শিরোনাম
বৃহস্পতিবার, ৫ অক্টোবর, ২০২৩ ০০:০০ টা

দুই শিশুকে পুড়িয়ে অটোচালককে পিটিয়ে হত্যা

প্রতিদিন ডেস্ক

নোয়াখালীতে এক সিএনজি চালককে পিটিয়ে এবং ফেনীতে ঘরে আগুন দিয়ে দুই শিশুকে পুড়িয়ে হত্যার অভিযোগ পাওয়া গেছে। গতকাল ঘটনা দুটি ঘটেছে। আমাদের প্রতিনিধিদের পাঠানো খবর-

নোয়াখালী : চাটখিলে রাস্তায় এলোমেলোভাবে গাড়ি রেখে যানজট সৃষ্টির প্রতিবাদ করায় সিএনজিচালিত এক অটোরিকশা চালককে পিটিয়ে হত্যা করা হয়েছে। এ ঘটনায় এক ব্যাটারিচালিত অটোরিকশা চালক ও সিএনজিচালিত অটোরিকশা  চালককে আটক করেছে পুলিশ। নিহত মো. সাখাওয়াত উল্লাহ (৫৫) উপজেলার পাঁচগাঁও ইউনিয়নের পাইকবাড়ির মৃত হাবিবুর রহমানের ছেলে। জানা গেছে, গতকাল সকালে মৃতদেহ ময়নাতদন্তের জন্য ২৫০ শয্যাবিশিষ্ট নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়। মঙ্গলবার দিনগত রাতে উপজেলার চাটখিল-সোনাইমুড়ী সড়কের পাঁচগাঁও ইউনিয়নের মোস্তান নগর এলাকার মহুরী মার্কেটে পিটিয়ে হত্যার ঘটনা ঘটে।  চাটখিল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা গিয়াস উদ্দিন বলেন, রাস্তায় গাড়ি সরানোকে কেন্দ্র করে এ ঘটনা ঘটেছে। মৃতদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। দুই আসামিকে আটক করা হয়েছে। তিনজনকে আসামি করে মামলা হয়েছে।  ফেনী : পৗরসভার ৪ নম্বর ওয়ার্ডের মধ্যম বিরিঞ্চির পচি ফকিরবাড়ির মাহিদুল ইসলাম শাহাদাত (১৩) ও তানজিদুল ইসলাম গোলাপকে (৭) আগুনে পুড়িয়ে হত্যার অভিযোগ তুলেছেন পরিবারের লোকজন। গতকাল ভোর রাতের দিকে  এ ঘটনা ঘটে। শিশুদের বাবা সহিদুল ইসলাম রনি জানান, পূর্ব বিরোধের জের ধরে তার বসতঘরে আগুন ধরিয়ে দিয়েছে প্রতিপক্ষ। তিনি বলেন, ‘কয়েকদিন আগে আমাদের মালিকানাধীন কবরস্থানে অনুমতি ছাড়া জনি ও আনোয়ার তাদের এক স্বজনের মৃতদেহ দাফন করতে আসে। এ নিয়ে জনি ও আনোয়ারের সঙ্গে আমাদের কথা কাটাকাটি হয়। এরপর থেকেই তারা আমাদের দফায় দফায় হুমকি দিয়েছে। এরই ধারাবাহিকতায় পেট্রল দিয়ে আমার ঘরে আগুন লাগিয়ে দেওয়া হয়েছে।’ সরেজমিন ঘুরে স্থানীয়দের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, ভুক্তভোগীদের চিৎকারে আশপাশের লোকজন এসে আগুন নেভানোর চেষ্টা করে। তবে দুই সন্তানকে চোখের সামনেই আগুনে পুড়তে দেখেন বাবা-মাসহ প্রতিবেশীরা। এই নৃশংস ঘটনার সুষ্ঠু তদন্তের দাবি করে স্থানীয়রা জানান, তারা আগুন নেভাতে এসে দেখেন ঘরটির প্রধান দরজা বাইরে থেকে রশি দিয়ে বাঁধা। ধারণা করা হচ্ছে, হত্যার উদ্দেশে দুর্বৃত্তরা আগুন লাগিয়েছে, যাতে ঘর থেকে কেউ বের হতে না পারে। স্থানীয়রা আরও জানান, তাদের চেষ্টায় আগুন কিছুটা নিয়ন্ত্রণে এলেও সহিদুল ইসলাম রনির বড় ছেলে মাহিদুল ইসলাম শাহাদাতের দগ্ধ মৃতদেহ খাটের ওপর থেকে উদ্ধার করা হয়। আর ছোট ছেলে তানজিদুল ইসলাম গোলাপকে খাটের নিচ থেকে দগ্ধ অবস্থায় উদ্ধার করে ফেনী জেনারেল হাসপাতালে নেওয়ার পথে সেও মারা যায়। আগুনে পুড়ে দুই সহোদরের মৃত্যুর খবর শুনে ঘটনার পরপরই সেখানে ছুটে যান ফেনী জেলা পুলিশ সুপার জাকির হাসান ও ফেনী পৌরসভার মেয়র নজরুল ইসলাম স্বপন মিয়াজী। ফেনী ফায়ার সার্ভিস অ্যান্ড সিভিল ডিফেন্সের সিনিয়র স্টেশন অফিসার জাকের হোসেন জানান, খবর পেয়ে আমরা ঘটনাস্থলে যাই। আগুন লাগার কারণ তদন্তেই বেরিয়ে আসবে। স্থানীয়দের পাশাপাশি স্বজনদের অভিযোগের বিষয়টি সুষ্ঠু তদন্তের মাধ্যমে খতিয়ে দেখার আহ্বান জানিয়েছেন ফেনী পৌরসভার মেয়র নজরুল ইসলাম স্বপন মিয়াজী। ফেনী মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মোহাম্মদ শহীদুল ইসলাম চৌধুরী বলেন, বিষয়টি গুরুত্ব সহকারে দেখা হচ্ছে। তদন্তের মাধ্যমে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণ করা হবে।

সর্বশেষ খবর