শুক্রবার, ৬ অক্টোবর, ২০২৩ ০০:০০ টা

ধরাশায়ী বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন

কনওয়ে-রবীন্দ্রের জোড়া সেঞ্চুরি

আসিফ ইকবাল

ধরাশায়ী বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন

এই প্রথম বিশ্বকাপ খেলছেন ডেভন কনওয়ে ও রাচিন রবীন্দ্র। প্রথমবার খেলতে নেমেই বাজিমাত করেছেন দুই ব্ল্যাক ক্যাপস  ব্যাটার। দুজনেই খেলেছেন তিন অঙ্কের জাদুকরী ইনিংস। বাঁ-হাতি ওপেনার কনওয়ের এটা ক্যারিয়ারের পঞ্চম এবং বিশ্বকাপে প্রথম সেঞ্চুরি। আরেক বাঁ-হাতি রবীন্দ্রের এটাই প্রথম সেঞ্চুরি। দুজনের  জোড়া সেঞ্চুরিতে নিউজিল্যান্ড চার বছর আগের বিশ্বকাপ ফাইনালে হারের প্রতিশোধ নিয়েছে। লর্ডসে সেবার বিশ্বকাপের ফাইনালে নিউজিল্যান্ডকে সুপার ওভারে হারিয়ে চ্যাম্পিয়ন হয়েছিল ইংল্যান্ড। এবার ভারত বিশ্বকাপের সূচনা ম্যাচে ৯ উইকেটের আকাশসমান ব্যবধানে জয় তুলে শিরোপা জয়ের মিশন শুরু করেছে ২০১৫ ও ২০১৯ সালের রানার্স আপ নিউজিল্যান্ড। রাচিন রবীন্দ্র যখন জয়সূচক রান নেন, তখনো ম্যাচের বল বাকি ৮২টি। বিশ্বকাপের সূচনা ম্যাচে এই প্রথম জোড়া সেঞ্চুরির  দেখা মিলল।

জিততে নিউজিল্যান্ডের টার্গেট ২৮৩ রান। দ্বিতীয় ওভারের প্রথম বলে ফেরেন উইল ইয়াং। এরপর পেছনে ফিরে তাকায়নি ব্ল্যাক ক্যাপসরা। দ্বিতীয় উইকেটে ৩৫.১ ওভারে ২৭৩ রানের জুটি গড়েন ডেভন কনওয়ে ও রাচিন রবীন্দ্র। কনওয়ে তার ২৩ ম্যাচ ক্যারিয়ারের ব্যক্তিগত সর্বোচ্চ ১৫২ রানের ইনিংস খেলেন। ১১৯ বলের অপরাজিত ইনিংসটিতে ছিল ১৯টি চার ও ৩টি ছক্কা। স্ট্রাইক রেট ১২৫.৬১। ম্যাচসেরা রাচিন রবীন্দ্র ১২৩ রানের অপরাজিত ইনিংসটি খেলেন ৯৬ বলে ১১ চার ও ৫ ছক্কায়। স্ট্রাইক রেট ১১৮.১২।  ইংল্যান্ডের বিশ্বকাপ জয়ের নায়ক বেন স্টোকস। লর্ডসে অবিশ্বাস্য ব্যাটিংয়ে প্রথমবারের মতো ইংল্যান্ডকে বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন করেছিলেন। বিশ্বকাপ জয়ের পর অবশ্য রঙিন পোশাকে খেলা থেকে নিজেকে গুটিয়ে নিয়েছিলেন তিনি। চলতি বিশ্বকাপে খেলতে রাজি ছিলেন না। কিন্তু অধিনায়ক জশ বাটলারের অনুরোধে ফিরেছেন বিশ্বকাপে। কেন উইলিয়ামসন গত বিশ্বকাপের সেরা ক্রিকেটার। গত ৬ মাস ইনজুরিতে ছিলেন। বিশ্বকাপ খেলতে পারবেন কি না সন্দেহ ছিল। কঠোর পরিশ্রমে দলে ফিরেছেন। কিন্তু বেন স্টোকসের মতো গতকাল তিনি খেলতে পারেননি। দুই বিশ্বসেরা ক্রিকেটারকে ছাড়াই বিশ্বের সবচেয়ে বড় নরেন্দ্র মোদী ক্রিকেট স্টেডিয়ামে খেলতে নামে বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন ইংল্যান্ড ও রানার্স আপ নিউজিল্যান্ড। ম্যাচে খেলেননি দুই দলের তিন তারকা ক্রিকেটার স্টোকস, উইলিয়ামসন ও পেস বোলার টিম সাউদি। 

২০১৫ সালে প্রথম বিশ্বকাপের ফাইনাল খেলেছিল নিউজিল্যান্ড। মেলবোর্ন স্টেডিয়ামে শিরোপা জিততে পারেনি স্বাগতিক অস্ট্রেলিয়ার কাছে হেরে। ওই আসরে বাংলাদেশের কাছে হেরে গ্রুপ পর্ব থেকে বিদায় নিয়েছিল ইংল্যান্ড। পরের চার বছরে রঙিন পোশাক ও সাদা বলের ওয়ানডে ক্রিকেটটাকে পাল্টে বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন হয়। বিশ্ব চ্যাম্পিয়নরা নিয়মিত ৩৫০, ৪০০ রান করছে ম্যাচগুলোতে। গতকাল টম লাথামের দলের নিয়ন্ত্রিত বোলিংয়ের বিরুদ্ধে পেরে ওঠেনি। সাবেক অধিনায়ক জো রুটের ৭৭ রানের প্রত্যয়ী ইনিংসে বিশ্ব চ্যাম্পিয়নদের সংগ্রহ ৯ উইকেটে ২৮২ রান। যা দলটির সঙ্গে মানানসই নয়। কিউই অধিনায়ক লাথাম ফিল্ডিং নেন। দুই ইংলিশ ওপেনার জনি বেয়ারস্টো ও ডেভিড মালান ৭.৪ ওভারে ৪০ রানের ভিত দেন। যদিও ইংলিশরা বড় কোনো জুটি গড়তে পারেনি। রুট ও অধিনায়ক বাটলার পঞ্চম উইকেট জুটিতে ৭০ রান যোগ করেন ১১.১ ওভারে। বাটলার ৪৩ রান করেন ৪২ বলে ২ চার ও ২ ছক্কায়। রুট ৭৭ রান করেন ৮৬ বলে ৪ চার ও এক ছক্কায়। ১৬৩ ওয়ানডে ক্যারিয়ারে এটা ৩৭তম হাফসেঞ্চুরি এবং বিশ্বকাপে ১৮ ম্যাচে চার নম্বর। এ ছাড়া বড় কোনো স্কোর গড়তে পারেনি।

সর্বশেষ খবর