রবিবার, ১৫ অক্টোবর, ২০২৩ ০০:০০ টা
গণ অনশনে ফখরুল

তলে তলে আসলে কিছুই হয়নি

নিজস্ব প্রতিবেদক

তলে তলে আসলে কিছুই হয়নি

রাজধানীর নয়াপল্টনে গতকাল বিএনপির গণ অনশন -বাংলাদেশ প্রতিদিন

আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদকের একটি বক্তব্যের পরিপ্রেক্ষিতে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, ‘তলে তলে আসলে কিছুই হয়নি, সেই কারণে আওয়ামী লীগ বারবার এ কথাটা বলে।’ তিনি বলেন, ‘দেশনেত্রী খালেদা জিয়ার মুক্তি আর গণতন্ত্রের মুক্তি একই। আমাদের দুর্বার আন্দোলন গড়ে তুলতে হবে সামনের দিনগুলোতে।’

বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার স্থায়ী মুক্তি ও তাঁর বিদেশে উন্নত চিকিৎসার দাবিতে গতকাল দুপুরে নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে দলটির প্রতীকী গণঅনশন কর্মসূচিতে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় তিনি এ কথা বলেন। ঢাকা মহানগর উত্তর ও দক্ষিণ বিএনপি এ কর্মসূচির আয়োজন করে। মির্জা ফখরুল দলের সিনিয়র নেতাদের নিয়ে অনশনে অংশ নেন।

এর আগে দুপুর ২টার দিকে লিবারেল ডেমোক্রেটিক পার্টির সভাপতি কর্নেল (অব.) অলি আহমদ বীরবিক্রম নয়াপল্টনে এসে এই কর্মসূচিতে একাত্মতা প্রকাশ করেন এবং জুস পান করিয়ে মির্জা ফখরুল ইসলামের অনশন ভাঙান। এ সময় বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস ও গয়েশ্বর চন্দ্র রায়সহ সিনিয়র নেতাদেরও জুস পান করিয়ে অনশন ভাঙানো হয়।

মির্জা ফখরুল বলেন, ‘তারা (আওয়ামী লীগ) বলে, বিএনপি আমাদের শত্রু। তারা গণতন্ত্রেই বিশ্বাস করে না। গণতন্ত্রে বিশ্বাস করলে কোনো রাজনৈতিক দলকে তারা শত্রু বলতে পারে না।’ তিনি বলেন, ‘এ সরকার জনগণের নির্বাচিত সরকার নয়। এদের সরকার বলা যায় না, এরা শাসক।’

আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদেরকে উদ্দেশ করে তিনি বলেন, ‘আবারও বলে, বলতে তারা খুব আনন্দ পায়। সেটাকে আবার পরে বলে রাজনৈতিক রসবোধ! তলে তলে নাকি সব আবার হয়ে গেছে। বারবার এ কথাটা কেন বলে? এ জন্যই বলে, আসলে কিছুই হয়নি। গণতান্ত্রিক বিশ্ব আজকে তাদের ক্ষমতা থেকে সরে যাওয়ার জন্য পরিষ্কার করে বলছে এবং একটি সুষ্ঠু-অবাধ নির্বাচন করতে বলছে।’

অনশনে আরও বক্তব্য রাখেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. আবদুল মঈন খান, নজরুল ইসলাম খান, সেলিমা রহমান, ভাইস চেয়ারম্যান বরকতউল্লা বুলু, আবদুল আউয়াল মিন্টু, আতাউর রহমান ঢালী, ডা. ফরহাদ হালিম ডোনার, রুহুল কবির রিজভী, খায়রুল কবির খোকন, সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল প্রমুখ।

অনশন উপলক্ষে সকাল থেকেই নগরীর বিভিন্ন এলাকা হতে বিএনপি ও অঙ্গ সহযোগী সংগঠনের নেতা-কর্মীরা প্ল্যাকার্ড ও ব্যানার নিয়ে মিছিল করে সমবেত হতে থাকেন। মহানগর বিএনপি নেতা এম কফিল উদ্দিন আহমেদ, ইউনুস মৃধা, আতাউর রহমান চেয়ারম্যান, কামাল জামান মোল্লা, মো. সুমন ভূঁইয়া, বদরুল আলম সবুজ, অ্যাডভোকেট মকবুল হোসেন সরদার, আকবর হোসেন নান্টু ভূইয়া, অ্যাডভোকেট আখতারুজ্জামান, কাউন্সিলর জুম্মন মিয়াসহ বিএনপি ও অঙ্গ-সহযোগী সংগঠনের নেতৃবৃন্দ মিছিল নিয়ে সমাবেশে আসেন। অনশন কর্মসূচি কেন্দ্র করে নয়াপল্টন এলাকায় যানজটের সৃষ্টি হয়। বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনের রাস্তাটি বন্ধ হয়ে যায়। অপ্রীতিকর ঘটনা এড়াতে সতর্ক অবস্থানে দেখা গেছে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যদের।

সর্বশেষ খবর