রবিবার, ৮ অক্টোবর, ২০২৩ ০০:০০ টা

আফগানদের উড়িয়ে টাইগারদের শুরু

ভারত-অস্ট্রেলিয়া আজ মুখোমুখি

আসিফ ইকবাল

আফগানদের উড়িয়ে টাইগারদের শুরু

এর চেয়ে রঙিন, এর চেয়ে আলোকিত ও উদ্ভাসিত শুরু কি আর হতে পারত? নিঃসন্দেহে না। কত সহজভাবে বিশ্বকাপ শুরুর রঙিন স্বপ্নটাকে বাস্তবায়ন করেছে বাংলাদেশ। মেহেদি হাসান মিরাজের অলরাউন্ডিং পারফরম্যান্স, নাজমুল হোসেন শান্তর ছন্দময় হাফ সেঞ্চুরি এবং অধিনায়ক সাকিব আল হাসানের সময়োপযোগী বোলিংয়ে বাংলাদেশ ৯২ বল হাতে রেখে আফগানিস্তানকে ৬ উইকেটে হারিয়েছে বিশ্বকাপের ইতিহাসে নিঃসন্দেহে এটা বাংলাদেশের সেরা জয়গুলোর একটি। ১০ অক্টোবর আফগানিস্তান জয়ের আত্মবিশ্বাস নিয়ে পরিচিত ধর্মশালায় মুখোমুখি হবে বিশ্বচ্যাম্পিয়ন ইংল্যান্ডের। ১৯৯৯ সাল থেকে নিয়মিত বিশ্বকাপ খেলছে বাংলাদেশ। ক্রিকেট মহাযজ্ঞে টানা তিন আসরের সূচনা ম্যাচে জয় পেয়েছে বাংলাদেশ। ২০১৫ সালে আফগানিস্তানের বিরুদ্ধে ক্যানবেরায় ১০৫ রানে, ২০১৯ সালে দক্ষিণ আফ্রিকাকে ২১ রানে হারায়। এবার হারাল আফগানিস্তানকে ৬ উইকেটে। এ ছাড়া ২০০৭ সালের সূচনা ম্যাচেও ভারতকে ৫ উইকেটে হারিয়েছিল বাংলাদেশ। ২০১১ সালে হেরেছিল ভারতের কাছে। চলতি বিশ্বকাপ আবার সাকিব আল হাসান ও মুশফিকুর রহিমের পঞ্চম বিশ্বকাপ। মাহমুদুল্লাহ রিয়াদ খেলছেন চতুর্থ বিশ্বকাপ।

ধর্মশালায় এর আগে তিনটি টি-২০ খেলেছিলেন টাইগাররা। ২০১৬ সালে টি-২০ বিশ্বকাপের গ্রুপ রাউন্ডের ম্যাচ তিনটি খেলেছিলেন। সে হিসেবে ধর্মশালার উইকেট একেবারে অপরিচিত ছিল না সাকিবদের। টস জিতে সাকিব ব্যাটিংয়ে আমন্ত্রণ জানান আফগানিস্তানকে। দলটির বিরুদ্ধে আগের দুই আসরেও জয় পেয়েছিলেন টাইগাররা। ক্যানবেরা ও সাউদাম্পটনে জিতেছিলেন সাকিবরা। গতকাল আগে ব্যাট করতে নেমে ম্যাচসেরা মেহেদি হাসান মিরাজ, সাকিব আল হাসানের ঘূর্ণি ও পেসারদের নিয়ন্ত্রিত বোলিংয়ে ৩৭.২ ওভারে ১৫৬ রানে গুটিয়ে যায় আফগানিস্তান। সাকিবের বোলিং স্পেল ৮-০-৩০-৩ আর মিরাজের ৯-০-২৫-৩। দুই স্পিনারের বাইরে ১ ওভার বোলিং করেন মাহমুদুল্লাহ রিয়াদ। ১ ওভারে রান দেন ৭ রান। তিন পেসারের মধ্যে সফল ছিলেন বাঁ হাতি শরিফুল ইসলাম। তার স্পেল ৬.২-১-৩৪-২। তাসকিন ৬-০-৩২-১ আর মুস্তাফিজুর রহমান ৭-১-২৮-১। জয়ের জন্য টার্গেট ১৫৭ রান। জয়ের টার্গেটে খেলতে নেমে পঞ্চম ওভারের প্রথম বলে রানআউট হন প্রথমবার বিশ্বকাপ খেলতে আসা তানজিদ তামিম। ১৩ বলে ১ চারে ৫ রান করেন। ১৯ রানে প্রথম উইকেটের পতনের পর ব্যাটিংয়ে আসেন মিরাজ। ২৭ রানে ওপেনার লিটনের বিদায়ের পর আসেন নাজমুল শান্ত। দুজনে তৃতীয় উইকেট জুটিতে ২১.৩ ওভারে ৯৭ রান যোগ করে বিচ্ছিন্ন হন। দলীয় ১২৪ রানে মিডঅফে রহমত শাহের ‘ওয়ান হ্যান্ডেড’ দুর্দান্ত ক্যাচে পরিণত হন মিরাজ। ৮৩ ম্যাচ ক্যারিয়ারের তৃতীয় হাফসেঞ্চুরির ইনিংসটি ছিল ৫৭ রানের। বিশ্বকাপে প্রথম হাফসেঞ্চুরির ইনিংসটি সাজানো ছিল ৭৩ বলে ৫ চারে। নাজমুল শান্ত অপরাজিত থাকেন ৫৯ রানে। ৮৩ বলের ইনিংসটিতে ছিল ৩টি চার ও ১টি ছক্কা। শান্ত এবারই প্রথম বিশ্বকাপ খেলছেন।

ভারত-অস্ট্রেলিয়া আজ মুখোমুখি:

এদিকে আজ সাবেক দুই বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন অস্ট্রেলিয়া ও ভারত মুখোমুখি হচ্ছে। চেন্নাইয়ের চিদাম্বরম স্টেডিয়ামে ম্যাচটি শুরু হবে দুপুর আড়াইটায়। দুই দলকে এবার সম্ভাব্য বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন মনে করা হচ্ছে। আজকের ম্যাচটিতে হাড্ডাহাড্ডি লড়াইয়ের আভাস পাওয়া যাচ্ছে। শেষ পর্যন্ত কে জয় দিয়ে বিশ্বকাপ শুরু করবে সেটাই দেখার বিষয়।

সর্বশেষ খবর