শিরোনাম
রবিবার, ১৫ অক্টোবর, ২০২৩ ০০:০০ টা

কে এলো না তা নয় জনগণ ভোট দিলেই সফলতা : সিইসি

নিজস্ব প্রতিবেদক

কে এলো না তা নয় জনগণ ভোট দিলেই সফলতা : সিইসি

প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কাজী হাবিবুল আউয়াল বলেছেন,  কে নির্বাচনে এলো, কে এলো না তা নয়- জনগণ যদি ভোট কেন্দ্রে আসেন এবং নির্বিঘ্নে ভোট দিতে পারেন, তাহলে নির্বাচনের একটি বড় সফলতা অর্জিত হয়ে যাবে। এ ছাড়া ডিসি-এসপিদের দলীয় চিন্তার ঊর্ধ্বে থেকে সংসদ নির্বাচনে কাজ করার নির্দেশনা দেন সিইসি।

গতকাল দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন উপলক্ষে আয়োজিত চার বিভাগের বিভাগীয় কমিশনার, উপ-মহাপুলিশ পরিদর্শক, পুলিশ কমিশনার, জেলা প্রশাসক, পুলিশ সুপার ও আঞ্চলিক নির্বাচন কর্মকর্তাদের নির্বাচন ব্যবস্থাপনা সংক্রান্ত প্রশিক্ষণের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে সিইসি এসব কথা বলেন। আগারগাঁওয়ের নির্বাচনী প্রশিক্ষণ ইনস্টিটিউটে গতকাল প্রথম দফায় প্রশিক্ষণ শুরু হয়েছে। আজও চলবে। আগামী ২৮-২৯ অক্টোবর দ্বিতীয় দফায় অন্যান্য বিভাগীয় কমিশনার, পুলিশ কমিশনার, জেলা প্রশাসক, পুলিশ সুপাররা নির্বাচন ব্যবস্থাপনা বিষয়ক প্রশিক্ষণে অংশ নেবেন।  

নির্বাচন জনগণের কাছে গ্রহণযোগ্য, অবাধ ও সুষ্ঠু হতে হবে উল্লেখ করে সিইসি বলেন, ‘জনগণকে দেখাতে হবে, নির্বাচনে ফেয়ারনেস ছিল, ভোটাররা নির্বিঘ্নে ভোট কেন্দ্রে প্রবেশ করতে পেরেছেন, প্রবেশ করে তারা ভোটাধিকার প্রয়োগ করতে পেরেছেন। এটুকু যদি আমরা দেখাতে পারি সবাই মিলে, কে নির্বাচনে এলো, কে এলো না... জনগণ যদি আসেন, ভোটাররা যদি আসেন, তারা ভোট প্রয়োগ করেন, তাহলেই নির্বাচনের একটা বড় সফলতা, আমি যদি আপেক্ষিক অর্থে বলি অর্জিত হয়ে যাবে।

পুলিশ ও প্রশাসনের কর্মকর্তাদের দলীয় চিন্তার ঊর্ধ্বে থেকে নির্বাচনে কাজ করার নির্দেশনা দেন সিইসি। ডিসি-এসপিদের উদ্দেশে তিনি বলেন, নির্বাচন খুব ঘনিয়ে এসেছে, তাতে কোনো সন্দেহ নেই। নির্বাচন আয়োজনটা কিন্তু কঠিন একটি কর্মযজ্ঞ। চাইলাম, আর হয়ে গেল, এ রকম নয়। যেহেতু নির্বাচনের দায়িত্ব আপনাদেরও, আমাদের সেহেতু নিষ্ঠার সঙ্গে দায়িত্ব পালন করতে হবে।’ কাজী হাবিবুল আউয়াল বলেন, আমরা প্রায় ১ হাজার ২০০ নির্বাচন করেছি। সেখানে প্রশাসন এবং আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর যে সহযোগিতা পেয়েছি, তাতে সত্যিই কৃতজ্ঞ। দৃঢ় প্রত্যাশা থাকবে, আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচনে আপনারা রাষ্ট্রের, সরকারের কর্মচারী হিসেবে দলীয় চিন্তাভাবনার ঊর্ধ্বে থেকে পক্ষপাতহীন দৃষ্টিভঙ্গি নিয়ে নিরপেক্ষভাবে দায়িত্ব পালন করে জনগণের আস্থা অর্জনে সক্ষম হবেন। কোনো অনিয়ম, সহিংসতা হবে না, শান্তিপূর্ণ নির্বাচন হবে, এটাই প্রত্যাশা করছি। তিনি বলেন, প্রশাসনে বা সরকারে, পুলিশ এবং নির্বাহী প্রশাসনের ভূমিকা ও গুরুত্ব অপরিসীম। আমি অনেককেই বলি, যখন আমরা সরকার বলি, সরকার বলতে আমরা এসপি এবং ডিসিকেই বুঝি, ছোটবেলা থেকেই। কারণ ছোট্ট যে সরকারটা পড়ে আছে কেবিনেটে, ওটার সঙ্গে আমাদের জনগণের সংশ্রব ওভাবে হয় না। 

সিইসি বলেন, এত গুরুত্বপূর্ণ পদে অধিষ্ঠিত হওয়া কেবল ভাগ্যের কথা বলব না, আপনাদের গুণের ব্যাপার। মনে রাখতে হবে, আপনারা সরকারি কর্মকর্তা, প্রজাতন্ত্রের কর্মকর্তা। আপনারা কোয়ালিফাই করে এই দায়িত্ব পেয়েছেন। এটি অহঙ্কারের নয়, সন্তুষ্টি প্রকাশ করার বিষয়।

সিইসি আরও বলেন, কোনো সন্দেহ নেই নির্বাচন ঘনিয়ে এসেছে। নির্বাচন আয়োজন করা কঠিন কর্মযজ্ঞ। চাইলাম হইয়া গেল এ রকম নয়। আপনারা যারা জেলা প্রশাসক এবং পুলিশ সুপার এবং আপনাদের সহকর্মীদের অনেক পরিশ্রম করতে হবে। তফসিল ঘোষণার পর অনেকটা ঘুমই হারাম হয়ে যাবে। যেহেতু এই দায়িত্ব আপনাদের এবং আমাদের ওপর অর্পিত হয়েছে, কাজেই দায়িত্বটা নিষ্ঠার সঙ্গে পালন করতে হবে।

সর্বশেষ খবর