বুধবার, ১১ অক্টোবর, ২০২৩ ০০:০০ টা

রান পাহাড়ে চাপা টাইগাররা

রাশেদুর রহমান

রান পাহাড়ে চাপা টাইগাররা

অধিনায়ক সাকিব আল হাসান রিস টোপলির বোলিং লাইনটাই বুঝতে পারলেন না! ডিফেন্ড করতে গিয়ে বোল্ড হয়ে ব্যর্থ মনোরথে সাজঘরে ফেরেন। ইংলিশ বোলারদের বিপক্ষে টাইগার ব্যাটারদের ভাগ্যটা এমনই ছিল। ব্যতিক্রম ছিলেন কেবল লিটন দাস আর মুশফিকুর রহিম। দুই ব্যাটার হাফ সেঞ্চুরি করলেন বটে, তবে দলকে সম্মানজনক একটা স্থানে নিতে পারেননি। ইংল্যান্ডের ছুড়ে দেওয়া ৩৬৫ রানের লক্ষ্যে খেলতে নেমে বাংলাদেশ অলআউট ২২৭ রানে। ইংলিশদের রানের পাহাড়ের নিচেই চাপা পড়লেন সাকিবরা। আফগানিস্তানের বিপক্ষে প্রথম ম্যাচ জিতলেও নিজেদের দ্বিতীয় ম্যাচে টাইগাররা হারল ১৩৭ রানের বড় ব্যবধানে। আইসিসি বিশ্বকাপে নিজেদের দ্বিতীয় ম্যাচে গতকাল ধর্মশালায় ইংল্যান্ডের মুখোমুখি হয় বাংলাদেশ। ম্যাচটা খেলতে নামার আগে বেশ আত্মবিশ্বাসী ছিল বাংলাদেশ। সমর্থকরাও আশায় ছিলেন। ইংল্যান্ডের বিপক্ষে ২০১১ আর ২০১৫ সালের বিশ্বকাপে জয়ের রেকর্ড আছে বাংলাদেশের। ২০১১ সালে ছিল ২ উইকেটে এবং ২০১৫ সালে ১৫ রানে ইংলিশদের হারিয়েছে টাইগাররা। এবারও অতীত ফিরিয়ে আনবেন সাকিবরা, ভক্তদের আশা ছিল এমনটাই। তবে ইংল্যান্ড অতীতের সেই ব্যর্থতা ভুলতেই যেন গতকাল খেলতে নেমেছিল। টস হেরে ব্যাটিংয়ে নেমেই টাইগার বোলারদের ওপর হামলে পড়ে ইংলিশরা। প্রথম উইকেট জুটিতেই ১১৫ রান করে ইংল্যান্ড। জনি বেয়ারস্টো ৫৯ বলে ৫২ রান করে আউট হলেও উইকেটে টিকে থাকেন ডেভিড মালান। তার সঙ্গে জো রুট। দুজন দ্বিতীয় উইকেট জুটিতে করেন ১৫১ রান। ডেভিড মালান ১০৭ বলে ১৪০ রান করেন। ১৬টি চার ছাড়াও তার ইনিংসে ছিল ৫টি ছক্কার মার। ক্যারিয়ারে এটা মালানের ষষ্ঠ সেঞ্চুরি। এর আগে বাংলাদেশের বিপক্ষে ১১৪ রানের অপরাজিত ইনিংসও খেলেছিলেন মালান (চলতি বছরের ১ মার্চ)। জো রুট ৬৮ বলে ৮২ রান করেন। তার ইনিংসে ছিল ৮টি চার ও ১টি ছক্কার মার। এরপর অবশ্য ইংলিশ ব্যাটারদের কেউ আর বড় স্কোর করতে পারেননি। জশ বাটলার ২০, হ্যারি ব্রুক ২০, ক্রিস ওকস ১৪, স্যাক কুরান ১১ ও আদিল রশিদ ১১ রান করেন। বাংলাদেশের পক্ষে শেখ মেহেদি হাসান সর্বোচ্চ ৪টি এবং শরিফুল ইসলাম ৩টি উইকেট শিকার করেন। এ ছাড়া তাসকিন ও সাকিব ১টি করে উইকেট নেন। ইংল্যান্ড ৯ উইকেটে ৩৬৪ রান সংগ্রহ করে ৫০ ওভার খেলে।

বাংলাদেশের কাছেও ভালো ব্যাটিং আশা করেছিলেন সমর্থকরা। ধর্মশালার উইকেটটা বেশ ভালোই ছিল। কিন্তু ইংলিশ বোলারদের সামনে টিকতে পারলেন না সাকিব আল হাসানরা। লিটন দাসের ৬৬ বলে ৭৬, মুশফিকুর রহিমের ৬৪ বলে ৫১ আর তৌহিদ হৃদয়ের ৬১ বলে ৩৯ রানের ইনিংসই ছিল উল্লেখ করার মতো। অধিনায়ক সাকিব ১ রানে আউট হন। ১ রান করেন ওপেনার তানজিদও। শূন্য রানে সাজঘরে ফেরেন নাজমুল হোসেন শান্ত। এ ছাড়া মিরাজ ৮, শেখ মেহেদি ১৪, তাসকিন ১৫, শরিফুল ১২ রানে আউট হন। ইংল্যান্ডের পক্ষে সর্বোচ্চ ৪ উইকেট শিকার করেন রিস টোপলি। এ ছাড়া ক্রিস ওকস ২টি এবং স্যাম কুরান, মার্ক উড, আদিল রশিদ ও লিয়াম লিভিংস্টোন ১টি করে উইকেট শিকার করেন। ম্যাচসেরার পুরস্কার পান ডেভিড মালান। এ জয়ে ২ পয়েন্ট নিয়ে ৫ নম্বরে অবস্থান করছে ইংল্যান্ড। বাংলাদেশ ২ পয়েন্ট নিয়ে আছে ৬ নম্বরে। বাংলাদেশ পরের ম্যাচ খেলবে ১৩ অক্টোবর চেন্নাইয়ে নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে।

সর্বশেষ খবর