রবিবার, ৮ অক্টোবর, ২০২৩ ০০:০০ টা

শান্তি বিনষ্টের চেষ্টা হলে প্রতিহত

নিজস্ব প্রতিবেদক

শান্তি বিনষ্টের চেষ্টা হলে প্রতিহত

সনাতন ধর্মাবলম্বীদের উদ্দেশে তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী এবং আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন, আপনারা বুক ফুলিয়ে হাঁটবেন। এ দেশ আপনাদের, এ মাটি আপনাদের। কেউ শান্তি বিনষ্টের চেষ্টা চালালে আমরা সবাই মিলে প্রতিহত করব। গতকাল ঢাকা থেকে অনলাইনে যুক্ত হয়ে রাঙ্গুনিয়া উপজেলা পরিষদ অডিটরিয়ামে উপজেলা পূজা উদযাপন পরিষদের দ্বিবার্ষিক সম্মেলনে তিনি এ কথা বলেন।

তথ্যমন্ত্রী বলেন, রাঙ্গুনিয়া একটি শান্তির জনপদ। এখানে কেউ কখনো অশান্তি সৃষ্টি করতে পারেনি। কেউ অপচেষ্টা চালালেও সঙ্গে সঙ্গে দমন করা হয়েছে। ভবিষ্যতেও এখানকার বাসিন্দাদের সতর্ক থাকতে হবে। অশান্তির অপচেষ্টা সবাই মিলে প্রতিহত করব। ধর্ম যার যার, উৎসব সবার। আমাদের দেশে হিন্দু, মুসলিম, বৌদ্ধ, খ্রিস্টানসহ সব সম্প্রদায় মিলেমিশে রয়েছে। সব সম্প্রদায়ের মানুষের মিলিত রক্তের স্রোতে এই দেশ স্বাধীন হয়েছে।

হাছান মাহমুদ বলেন, একটি পরিবার রাঙ্গুনিয়ায় দীর্ঘদিন ধরে শাসন করে আসছিল। তারা নির্বাচন এলে সনাতন সম্প্রদায়ের ওপর নির্যাতন চালাত। তাদের অনুসারীরা, তাদের প্রেতাত্মারা এখনো রাঙ্গুনিয়ায় আছে। নির্বাচন এলে সরব হয়। সুতরাং তাদের ব্যাপারে সতর্ক থাকতে হবে। সামনে নির্বাচন, আমি আপনাদের কাছে এটুকু নিবেদন করব যে, গত ১৫ বছরে অমানুষিক কষ্ট করে এলাকায় সময় দিয়েছি। ১৫ বছর আগের কথা মনে করে এলাকায় কি পরিমাণ উন্নয়ন হয়েছে, সেই কথাটি দয়া করে সাধারণ মানুষকে মনে করিয়ে দেবেন। বাংলাদেশ পূজা উদযাপন পরিষদের রাঙ্গুনিয়া উপজেলা শাখার সভাপতি অ্যাডভোকেট পঙ্কজ চৌধুরীর সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক সুপায়ন সুশীলের সঞ্চালনায় এতে উপস্থিত ছিলেন উপজেলা চেয়ারম্যান বীর মুক্তিযোদ্ধা স্বজন কুমার তালুকদার, চট্টগ্রাম জেলা পূজা উদযাপন পরিষদ সভাপতি অ্যাডভোকেট নিতাই প্রসাদ ঘোষ ও সাধারণ সম্পাদক সুগ্রীব মজুমদার দোলন।

সব পত্রিকায় ছোটদের পাতা থাকা উচিত : তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী বলেছেন, এখন অনেক পত্রিকা ছোটদের পাতা বের করে না। কিন্তু এই ধরনের পাতা প্রকাশের মাধ্যমে শিশুর বিকাশ ও সমাজ গঠনে সব পত্রিকার প্রতি আমার আহ্বান থাকবে। গতকাল রাজধানীর তেজগাঁও শিল্প এলাকায় দৈনিক সমকাল পত্রিকার ১৯তম বর্ষে পদার্পণ উপলক্ষে আয়োজিত অনুষ্ঠানে শুভেচ্ছাবার্তায় তিনি এ কথা বলেন।

তথ্যমন্ত্রী বলেন, আগে দৈনিক পত্রিকাসহ প্রায় সব পত্রিকায় নিয়মিত ছোটদের পাতা প্রকাশ হতো, সেখানে শিশু-কিশোরদের লেখা ও তাদের জন্য লেখা বের হতো। বাল্যকালে আমি ছোটদের পাতায় লিখতাম। যেদিন আমার কোনো লেখা বা কবিতা ছাপা হতো, সেদিন যে আমার কী আনন্দ হতো! বড়দের কাছে গিয়ে সেটি দেখাতাম। সে সব এখনো আমার স্মৃতিতে জ্বলজ্বল করছে। পত্রিকার সম্পাদক আলমগীর হোসেন, নগর সম্পাদক শাহেদ চৌধুরী, প্রধান প্রতিবেদক লোটন একরাম এবং সংশ্লিষ্ট সাংবাদিক-কর্মচারী ও অতিথিবৃন্দ এ সময় উপস্থিত ছিলেন।

সর্বশেষ খবর