ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) কমিশনার হাবিবুর রহমান বলেছেন, বাজারে কোনো জিনিসের স্বল্পতা নেই, যথেষ্ট মজুদ ও পর্যাপ্ত সরবরাহ রয়েছে। সংকট তৈরি হওয়ার কারণ নেই। কিন্তু কিছু কিছু ক্ষেত্রে স্বার্থান্বেষী মহলের কারণে বাজারে সংকট তৈরি হয়। এক্ষেত্রে বলতে চাই, বাজারে সিন্ডিকেটসহ যে কোনো অপতৎপরতা বন্ধে পুলিশ তৎপর রয়েছে। প্রয়োজনে বড় বড় বাজারে সিটি করপোরেশনের সঙ্গে আমাদের পুলিশও অংশগ্রহণ করবে, যাতে করে যে কোনো সময় যে কোনো পরিস্থিতি মোকাবিলা করা যায়। গতকাল দুপুরে ডিএমপি সদর দফতরের সম্মেলন কক্ষে নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যমূল্য পরিস্থিতি ও আইনশৃঙ্খলা সংক্রান্ত বিশেষ সভায় সভাপতির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন। ডিএমপির যুগ্ম কমিশনার (অপারেশনস) বিপ্লব কুমার সরকারের সঞ্চালনায় সভায় ডিএমপির ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাসহ পুলিশ হেডকোয়ার্টার্স, বিভিন্ন গোয়েন্দা সংস্থা, স্পেশাল ব্রাঞ্চ, ফায়ার সার্ভিস, বাণিজ্য মন্ত্রণালয়, র্যাব, জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদফতর, ঢাকা দুই করপোরেশন ও বিভিন্ন ব্যবসায়ী সংগঠনের প্রতিনিধি এবং ডিএমপির সব থানার অফিসার ইনচার্জরা উপস্থিত ছিলেন। ডিএমপি কমিশনার বলেন, বাজার নিয়ন্ত্রণে সরকার সবসময় আন্তরিক। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী নিজেও প্রতিনিয়ত বাজারের খোঁজখবর নিয়ে থাকেন, কোথাও কোনো সমস্যা হচ্ছে কি না খোঁজ নেন। বাজারে কেউ যেন কোনো ধরনের অপতৎপরতা তৈরি করতে না পারে তা প্রতিরোধ করার উদ্দেশ্যে আজ আমরা সবাইকে নিয়ে আলোচনায় বসেছি। যে কোনো সিন্ডিকেট ও যে কোনো অপতৎপরতা সমূলে নষ্ট করার জন্য ডিএমপি তৎপর আছে। যে কোনো সিন্ডিকেট ভেঙে দেওয়ার সক্ষমতা আমাদের রয়েছে। হাবিবুর রহমান বলেন- মাছ, চাল ও সবজি উৎপাদনে সারা বিশ্বে বাংলাদেশ তৃতীয়। ইলিশ মাছ উৎপাদনে বাংলাদেশ বিশ্বে প্রথম। দেশের দ্রব্যমূল্য পরিস্থিতি এমন থাকার কথা নয়। যা হয়েছে সেটা হলো সমন্বয়ের অভাব। সবাই একসঙ্গে কাজ করলে, সবাই সহযোগিতা করলে অবশ্যই বাজার নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব। তিনি আরও বলেন, বাণিজ্য মন্ত্রণালয়, ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদফতর ও সিটি করপোরেশনের সঙ্গে বাজার মনিটরিংয়ে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশও অংশ নেবে।
