শুক্রবার, ৬ অক্টোবর, ২০২৩ ০০:০০ টা
পুলিশ হেফাজতে মৃত্যু

দুই এএসআই প্রত্যাহার

প্রতিদিন ডেস্ক

চট্টগ্রামে পুলিশ হেফাজতে সাবেক দুদক কর্মকর্তার মৃত্যুর ঘটনায় দুই এএসআইকে প্রত্যাহার করা হয়েছে। প্রত্যাহার করা চান্দগাঁওয়ের দুই এএসআই হলেন- ইউসুফ আলী এবং এ টি এম সোহেল। গতকাল তাদের থানা থেকে প্রত্যাহার করে পুলিশ লাইনে যুক্ত করা হয়। অন্যদিকে বগুড়ায় ডিবি হেফাজতে আইনজীবী সহকারীর মৃত্যুর ঘটনায় তদন্ত শুরু হয়েছে বলে জানা গেছে। চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশের চান্দগাঁও থানার ওসি খাইরুল ইসলাম বলেন, দুদক উপ-পরিচালক শহীদুল্লাহকে গ্রেফতারের নেতৃত্ব দেওয়া  দুই এএসআইকে থানা থেকে প্রত্যাহার করা হয়েছে। তাদের পুলিশ লাইনে যুক্ত করা হয়েছে। মঙ্গলবার রাতে চান্দগাঁও এলাকা থেকে গ্রেফতার করা হয় দুদকের সাবেক কর্মকর্তা শহীদুল্লাহকে। পরে তিনি পুলিশ হেফাজতে মৃত্যুবরণ করেন। তিনি ডায়াবেটিক, হৃদরোগসহ নানান রোগে আক্রান্ত ছিলেন। পুলিশের দাবি- হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে মারা যান শহীদুল্লাহ।

শহীদুল্লাহর ছেলে নাফিস শহীদের দাবি- এটি পরিকল্পিত হত্যাকান্ড। যুবলীগ নেতারা মামলা দায়ের করা থেকে শুরু করে গ্রেফতার পর্যন্ত সব কিছু করেছেন পরিকল্পিতভাবে। তাদের পরিকল্পনা বাস্তবায়ন করেছেন পুলিশ সদস্যরা।

বগুড়া : বগুড়া জেলা পুলিশের গোয়েন্দা শাখার (ডিবি) হেফাজতে আইনজীবীর সহকারী হাবিবুর রহমানের মৃত্যুর অভিযোগটি তদন্ত শুরু করেছে কমিটি। পারিবারিকভাবে বলা হচ্ছে, আইনজীবী সহকারীর মৃত্যুর ঘটনায় মামলা করা হবে। জেলা আইনজীবী সহকারী সমিতির নেতৃবৃন্দ বলছেন, এ ঘটনার প্রতিবাদে কর্মসূচি ঘোষণা করা হবে। হাবিবুরের বাবা আবদুল কুদ্দুস জানান, তার ছেলেকে ডিবি অফিসে তুলে নিয়ে গিয়ে নির্যাতন করা হয়েছে। সে কারণেই হাবিবুর মারা গেছে। হাবিবুরের স্ত্রী রয়েছেন। তার নাম সোহেলী পারভীন এবং তাদের দুই সন্তান নাঈম (১৪) ও নাবলি (৫)। বগুড়া জেলা আইনজীবী সহকারী সমিতির সাধারণ সম্পাদক মো. ইকবাল জানান, সমিতির নেতৃবৃন্দের সিদ্ধান্ত নিয়ে কিছু কর্মসূচি ঘোষণা করা হবে। হাবিবের মামা বগুড়া বার সমিতির সিনিয়র সদস্য মঞ্জুরুল হক জানান, হাবিবুর রহমান বগুড়া জেলা আইনজীবী সহকারী সমিতির যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ছিলেন। তিনি বগুড়ার শাজাহানপুর উপজেলার জোড়া গ্রামের আবদুল কুদ্দুস বাবলুর ছেলে। হাবিব তার সহকারী হিসেবে কাজ করতেন। ৩ অক্টোবর বিকাল ৫টার দিকে তিনি তার সহকর্মী রাকিবুলকে নিয়ে আদালত থেকে বের হন। ফটক দিয়ে বের হওয়ার পর একদল লোক তাদের গতিরোধ করে এবং হাবিবের পরিচয় নিশ্চিত হওয়ার পর তাকে মাইক্রোবাসে তুলে নিয়ে চলে যায়। পরে জানতে পারেন তার ভাগ্নেকে ডিবি পুলিশ নিয়ে গেছে। এরপর রাত ৯টার দিকে শুনতে পান হাবিবুর মারা গেছেন। মোহাম্মদ আলী হাসপাতালে তার লাশ রাখা হয়েছে।

সর্বশেষ খবর