শনিবার, ১৪ অক্টোবর, ২০২৩ ০০:০০ টা

ক্ষুধাসূচকে ভারত থেকে এগিয়ে বাংলাদেশ

নিজস্ব প্রতিবেদক

সম্প্রতি প্রকাশিত বিশ্ব ক্ষুধাসূচকে ১২৫টি দেশের মধ্যে বাংলাদেশের অবস্থান ৮১তম। ২০২২ সালে এই সূচকে বাংলাদেশের অবস্থান ছিল ৮৪তম। ২০২১ সালে বাংলাদেশের অবস্থান ছিল ৭৬তম। আয়ারল্যান্ডভিত্তিক সংস্থা কনসার্ন ওয়ার্ল্ডওয়াইড ও জার্মানিভিত্তিক ওয়েল্ট হাঙ্গার হিলফের যৌথভাবে প্রকাশিত বিশ্ব ক্ষুধাসূচক-২০২৩ প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়েছে। সমীক্ষা অনুযায়ী, ভারতের অবস্থান ১১১তম, পাকিস্তান ১০২তম। বাংলাদেশের চেয়ে ভালো অবস্থানে রয়েছে নেপাল ও শ্রীলঙ্কা। দেশ দুটি যথাক্রমে ৬৯ এবং ৬০তম অবস্থানে রয়েছে। একটি দেশে অপুষ্টির মাত্রা, পাঁচ বছরের কম বয়সী শিশুদের উচ্চতা অনুযায়ী কম ওজন, পাঁচ বছরের কম বয়সী শিশুদের বয়স অনুযায়ী কম উচ্চতা এবং শিশুমৃত্যুর হার হিসাব করে ক্ষুধার মাত্রা নির্ধারণ করা হয়। বৈশ্বিক, আঞ্চলিক বা জাতীয়- যে কোনো পর্যায়ে ক্ষুধার মাত্রা নির্ণয় করতে এই সূচকগুলো ব্যবহার করা হয়। বিশ্ব ক্ষুধাসূচকে কারও স্কোর শূন্য হলে বুঝতে হবে, সেখানে ক্ষুধা নেই। আর স্কোর ১০০ হওয়ার অর্থ, সেখানে ক্ষুধার মাত্রা সর্বোচ্চ। ক্ষুধাসূচক ১০ থেকে ১৯ দশমিক ৯-এর মধ্যে থাকলে ওই দেশ ‘মাঝারি মাত্রার’ ক্ষুধা আক্রান্ত হিসেবে বিবেচিত হয়। ২০২৩ সালের সূচকে বাংলাদেশের স্কোর ১৯; অর্থাৎ বাংলাদেশ মাঝারি মাত্রার ক্ষুধায় আক্রান্ত। এ বছর এই সূচকে নেপালের ১৯.১, শ্রীলঙ্কার ১৩.৩, ভারতের ২৮.৭ এবং পাকিস্তানের স্কোর ২৭.৭।

গত ১২ জুলাই প্রকাশিত জাতিসংঘের পাঁচ সংস্থার (খাদ্য ও কৃষি সংস্থা, কৃষি উন্নয়ন তহবিল, জাতিসংঘ শিশু তহবিল, বিশ্ব খাদ্য কর্মসূচি এবং বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা) ‘দ্য স্টেট অব ফুড সিকিউরিটি অ্যান্ড নিউট্রিশন ইন দ্য ওয়ার্ল্ড’ শীর্ষক এক প্রতিবেদনে জানানো হয়, বাংলাদেশে সোয়া ৫ কোটির বেশি মানুষ তীব্র থেকে মাঝারি ধরনের খাদ্য নিরাপত্তাহীনতায় আছেন। এর মধ্যে ১ কোটি ৮৭ লাখ মানুষ তীব্র খাদ্য নিরাপত্তাহীনতায় আছেন।

সর্বশেষ খবর