শিরোনাম
বৃহস্পতিবার, ৫ অক্টোবর, ২০২৩ ০০:০০ টা

সরাসরি বিনিয়োগচিত্র হতাশাজনক

নিজস্ব প্রতিবেদক

সরাসরি বিনিয়োগচিত্র হতাশাজনক

ইউরোপীয় ইউনিয়নের রাষ্ট্রদূত ও ইউরোপীয় ডেলিগেশন প্রধান চার্লস হোয়াইটলি বলেছেন, বাংলাদেশের সঙ্গে ইউরোপের সরাসরি বিনিয়োগে অনেক গ্যাপ রয়েছে, যা হতাশাজনক।

বাংলাদেশের মতো সমসাময়িক দেশ, যেমন ভিয়েতনামের সঙ্গে ইউরোপের বড় বাণিজ্য রয়েছে। সে তুলনায় বাংলাদেশের সঙ্গে অনেক কম। গত ১৫ বছরে ভিয়েতনামে ইইউর সরাসরি বিনিয়োগ হয়েছে ২৮ বিলিয়ন ডলার। আর একই সময়ে বাংলাদেশে ইইউর বিনিয়োগ মাত্র ৫ বিলিয়ন ডলারের কিছু বেশি। আর সেন্ট্রাল ইউরোপ থেকে তা মাত্র ২ বিলিয়ন ডলারের। গতকাল রাজধানীর একটি হোটেলে ঢাকা চেম্বার এবং ইইউ আয়োজিত ‘বাংলাদেশে পরিচালিত ইউরোপিয়ান কোম্পানিগুলোর বাণিজ্য ও বিনিয়োগ সম্প্রসারণ’ শীর্ষক সেমিনারে তিনি এসব কথা বলেন। তিনি বলেন, বাংলাদেশের জিএসপি প্লাস সুবিধা নেওয়ার সুযোগ রয়েছে। এ সুযোগ সব পণ্যের ক্ষেত্রে হলেও অস্ত্র বাণিজ্য ছাড়া এ সুবিধা নিতে পারবে। তবে এ জন্য আন্তর্জাতিক শ্রম আইন বাস্তবায়ন জরুরি। আন্তর্জাতিক শ্রম আইন বাস্তবায়ন করলে বাংলাদেশে ইইউর বিনিয়োগ বেড়ে যাবে। ইইউ সংশোধিত শ্রম আইনের ওপর নজর রাখছি। একই সঙ্গে আমি বলতে পারি আজকের ফলপ্রসূ আলোচনা পরবর্তীতে আমরা ইউরোপের বাণিজ্য সেমিনারে উত্থাপন করব।

তিনি বলেন, বহু বছর ধরেই ইইউভুক্ত দেশসমূহ বাংলাদেশের উৎপাদিত পণ্য রপ্তানির একটি আদর্শ গন্তব্যস্থল এবং ‘মেড ইন বাংলাদেশ’ ট্যাগটি বাস্তবায়নে কাজ করে যাচ্ছে। বাংলাদেশের এলডিসি উত্তরণ পরবর্তী সময়ে ইইউর সহযোগিতা অব্যাহত থাকবে বলে আশ্বস্ত করেন ইইউ রাষ্ট্রদূত। তথ্যপ্রযুক্তি, এভিয়েশন, নবায়নযোগ্য জ্বালানি, কৃষি, ওষুধ প্রভৃতি খাতে ইইউ কোম্পানিসমূহের বাংলাদেশে বিনিয়োগ সম্প্রসারণের যথেষ্ট সুযোগ রয়েছে বলে জানান তিনি। এ ছাড়াও বাণিজ্য ঘাটতি মেটাতে আরও বেশি হারে বাণিজ্য ও বিনিযোগ কার্যক্রম সম্প্রসারণের ওপর রাষ্ট্রদূত জোরারোপ করেন।

সর্বশেষ খবর