শনিবার, ৭ অক্টোবর, ২০২৩ ০০:০০ টা

সহজ জয়ে বিশ্বকাপ শুরু পাকিস্তানের

ক্রীড়া প্রতিবেদক

ভারতের মাটিতে পাকিস্তান খেলতে এসেছে সাত বছরের ব্যবধানে। ২০১৬ সালে ভারতের মাটিতে টি-২০ বিশ্বকাপ খেলেছিল পাকিস্তান। সাত বছর পর বাবর আজমের নেতৃত্বে সাবেক বিশ্বচ্যাম্পিয়নরা এবার খেলছে ওয়ানডে বিশ্বকাপ। ১৯৯২ সালে পাকিস্তান বিশ্বচ্যাম্পিয়ন হয়েছিল রাউন্ড রবিন পদ্ধতির টুর্নামেন্ট খেলে। সেবার ছিল ৯ জাতির বিশ্বকাপ। এবার ১০ জাতির। হায়দরাবাদে গতকাল নেদারল্যান্ডস ম্যাচ দিয়ে বিশ্বকাপ মিশন শুরু হয়েছে পাকিস্তানের। ইউরোপীয় দেশটিকে ৫৪ বল হাতে রেখে ৮১ রানে হারিয়ে বিশ্বকাপ জয়ের মিশন শুরু করেছে বাবর আজমের পাকিস্তান। 

হায়দরাবাদের রাজীব গান্ধী আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়ামে টস হেরে ব্যাটিং করে বাবর বাহিনী সংগ্রহ করে ৪৯ ওভারে ২৮৬ রান। পাকিস্তান অধিনায়ক চেয়েছিল স্কোর বোর্ডে ২৯০-৩০০ রান। কিন্তু নতুন বলে ডাচ বাহিনীর বোলিং আক্রমণ সামাল দেওয়ার আগেই ৩৮ রানে ৩ উইকেট ব্যাকফুটে চলে পাকিস্তান। সাজঘরে ফেরেন দুই ওপেনার ফখর জামান ও ইমাম উল হক এবং অধিনায়ক বাবর। ফখর ১৫ বলে ৩ চারে ১২, ইমাম ১৯ বলে ২ চারে ১৫ এবং বাবর ১৮ বলে ৫ রান করেন। ৩৮ রানে ৩ উইকেট হারানোর চতুর্থ উইকেট জুটিতে মোহাম্মদ রিজওয়ান ও শাদাব শাকিল ১২০ রান যোগ করেন মাত্র ১৯ ওভারে। দুজনেই খেলেন হাফসেঞ্চুরির ইনিংস। রিজওয়ান ৬৮ রানের ইনিংস খেলেন ৭৫ বলে ৮ চারে। সাওদ ছিলেন আক্রমণাত্মক মেজাজে। ১৩০.৭৬ স্ট্রাইক রেটে ৫২ বলে ৬৮ রানের ইনিংস খেলেন ৯ চার ও এক ছক্কায়। দুজনের বিদায়ের পর ১৮৮ রানে ষষ্ঠ উইকেট হারায় পাকিস্তান। এরপর সপ্তম উইকেট জুটিতে মোহাম্মদ নাওয়াজ ও শাদাব খান ১১.৪ ওভারে ৬৪ রান যোগ করেন। নাওয়াজ ৩৯ রান করেন ৪৩ বলে ৪ চারে। শাদাব ৩২ রান করেন ৩৪ বলে ২ চার ও এক ছক্কায়। নেদারল্যান্ডসের সফল বোলার বাস ডি লিড ৩৯ রানের খরচে নেন ৪ উইকেট। বাস ডি লিডের বাবা টিম ডি লিডও নেদারল্যান্ডসের পক্ষে বিশ্বকাপ খেলেছেন। নেদারল্যান্ডসের ক্রিকেট ইতিহাসে এই প্রথম বাবা ও ছেলে বিশ্বকাপ ক্রিকেট খেলেছেন। টার্গেট ২৮৭ রানে। ওভার প্রতি ৫.৮৪ টার্গেটে খেলতে নেমে ডাচ বাহিনীর ইনিংস গুটিয়ে যায় ৪১ ওভারে ২০৫ রানে। হেরে যায় ৮১ রানে। নেদারল্যান্ডসের পক্ষে চলতি বিশ্বকাপে প্রথম হাফসেঞ্চুরির ইনিংস খেলেন বিক্রমজিত সিং। ৫২ রানের ইনিংস খেলেন ৬৭ বলে ৪ চার ও এক ছক্কায়। অলরাউন্ডিং পারফরম্যান্স করেন বাস ডি লিড। বোলিংয়ে ৪ উইকেট নেওয়ার পর ব্যাট হাতে ৬৭ রানের প্রত্যয়ী ইনিংস খেলেন ৬৮ বলে ৬ চার ও ২ ছক্কায়। পাকিস্তানের পক্ষে হারিস রউফ ৩টি এবং হাসান আলি ২ উইকেট নেন।   

সর্বশেষ খবর