শনিবার, ৭ অক্টোবর, ২০২৩ ০০:০০ টা

রাজপথেই সমাধান চায় বিএনপি

টানা ১২ দিন থাকবে মাঠে ♦ ১৮ অক্টোবর নতুন কর্মসূচি

শফিকুল ইসলাম সোহাগ

রাজপথেই সমাধান চায় বিএনপি

নির্দলীয় সরকারের অধীনে নির্বাচনের দাবি আদায়ে সরকারকে বাধ্য করতে রাজপথেই সমাধান খুঁজছে বিএনপি। লক্ষ্য অর্জনে এবার আজ থেকে টানা ১২ দিন রাজপথে কর্মসূচি চালিয়ে যাবে। দীর্ঘ ১৭ বছর ক্ষমতার বাইরে থাকা দলটির নীতিনির্ধারকরা বলছেন, এবার কোনো হামলা-মামলা ও বাধাবিঘ্নে আর পিছু হটার সুযোগ নেই। তাদের পিঠ দেয়ালে ঠেকে গেছে। ১৮ অক্টোবর রাজধানীতে জনসমাবেশ করা হবে। এই সমাবেশ থেকে কঠোর কর্মসূচি ঘোষণা দেওয়া হতে পারে। এ বিষয়ে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, গণতন্ত্র ও ভোটাধিকার পুনরুদ্ধারের আন্দোলনের গতি বাড়তেই থাকবে। সরকারের পদত্যাগ, সংসদ বাতিল, নির্দলীয়-নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে নির্বাচনের এক দফা দাবি আদায়ের লক্ষ্যে তারা আন্দোলন করছেন। এ দাবি বাস্তবায়ন না হওয়া পর্যন্ত আন্দোলন চলবে। তিনি বলেন, সরকার আন্দোলন প্রতিহত করার যেমন অভিজ্ঞতা অর্জন করেছে, তেমনি আমরাও হামলা-মামলা ও বাধাবিঘ্ন মোকাবিলা করার অভিজ্ঞতা অর্জন করেছি। আমাদের এই গণতান্ত্রিক শান্তিপূর্ণ আন্দোলনের সঙ্গে দেশের পাশাপাশি সারা বিশ্বের মানুষের সমর্থন রয়েছে। এবার সরকারকে দাবি আদায়ে বাধ্য করতে যত ধরনের কর্মসূচি প্রয়োজন, তারা তা দেবেন। বিএনপির দায়িত্বশীলরা বলছেন, আজ শিক্ষক সমাবেশের মধ্য দিয়ে শুরু হয়ে ১৮ অক্টোবর ঢাকায় জনসমাবেশের মধ্য দিয়ে এই লাগাতার কর্মসূচির সমাপ্তি ঘটবে। এ ছাড়া বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার মুক্তি ও বিদেশে চিকিৎসার দাবিতে ৯ অক্টোবর ঢাকাসহ জেলা ও মহানগরে মিছিল-সমাবেশ, ১৪ অক্টোবর অনশন, এক দফার দাবিতে ১২ অক্টোবর ঢাকায় ছাত্র কনভেনশন এবং ১৬ অক্টোবর যুব কনভেনশন করবে। বিএনপির পাশাপাশি যুগপৎ আন্দোলনের শরিকরাও এসব কর্মসূচি পালন করবে। তারা বলছেন, শান্তিপূর্ণ কর্মসূচিতে দাবি আদায় না হলে আরও কঠোর কর্মসূচি দেওয়া হবে।

যুবদল সভাপতি সুলতান সালাউদ্দিন টুকু বলেন, তারেক রহমানের নেতৃত্বে ভোটের অধিকার আদায়ে আন্দোলন চলছে। দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত আন্দোলনের গতি দিন দিন বৃদ্ধি পাবে। বিজয় না হওয়া পর্যন্ত রাজপথেই থাকব ইনশাআল্লাহ।

সূত্র জানায়, অক্টোবরের শেষে অথবা নভেম্বরে নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা করতে পারে নির্বাচন কমিশন। এ ক্ষেত্রে অক্টোবরের শেষ ও নভেম্বর মাসকেই দাবি আদায়ে সরকারকে বাধ্য করতে টার্গেট করা হয়েছে। তারা ব্যাপক জনসমাগমের অংশগ্রহণে শান্তিপূর্ণ কর্মসূচির মাধ্যমে সরকারকে দাবি মেনে নেওয়ার আহ্বান জানাবেন। সরকার যদি তা না করে দমন-পীড়নের পথে হাঁটে, এবার বিএনপিও পিছু হটবে না। আন্দোলনের কর্মসূচিতে বাধা এলে তা প্রতিহত করতে যা যা করার, তা-ই করার প্রস্তুতি থাকবে তাদের। এ ক্ষেত্রে বিদেশি চাপ আরও বাড়বে বলে আশা করছে দলটি।

জানা যায়, ১৮ অক্টোবর সমাবেশ থেকে মাসের শেষ সপ্তাহে সাংবিধানিক প্রতিষ্ঠানগুলোর সামনে অবস্থান কর্মসূচি কিংবা ঘেরাওয়ের পরিকল্পনা করছে বিএনপি। যার শুরুটা হতে পারে সচিবালয় দিয়ে। এরপর সংসদ, নির্বাচন কমিশন, বঙ্গভবন ও গণভবন ঘেরাওয়ের কর্মসূচি আসতে পারে। তবে ঘেরাওয়ের বদলে নাম হতে পারে ‘শান্তিপূর্ণ অভিযাত্রা’।

বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী বলেন, জনগণকে সঙ্গে নিয়ে ভোটাধিকার পুনরুদ্ধারের আন্দোলন চলছে। রাজপথেই আন্দোলনের মাধ্যমে নির্বাচনকালীন নিরপেক্ষ সরকারের দাবি আদায় করা হবে।

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর