বুধবার, ১১ অক্টোবর, ২০২৩ ০০:০০ টা

শিক্ষা ক্যাডারদের কর্মবিরতি, সরকারি কলেজে অচলাবস্থা

নিজস্ব প্রতিবেদক

আন্তক্যাডার বৈষম্য নিরসন, সুপার নিউমারারি পদে পদোন্নতি, অধ্যাপক পদ তৃতীয় গ্রেডে উন্নীতকরণ, ক্যাডার কম্পোজিশনের সুরক্ষাসহ বিভিন্ন দাবিতে শিক্ষা ক্যাডাররা গতকাল সারা দেশে প্রথম দিনের মতো কর্মবিরতি পালন করেছেন।

বিসিএস সাধারণ শিক্ষা সমিতির ব্যানারে টানা তিন দিনের কর্মসূচি শেষ হবে আগামীকাল (বৃহস্পতিবার)। এই কর্মবিরতির কারণে গতকাল অচল ছিল সারা দেশের সরকারি কলেজগুলো। সরকারি কলেজের মতো অচলাবস্থা ছিল সরকারি আলিয়া মাদরাসা, সরকারি টিটি কলেজ, মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদফতর (মাউশি), মাদরাসা শিক্ষা অধিদফতর, প্রাথমিক শিক্ষা অধিদফতর, পরিদর্শন ও নিরীক্ষা অধিদফতর, সব শিক্ষা বোর্ড, এনসিটিবি, নায়েম, ব্যানবেইসসহ শিক্ষা সংশ্লিষ্ট সব দফতর ও অধিদফতরেও।

গতকাল মাউশিতে গিয়ে দেখা গেছে, শিক্ষা ক্যাডার কর্মকর্তারা অফিসে উপস্থিত হলেও পালন করছেন কর্মবিরতি। একই চিত্র দেখা গেছে, মাদরাসা শিক্ষা অধিদফতর ও ঢাকা শিক্ষা বোর্ডেও। ঢাকা কলেজে অন্যান্য দিন ক্যাম্পাসে শিক্ষার্থীদের সরব উপস্থিতি থাকলেও গতকাল ছিল একেবারেই ফাঁকা। শিক্ষকরা ক্যাম্পাসে উপস্থিত হলেও কোনো ধরনের দাফতরিক কার্যক্রম কিংবা পাঠদানে অংশগ্রহণ করেননি। ঢাকা কলেজ ছাড়াও ইডেন কলেজ, তিতুমীর কলেজ, বাঙলা কলেজ, তেজগাঁও কলেজসহ সারা দেশের সরকারি কলেজে একযোগে এ কর্মসূচি শুরু হয়েছে। আমাদের নিজস্ব প্রতিবেদক ও জেলা প্রতিনিধিদের পাঠানো খবর-

বরিশাল বিভাগের ১৭টি সরকারি কলেজের শিক্ষকরা ক্লাস বন্ধ রেখে কর্মবিরতি শুরু করেছেন। বরিশাল বি এম কলেজের শিক্ষকরা একাডেমিক কার্যক্রম বাদ দিয়ে শিক্ষক মিলনায়তনে অবস্থান নেন। ক্যাডার বৈষম্য নিরসনের দাবিতে কর্মবিরতির অংশ হিসেবে ক্লাস পরীক্ষা হয়নি নীলফামারী সরকারি কলেজে। দাবি আদায়ের লক্ষ্যে গতকাল কলেজের প্রধান ফটকে অবস্থান নেন শিক্ষকরা। দাবি আদায়ে গতকাল বগুড়ায় সরকারি আজিজুল হক কলেজে শুরু হওয়া শিক্ষক সমাবেশে শতাধিক শিক্ষক অংশ নেন। সমাবেশে শিক্ষকরা অবিলম্বে ক্যাডারদের দাবি মেনে নেওয়ার জন্য সরকারের প্রতি আহ্বান জানান। তারা বলেন, মানসম্মত শিক্ষা নিশ্চিত করতে হলে শিক্ষার্থী অনুপাতে শিক্ষকের পদ সৃজন অপরিহার্য।

সর্বাত্মক কর্মবিরতির অংশ হিসেবে গাইবান্ধা সরকারি কলেজ ইউনিট কলেজ চত্বরে গতকাল কর্মবিরতি শুরু করে। নাটোরের গুরুদাসপুরের বিলচলন শহীদ সামসুজ্জোহা সরকারি কলেজের শিক্ষকরা ক্লাস বন্ধ করে কর্মসূচি পালন করেন। বিসিএস সাধারণ শিক্ষা সমিতির সভাপতি শাহেদুল খবীর চৌধুরী ও মহাসচিব মো. শওকত হোসেন মোল্ল্যা গতকাল বলেন, আমরা আশা করেছিলাম- কর্তৃপক্ষ শিক্ষা ক্যাডার কর্মকর্তাদের সমস্যা সমাধানে কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণ করবে। কিন্তু এখন পর্যন্ত দৃশ্যমান কোনো পদক্ষেপ গ্রহণ করা হয়নি। তারা বলেন, তিন দিনের টানা এই কর্মবিরতির আগে আমরা সংবাদ সম্মেলন করেছি, অবস্থান কর্মসূচি পালন করেছি। কিন্তু আমাদের দাবির প্রতি কর্ণপাত করা হয়নি। তাই কর্মবিরতির মতো কর্মসূচি পালন করতে বাধ্য হয়েছেন শিক্ষা ক্যাডাররা। সমিতির কেন্দ্রীয় কমিটির সিদ্ধান্ত মোতাবেক টানা তিন দিনের কর্মবিরতি চলছে। দাবি আদায়ে এরপরও দৃশ্যমান অগ্রগতি না হলে আরও কঠোর কর্মসূচি দেওয়া হবে।

সর্বশেষ খবর