহলে তো আদালতে যেতে পারেন। আর বেগম জিয়ার প্রতি যথাযথ সম্মান রেখেই বলতে চাই, তাঁর কী পরিমাণ দম্ভ, অহমিকা যে তাঁর পুত্র বিয়োগে সমবেদনা জানাতে তাঁর বাড়ির দরজায় দেশের প্রধানমন্ত্রী গিয়ে ২০ মিনিটেরও বেশি সময় দাঁড়িয়ে ছিলেন। তিনি দরজা খোলেননি। তাঁর আমলে শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে ১২টি মামলা করা হয়েছিল। আমাদের সরকার তো খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে একটি মামলাও করেনি। তাঁর বিরুদ্ধে সব মামলা সেনাসমর্থিত তত্ত্বাবধায়ক সরকারের আমলের। সেই সব মামলার বিচার হচ্ছে, তাতেই তিনি সাজা খাটছেন। মন্ত্রী বলেন, শুধু তাই নয়, বেগম জিয়ার নির্দেশে এফবিআইয়ের এজেন্ট লাগিয়ে প্রধানমন্ত্রীর পুত্র সজীব ওয়াজেদ জয়কে আমেরিকায় অপহরণ করার পরিকল্পনা হয়েছিল। পরে চক্রান্ত ফাঁস হয়ে যায়, সেই এজেন্টের এখন বিচার হচ্ছে। বিএনপি কেন নির্বাচনে আসতে চায় না। সে প্রশ্নে তথ্যমন্ত্রী বলেন, বেগম খালেদা জিয়া বা তারেক রহমান নির্বাচনে অংশগ্রহণ করতে পারবে না বলেই বিএনপি নির্বাচন চায় না। এই দুই শীর্ষ নেতা আর কাউকে নেতা বানানোর জন্য বিএনপিকে নির্বাচনে যেতে দিতেও চায় না। জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ে বিবাহিত ছাত্রীদের হল ত্যাগের নির্দেশ ও ছাত্রছাত্রীদের বাসে পৃথকভাবে বসার নির্দেশ প্রসঙ্গে সাংবাদিকদের তথ্যমন্ত্রী বলেন, আমি কাগজে খবরটা দেখেছি, এ ধরনের একটি সিদ্ধান্ত বিশ্ববিদ্যালয় নিয়েছে জেনে খুব আশ্চর্য হয়েছি। ছাত্রীরা বিয়ে করলে হলে থাকতে পারবে না। এমন সিদ্ধান্ত আমার দৃষ্টিতে একেবারেই অযৌক্তিক। পাশাপাশি এ যুগে বিশ্ববিদ্যালয় বাসে ছাত্রীরা এক জায়গায় বসবে। ছাত্ররা আরেক জায়গা বসবে- সেটিও তো অবাস্তব একটি সিদ্ধান্ত। এ ধরনের সিদ্ধান্ত কর্তৃপক্ষ কীভাবে নেয় এটা আমার বোধগম্য নয়। আমি এটা শিক্ষামন্ত্রীর নজরে আনব।

সর্বশেষ খবর