শিরোনাম
বৃহস্পতিবার, ৫ অক্টোবর, ২০২৩ ০০:০০ টা

আবার তথ্যফাঁস এনআইডির

নিজস্ব প্রতিবেদক

আবারও ফাঁস হয়েছে জাতীয় পরিচয়পত্রের তথ্য। এখন এ তথ্য পাওয়া যাচ্ছে যোগাযোগ অ্যাপস টেলিগ্রামে। যে কোনো নাগরিকের স্মার্ট জাতীয় পরিচয়পত্রের নম্বর, জন্ম সাল, জন্ম মাস ও তারিখ দিয়ে টেলিগ্রামের ‘এনআইডি ইনফরমেশন’ নামক চ্যানেলে সার্চ করলেই মিলেছে যে কোনো নাগরিকের তথ্য।

গতকাল রাতেও এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত টেলিগ্রামের ‘এনআইডি ইনফরমেশন’ নামক চ্যানেলে ১০ ডিজিটের স্মার্ট এনআইডি নম্বর দিয়ে সার্চ করে নাগরিকের ব্যক্তিগত তথ্য পাওয়ার সত্যতা মিলেছে। এদিকে টেলিগ্রামে নাগরিকের এনআইডির তথ্য পাওয়ায় অনেকেই উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন। একজন বেসরকারি চাকরিজীবী বলেন, তথ্য ফাঁসের সঙ্গে জড়িত সবার জেল-জরিমানা হওয়া উচিত। ইসির কেউ জড়িত থাকলে তার চাকরি যাওয়াসহ কঠোর শাস্তি হওয়া উচিত। এ বিষয়ে এনআইডির সিস্টেম ম্যানেজার আশরাফ হোসেন বাংলাদেশ প্রতিদিনকে বলেছেন, বিষয়টি তারা গত মঙ্গলবার জানতে পেরেছেন। ইসির কাছ থেকে এখন ১৭৪টি প্রতিষ্ঠান তথ্য নেয়। এ প্রতিষ্ঠানগুলোর একটির মাধ্যমে এটি হয়েছে। এ বিষয়ে ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে। প্রতিষ্ঠানগুলো ইসির কাছ থেকে তথ্য নিয়ে অনেকে নিজেরা আলাদা পোর্টাল করে। সেগুলোয় দুর্বলতা থাকে। ওদের পোর্টাল কম্প্রোমাইজ হয়, আগেও এ রকম হয়েছে। অন্যদিকে জন্মনিবন্ধন, জাতীয় পরিচয়পত্র তৈরিসহ নানা সেবা নিতে বিভিন্ন সরকারি সংস্থাকে মানুষ তার ব্যক্তিগত তথ্য দেয়। কিন্তু সে তথ্য অনেক ক্ষেত্রেই সুরক্ষিত থাকছে না, ফাঁস অথবা বেহাত হয়ে যাচ্ছে। বাংলাদেশের লাখ লাখ মানুষের ব্যক্তিগত তথ্য ফাঁসের সর্বশেষ ঘটনার খবর জানিয়েছে যুক্তরাষ্ট্রের তথ্যপ্রযুক্তিভিত্তিক অনলাইন সংবাদমাধ্যম টেকক্রাঞ্চ। ৭ জুলাই তাদের এক প্রতিবেদনে বলা হয়, বাংলাদেশে এবারের তথ্য ফাঁসের ঘটনা ঘটেছে সরকারি একটি সংস্থার ওয়েবসাইটের মাধ্যমে। অন্যদিকে ব্যক্তিগত তথ্য ফাঁস হওয়ায় সাধারণভাবে সন্দেহের তীর গেছে জাতীয় পরিচয়পত্র বা এনআইডি সার্ভারের দিকে। যদিও তারা বলেছে, ১৭৪টি সরকারি-বেসরকারি সংস্থা এনআইডি সার্ভারের তথ্য ব্যবহার করে। দেশের ১৮ কিংবা তার বেশি বয়সী নাগরিকদের জাতীয় পরিচয়পত্র দেওয়া হয়। তাতে নাগরিকের ব্যক্তিগত তথ্য থাকে। আবার শিশুদের জন্মনিবন্ধনও হয় ডিজিটাল পদ্ধতিতে। গাড়ি চালানোর লাইসেন্স পাওয়া, পাসপোর্ট করা, জমি বেচাকেনা, ব্যাংক অ্যাকাউন্ট খোলাসহ বিভিন্ন সেবা নেওয়ার ক্ষেত্রে নাগরিকদের তথ্য দিতে হয়। তাই তথ্য ফাঁসের ঘটনা এসব প্রতিষ্ঠানের সার্ভার থেকেও হতে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে।

সর্বশেষ খবর