বুধবার, ১১ অক্টোবর, ২০২৩ ০০:০০ টা

দেশ ধ্বংস থেকে রক্ষায় নৌকা

জনসভায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা

রফিকুল ইসলাম রনি ও অজয় দাস, ভাঙ্গা (ফরিদপুর) থেকে

দেশ ধ্বংস থেকে রক্ষায় নৌকা

দেশের উন্নয়ন অগ্রযাত্রা অব্যাহত রাখতে নৌকা মার্কায় ভোট দেওয়ার আহ্বান জানিয়ে আওয়ামী লীগ সভানেত্রী প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, নৌকায় ভোট দেওয়ায় স্বাধীনতা এসেছে। নৌকায় ভোট দেওয়ার কারণে দেশ সমৃদ্ধ হচ্ছে। তিনি জনতার উদ্দেশে বলেন, লুটেরা বিএনপি এতিমের অর্থ আত্মসাৎ করেছে। জামায়াত যুদ্ধাপরাধী। এরা দেশকে ধ্বংস করে দেবে। ধ্বংসের হাত থেকে আপনাদের নৌকাই রক্ষা করবে। নৌকায় ভোট দিন। গতকাল বিকালে ফরিদপুরের ভাঙ্গার ডা. কাজী ইউসুফ স্টেডিয়ামে জেলা আওয়ামী লীগ আয়োজিত এক জনসভায় তিনি এসব কথা বলেন।

জনসভার আগে মাওয়া প্রান্তে পদ্মা সেতুতে রেল চলাচলের উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। সুইচ টিপে রেলযাত্রার আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন শেষে টিকিট কেটে যাত্রী হিসেবে মাওয়া থেকে ভাঙ্গা স্টেশনে যান তিনি।

প্রধানমন্ত্রী বেলা ২টা ৪০ মিনিটে সভামঞ্চে উপস্থিত হন। প্রায় ২৬ মিনিটের বক্তব্যে তিনি বলেন, একটি উপহার নিয়ে আপনাদের সামনে এসেছি। পদ্মা সেতু ও পদ্মা সেতুর ওপর দিয়ে রেল লাইন আপনাদের উপহার দিয়ে গেলাম।   

বিএনপি-জামায়াত ক্ষমতায় এলে দেশ ধ্বংস করে দেবে উল্লেখ করে শেখ হাসিনা বলেন, নৌকা এ দেশের মানুষের ভাগ্য পরিবর্তন করে। ফরিদপুরবাসীর উদ্দেশে তিনি বলেন, এখানকার রাস্তাঘাটের উন্নয়ন করেছি। ফরিদপুরে মেডিকেল কলেজ আছে। ফরিদপুরের সার্বিক উন্নয়ন আওয়ামী লীগ সরকার করেছে। আগে নদী-নালা, খাল-বিল পার হয়ে যেতে হতো। এখানকার সব এলাকা আমি ঘুরেছি। দেখেছি কী অবস্থা। আবারও ক্ষমতায় এলে ফরিদপুরে একটি বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার প্রতিশ্রুতি দিয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, ফরিদপুরের আশা এখানে বিশ্ববিদ্যালয় করার। আবারও সরকারে আসতে পারলে ফরিদপুরে বিশ্ববিদ্যালয় করে দেব। এ সময় জোরালো করতালির মাধ্যমে প্রধানমন্ত্রীকে অভিনন্দন জানান ফরিদপুরবাসী।

এর আগে সকাল থেকে ডা. কাজী আবু ইউসুফ স্টেডিয়ামে শরীয়তপুর, মাদারীপুর, গোপালগঞ্জসহ আশপাশ জেলা থেকে লাখো জনতা যোগ দেয় জনসভায়। দুপুরের আগেই কানায় কানায় পূর্ণ হয়ে যায় স্টেডিয়ামের আশপাশ এলাকা। ফরিদপুর জেলাসহ বিভিন্ন এলাকায়ও দেখা মিলেছে উৎসবের। ভাঙ্গা অঞ্চলে প্রধানমন্ত্রীর আগমনকে কেন্দ্র করে ছিল উৎসবের আমেজ। পদ্মা সেতু উত্তর মুন্সীগঞ্জ থেকে জাজিরা পয়েন্ট, শিবচরের কুতুবপুর, পাচ্চরবাজার, সূর্যনগর, মালিগ্রাম, চান্ডা এলাকাসহ ভাঙ্গার প্রত্যেকটি মোড়ে তোরণ, ফেস্টুন ও ব্যানারে বহু নেতার রঙিন পোস্টারে বর্ণিল হয়ে উঠছে কমপক্ষে ৩০ কিলোমিটার এলাকা। রাস্তার দুই ধারে দাঁড়িয়ে প্রধানমন্ত্রীকে একনজর দেখতে ও তাঁকে স্বাগত জানাতে বিপুলসংখ্যক নেতা-কর্মী ও সাধারণ মানুষকে দেখা গেছে। ফরিদপুর জেলা আওয়ামী লীগ সভাপতি শামীম হকের সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক শাহ মো. ইশতিয়াক আরিফের পরিচালনায় জনসভায় আরও বক্তব্য রাখেন দলীয় প্রেসিডিয়াম সদস্য কাজী জাফরউল্লাহ, ড. আবদুর রাজ্জাক, ডা. মোস্তফা জালাল মহিউদ্দিন, শাজাহান খান, লে. কর্নেল (অব.) ফারুক খান, জাহাঙ্গীর কবির নানক, আবদুর রহমান, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুব-উল আলম হানিফ, আ ফ ম বাহাউদ্দিন নাছিম, সাংগঠনিক সম্পাদক বি এম মোজাম্মেল হক, এস এম কামাল, মির্জা আজম, পানিসম্পদ উপমন্ত্রী এনামুল হক শামীম, আওয়ামী লীগ কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য ইকবাল হোসেন অপু, মারুফা আক্তার পপি, যুবলীগ চেয়ারম্যান শেখ ফজলে শামস পরশ, ফরিদপুর-৪ আসনের এমপি মজিবুর রহমান চৌধুরী নিক্সন প্রমুখ।  

পদ্মা সেতু নিয়ে ষড়যন্ত্রের ঘটনা বর্ণনা করে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, আমাদের একজন স্বনামধন্য ব্যক্তি সামান্য ব্যাংকের এমডি পদের জন্য সরকারের বিরুদ্ধে মামলা করে হেরে গেল। আর সেই ক্ষোভে হিলারি ক্লিনটনকে দিয়ে ওয়ার্ল্ড ব্যাংকের টাকা বন্ধ করে দুর্নাম দিতে চেয়েছিল যে, পদ্মা সেতুর টাকায় দুর্নীতি হয়েছে। আমি চ্যালেঞ্জ দিয়েছিলাম। বলেছিলাম, দুর্নীতি করতে আসিনি, মানুষের সেবা করতে এসেছি। শেখ মুজিবের মেয়ে দুর্নীতি করে না উল্লেখ করে শেখ হাসিনা বলেন, আমি নিজস্ব অর্থায়নে পদ্মা সেতু নির্মাণের চ্যালেঞ্জ নিলে অনেকে বলেছিলেন এটা সম্ভব নয়। বাংলাদেশের টাকায় এ খরস্রোতা নদীতে সেতু করা সম্ভব নয়। আমি জানি অনেক জ্ঞানীগুণী মানুষ আমার সঙ্গে নেই। কিন্তু বাংলাদেশের মানুষ আছে। বাংলাদেশের মানুষ পাশে থাকলে অসাধ্য সাধন করা যায় সেটাই আমরা করেছি। পদ্মা রেল সেতু চালুর প্রসঙ্গ টেনে তিনি বলেন, আমি এসেছি একটি উপহার নিয়ে। সেটি হচ্ছে রেল। আমি রেলে করে ভাঙ্গায় এসেছি। এটা কেউ কখনো চিন্তাও করতে পারিনি। আমি আপনাদের পদ্মা সেতুর সঙ্গে সঙ্গে রেল লাইনও উপহার দিয়ে গেলাম। তিনি বলেন, আগে নির্বাচন ব্যবস্থা কেমন ছিল। ১০টা গুন্ডা, ২০টা হুন্ডা নির্বাচন ঠান্ডা। সেই অবস্থা আর নেই। দেশে এখন গণতন্ত্র আছে, স্থিতিশীলতা আছে। এ জন্য ঘরে ঘরে বিদ্যুৎ দিতে পেরেছি। আমাদের লক্ষ্য মানুষের কল্যাণ করা, সেই লক্ষ্য নিয়ে আমরা কাজ করে যাচ্ছি। অনেক ধনী দেশ করোনার সময়ে বিনা টাকায় টিকা দেয়নি। আমি শুধু দেশের মানুষের দিকে তাকিয়ে বিনা টাকায় টিকা দিয়েছি। এ জন্য আমরা করোনা নিয়ন্ত্রণ করতে পেরেছি। আমি টাকা-পয়সার দিকে তাকাইনি। প্রধানমন্ত্রী বলেন, বঙ্গবন্ধু হত্যার পর খুনি জিয়াউর রহমান ইনডেমনিটি দিয়ে যুদ্ধাপরাধীদের বিচারের পথ রুদ্ধ করে দিয়েছিল। জাতির পিতা যাদের বিচার শুরু করেছিলেন জিয়া তাদের বিচার বন্ধ করে দিয়েছিল। তাদের পুরস্কৃত করেছে। খালেদা জিয়াও ক্ষমতায় এসে হত্যা, খুনখারাবি, গুম-লুটপাট, দুর্নীতি করেছে। জনগণের ভোটের অধিকার ছিল না। শেখ হাসিনা বলেন, ডিজিটাল বাংলাদেশের ওয়াদা দিয়েছিলাম। সেটি করেছি। এখন সবার হাতে মোবাইল ফোন। সবাই অনলাইনে থাকে। এই মোবাইল ফোন কে দিয়েছে, আওয়ামী লীগ সরকার ক্ষমতায় আসার পর দিয়েছে। তিনি বলেন, বিএনপির আমলে একটা মোবাইল ফোনের দাম ছিল ১ লাখ ৩০ হাজার টাকা। আর ফোন করলে প্রতি মিনিট ১০ টাকা, ধরলেও (রিসিভ করা) ১০ টাকা। তাও মাত্র একটা কোম্পানি ঢাকা আর চট্টগ্রামে। বিএনপির এক মন্ত্রীর ব্যবসা। আওয়ামী লীগ আসার পর এটা সর্বজনীন করে গ্রামপর্যায়ে পৌঁছে দিয়েছি। তিনি বলেন, কৃষিকে যান্ত্রিকীকরণ, এটা বঙ্গবন্ধুর স্বপ্ন ছিল। আমরা কৃষি যান্ত্রিকীকরণের জন্য কৃষিতে যে যন্ত্রপাতি ব্যবহৃত হয়, তাতে ৫০ থেকে ৭০ ভাগ ভর্তুকি দিয়ে সেটা করে দিচ্ছি। এখন আমাদের ১৭ থেকে ১৮ লাখ মেট্রিক টন চাল মজুদ আছে। বিশ্বের সঙ্গে তাল মিলিয়ে শিক্ষার্থীদের দক্ষ জনবল হিসেবে গড়ে তোলার আহ্বান জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, আমাদের ছেলেমেয়েদের বিনা পয়সায় বই দিই, বৃত্তি দিই। শিক্ষাদীক্ষায় এবং জ্ঞানে-বিজ্ঞানে আমাদের দেশের ছেলেমেয়েরা বিশ্বের সঙ্গে তাল মিলিয়ে যাতে চলতে পারে সেই লক্ষ্যে গড়ে তুলছি।

এ সময় প্রতিটি উপজেলায় কারিগরি প্রতিষ্ঠান গড়ে তোলার কথা জানিয়ে তিনি বলেন, মেয়েদের শিক্ষা আমরা অবৈতনিক করে দিয়েছি। প্রাইমারি শিক্ষা মেয়েরা ৬০ ভাগ পাবে, সেভাবে করে দিয়েছি। প্রধানমন্ত্রী বলেন, আজকে বয়স্কভাতা, স্বামী পরিত্যক্তা ভাতা, দুস্থ মুক্তিযোদ্ধদের ভাতা, বিনা পয়সায় বাড়ি করে দিচ্ছি। জাতির পিতার বাংলাদেশের একটি মানুষও গৃহহীন ভূমিহীন থাকবে না।

উন্নয়ন-অগ্রযাত্রায় নতুন মাইলফলক : বেলা ১১টায় মুন্সীগঞ্জের লৌহজংয়ের মাওয়া রেলওয়ে স্টেশনে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে পদ্মা সেতু রেল সংযোগ প্রকল্পের ঢাকা-ভাঙ্গা অংশের উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। অনুষ্ঠানে বঙ্গবন্ধুর ছোট মেয়ে শেখ রেহানাও উপস্থিত ছিলেন। রেলপথ মন্ত্রী মো. নুরুল ইসলাম সুজন অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন। অনুষ্ঠানে স্থানীয় সংসদ সদস্য (মুন্সীগঞ্জ-২) সাগুফতা ইয়াসমিন এমিলি, সেনাবাহিনী প্রধান জেনারেল এস এম শফিউদ্দিন আহমেদ, বাংলাদেশে নিযুক্ত চীনের রাষ্ট্রদূত ইয়াও ওয়েন বক্তৃতা করেন। সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ের সচিব ড. মো. হুমায়ুন কবীর স্বাগত বক্তৃতা করেন। অনুষ্ঠানে ঢাকা ও যশোরের মধ্যে রেল যোগাযোগের ওপর একটি প্রামাণ্যচিত্র প্রদর্শন করা হয়। এ সময় রেলপথ মন্ত্রণালয়ের সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি এ বি এম ফজলে করিম চৌধুরী, বাংলাদেশ রেলওয়ের মহাপরিচালক মো. কামরুল আহসান ও প্রকল্প পরিচালক আফজাল হোসেন মঞ্চে উপস্থিত ছিলেন। রেল চলাচলের মাহেন্দ্রক্ষণকে ‘স্বপ্ন পূরণের দিন হিসেবে’ অভিহিত করেন আওয়ামী লীগ সভানেত্রী প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। প্রধানমন্ত্রী বলেন, আজকে স্বপ্ন পূরণের দিন। এই শুভদিনে সবাইকে আন্তরিক শুভেচ্ছা জানাই। আজকের দিনটি বাংলাদেশের জনগণের জন্য গর্বের এবং আনন্দের দিন। যোগাযোগ খাতের উন্নয়ন-অগ্রযাত্রায় আজ যুক্ত হলো নতুন একটি মাইলফলক। এ মাহেন্দ্রক্ষণে শ্রদ্ধার সঙ্গে স্মরণ করি বাংলাদেশের স্বাধীনতার স্থপতি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান, জাতীয় চার নেতা, শহীদ মুক্তিযোদ্ধা, ’৭৫-এর ১৫ আগেস্ট শহীদদের।

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, দীর্ঘ ২১ বছর পর ১৯৯৬ সালে জনগণের ভোটে নির্বাচিত হয়ে আওয়ামী লীগ সরকার যোগাযোগব্যবস্থার উন্নয়নে কার্যকর ব্যবস্থা গ্রহণ করে। বঙ্গবন্ধু সেতুতে রেলপথ সংযোগের সিদ্ধান্ত গ্রহণ করি আমরা। ১৯৯৮ সালের ২৩ জুন একই দিনে বঙ্গবন্ধু সেতুর সড়ক ও রেলপথে ট্রেন চলাচল উদ্বোধন করি।

সরকারপ্রধান বলেন, সারা দেশে রেল নেটওয়ার্ক বৃদ্ধিতে সে সময় আমরা বিভিন্ন উদ্যোগ গ্রহণ করি। কিন্তু ২০০১ সালে বিএনপি-জামায়াত জোট ক্ষমতায় এসে রেল সঙ্কোচন শুরু করে। বন্ধ হয়ে যায় বহু রেল লাইন। ২০০৯ সাল থেকে ধারাবাহিকভাবে রাষ্ট্র পরিচালনার দায়িত্ব পেয়ে আমরা রেলওয়ে নেটওয়ার্ক সম্প্রসারণের লক্ষ্যে ব্যাপক পরিকল্পনা এবং কার্যক্রম গ্রহণ করি এবং ২০১১ সালে স্বতন্ত্র রেলপথ মন্ত্রণালয় গঠন করি। তিনি বলেন, আমরা দেশের সব জেলাকে রেল নেটওয়ার্কের আওতায় নিয়ে আসার পরিকল্পনা নিয়েছি। এর মাধ্যমে ২০৪১ সাল নাগাদ উন্নত-সমৃদ্ধ, স্মার্ট বাংলাদেশে আরামদায়ক, সাশ্রয়ী ও পরিবেশবান্ধব রেল যোগাযোগ প্রতিষ্ঠিত হবে।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, আজকে যারা অবাধ ও নিরপেক্ষ নির্বাচনের কথা বলে, আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় এসেছে বলেই অবাধ ও নিরপেক্ষ নির্বাচন হয়। আর যারা অবাধ নির্বাচনের ধুয়া তোলে আর আমাদের ক্ষমতা থেকে হঠায় তারা কখনো অবাধ ও নিরপেক্ষ নির্বাচন চায় না। কারণ তাদের প্রতিষ্ঠাই হয়েছে অবৈধ ক্ষমতা দখলকারীর হাত থেকে। তিনি বলেন, ভোট চুরি করা ছাড়া ক্ষমতায় আসেনি। যে কারণে ২০০৮ এর নির্বাচনে বিএনপি-জামায়াত ২০-দলীয় জোট ৩০০ আসনের মধ্যে পেয়েছিল ২৯টি আসন। তারপর থেকে তারা শুরু করে নির্বাচন বয়কট নিয়ে খেলা, অগ্নিসন্ত্রাস, মানুষ হত্যা। মানুষের জীবন নিয়ে খেলা এ ধ্বংসযজ্ঞেই মেতে আছে। তিনি বলেন, বাঙালি জাতিকে নিয়ে কেউ যাতে ছিনিমিনি খেলতে না পারে। রক্ত দিয়ে স্বাধীনতা এনেছি। জাতির পিতার আদর্শ নিয়ে মাথা উঁচু করে দেশ এগিয়ে যাবে, ২০৪১ সালের মধ্যে স্মার্ট দেশ, স্মার্ট জাতি, স্মার্ট সরকার, স্মার্ট সোসাইটি আমি গড়ে তুলব।

আগামী তিন-চার বছরের মধ্যে রেলওয়ে যোগাযোগ আরও ব্যাপকভাবে বৃদ্ধি পাবে এবং মানুষের জীবনমান আরও উন্নয়ন হবে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করে সরকারপ্রধান বলেন, ঢাকা থেকে আমরা ভাঙা পর্যন্ত করেছি, এটা যশোর পর্যন্ত সংযোগ হবে। সেখান থেকে মোংলা পর্যন্ত সংযোগ হবে। ভাঙা থেকে বরিশাল-ঝালকাঠি-পটুয়াখালী হয়ে পায়রাবন্দরে রেল সংযোগ তৈরি করতে সরকারের পরিকল্পনার কথা জানিয়ে তিনি বলেন, এ নিয়ে সমীক্ষা করা হচ্ছে। এ সময় এক ইঞ্চি জমিও যাতে অনাবাদি না থাকে এবং বৈশ্বিক অর্থনৈতিক মন্দার প্রভাব যেন বাংলাদেশে না আসে সেজন্য সবাইকে জমির সর্বোত্তম ব্যবহারের আহ্বান পুনর্ব্যক্ত করে শেখ হাসিনা বলেন, বিশ্বব্যাপী দুঃসময়ে আমরা যদি কৃষি উৎপাদন বাড়াই তাহলে কারও কাছে হাত পাততে হবে না। কারও কাছে মাথা নিচু করে নয়, বঙ্গবন্ধুর বাংলাদেশ বিশ্বে মাথা উঁচু করে চলবে।

সর্বশেষ খবর