বৃহস্পতিবার, ৫ অক্টোবর, ২০২৩ ০০:০০ টা

গণমাধ্যমকে বাধা দিলেও ভিসানীতির প্রয়োগ

নিজস্ব প্রতিবেদক

গণমাধ্যমকে বাধা দিলেও ভিসানীতির প্রয়োগ

বাংলাদেশের গণতান্ত্রিক নির্বাচনপ্রক্রিয়াকে বাধাগ্রস্ত করার উদ্দেশ্যে গণমাধ্যমকে নিজস্ব মতামত প্রচার থেকে বিরত রাখার পদক্ষেপ নেওয়া হলে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিদের ওপরও মার্কিন ভিসানীতি প্রয়োগ করা হবে। ঢাকায় নিযুক্ত যুক্তরাষ্ট্রের রাষ্ট্রদূত পিটার হাস এ কথা জানিয়েছেন। দেশের বিভিন্ন গণমাধ্যমের সম্পাদকদের সংগঠন এডিটরস গিল্ডের এক চিঠির জবাবে তিনি এ কথা জানান। মার্কিন রাষ্ট্রদূত মঙ্গলবার চিঠির জবাব দেন।

পিটার হাস বলেন, যুক্তরাষ্ট্র সংবাদমাধ্যমের মতপ্রকাশের স্বাধীনতাকে সমর্থন করে। তিনি বলেন, ‘বাংলাদেশে গণতান্ত্রিক নির্বাচনপ্রক্রিয়াকে যাঁরা বাধাগ্রস্ত করবেন, তাঁদের বিরুদ্ধে আমরা কথা বলে যাব এবং এসব ব্যক্তির ওপর যুক্তরাষ্ট্র ভিসানীতি প্রয়োগ করবে।’

পিটার হাস বলেন, সেন্সরশিপ আরোপ, ইন্টারনেট পরিষেবা সীমিত করা এবং সাংবাদিকদের হয়রানি করতে যদি সরকার তাদের সম্পদ ও প্রতিষ্ঠান ব্যবহার করে, তাহলে অতীতের মতোই যুক্তরাষ্ট্র এসব বিষয়ে উদ্বেগ জানানো অব্যাহত রাখবে।

গণমাধ্যমের ওপরও ভিসানীতির প্রয়োগ হতে পারে পিটার হাসের সাম্প্রতিক এমন মন্তব্যের বিষয়ে জানতে তাঁকে চিঠি পাঠিয়েছিলেন এডিটরস গিল্ডের সভাপতি মোজাম্মেল বাবু ও সাধারণ সম্পাদক ইনাম আহমেদ।

সম্প্রতি দেশের একটি বেসরকারি টেলিভিশন চ্যানেলে দেওয়া সাক্ষাৎকারে গণমাধ্যমও মার্কিন ভিসানীতির আওতায় আসতে পারে- মন্তব্য করেন রাষ্ট্রদূত পিটার হাস। তিনি বলেন, তারা (যুক্তরাষ্ট্র) ভিসানীতি ভারসাম্যপূর্ণ উপায়ে যে কারও বিরুদ্ধে প্রয়োগ করছে। সেটি সরকার সমর্থক, বিরোধী দল, আইন প্রয়োগকারী সংস্থা, বিচার বিভাগ এমনকি গণমাধ্যমও হতে পারে।

সর্বশেষ খবর