রবিবার, ১৫ অক্টোবর, ২০২৩ ০০:০০ টা
সমীক্ষা প্রতিবেদন

উন্নয়নে বাধা দুর্নীতি অস্বচ্ছতা স্বজনপ্রীতি

নিজস্ব প্রতিবেদক

দেশের ৬৯ দশমিক ৪ শতাংশ তরুণের মতে, উন্নয়নের পথে প্রধান বাধা দুর্নীতি, অস্বচ্ছতা ও স্বজনপ্রীতি। এসডিজি বাস্তবায়নে নাগরিক প্ল্যাটফরম বাংলাদেশের এক জরিপে এ তথ্য উঠে এসেছে।

চলতি বছরের সেপ্টেম্বর থেকে অক্টোবর পর্যন্ত ৫ হাজার ৭৫ জন তরুণ অনলাইন জরিপে অংশ নেন। এ ছাড়াও ২৮টি তরুণ নেতৃত্বের প্রতিষ্ঠান, ২০টি ফোকাস গ্রুপ ডিসকাশন ও গত ১০ বছরের লিটারেচার রিভিউর মাধ্যমে এই জরিপ পরিচালনা করা হয়। গতকাল কৃষিবিদ ইনস্টিটিউটের অডিটরিয়ামে এসডিজি বাস্তবায়নে নাগরিক প্ল্যাটফরম আয়োজিত ‘যুব সম্মেলন-২০২৩’-এ জরিপের ফলাফল তুলে ধরেন সেন্টার ফর পলিসি ডায়ালগের (সিপিডি) সিনিয়র রিসার্চ ফেলো তৌফিকুল ইসলাম খান। জরিপে ১৮ থেকে ৩৫ বছর বয়সী যুবারা অংশগ্রহণ করেন। দেশের তরুণদের দৃষ্টিভঙ্গি জানতে পরিচালিত ‘ইয়ুথ পারস্পেকটিভ ইন দ্য কারেন্ট ন্যাশনাল কনটেক্সট’ জরিপ অনুযায়ী, দেশের উন্নয়নে দুর্নীতি ছাড়াও আরও যে বাধাগুলো রয়েছে তার মধ্যে দ্বিতীয়টি হলো স্বচ্ছতা এবং জবাবদিহিতার অভাব (৪৬ দশমিক ৫ শতাংশ)। এরপর রয়েছে স্বজনপ্রীতির প্রবণতা (৩২ দশমিক ৬ শতাংশ) এবং প্রাতিষ্ঠানিক সক্ষমতা বা সমন্বয়ের অভাব (২৮ দশমিক ১ শতাংশ)। যুব জরিপে অংশগ্রহণকারীদের মধ্যে উন্নয়নের অগ্রাধিকার হিসেবে দুর্নীতি দমন, জবাবদিহিতা ও মতপ্রকাশের স্বাধীনতার কথা বলেছেন ৫৬ দশমিক ২ শতাংশ। ৫৫ দশমিক ৪ শতাংশ উল্লেখ করেছেন মানসম্মত শিক্ষা ও দক্ষতা বৃদ্ধি। ৪০ দশমিক ২ শতাংশ জরিপ অংশগ্রহণকারী তরুণ দেশ ও দেশের বাইরে কর্মসংস্থানের ওপর জোর দিয়েছেন। কৃষিবিদ ইনস্টিটিউটের অনুষ্ঠানে এসডিজি বাস্তবায়নে নাগরিক প্ল্যাটফরমের আহ্বায়ক ড. দেবপ্রিয় ভট্টাচার্য বলেন, বাংলাদেশের জনসংখ্যা এখন প্রায় সাড়ে ১৬ কোটি। এদের বড় একটি অংশই হচ্ছে তরুণ, যাদের বয়স ১৮ থেকে ৩৫ এর মধ্যে। প্রতি দশকে এই বয়সীদের সংখ্যা ও অনুপাত বাড়ছে। ২০০১ সালে তরুণের সংখ্যা ছিল ২৯ শতাংশ, ২০১১ সালে ২৯ দশমিক ৫ শতাংশ এবং ২০২২ সালে তা এসে দাঁড়িয়েছে ৩৩ দশমিক ৫ শতাংশে। ২০০৮ সালের নির্বাচনের পর নতুন ভোটার হয়েছে ৩ দশমিক ৫ কোটি যুবা। দেবপ্রিয় ভট্টাচার্য বলেন, বাংলাদেশের এখন সবচেয়ে বড় সম্ভাবনাময় জনশক্তি হচ্ছে যুবারা। সামনের নির্বাচনে আমরা যুবসমাজের অংশগ্রহণকে আরও জোরদারভাবে দেখতে চাই। আশা করি, নির্বাচন নিয়ে যেসব সংশয়, বিভ্রান্তি বা যেসব উদ্বেগ আছে সেগুলো আগামী দিনে কেটে যাবে। তিনি বলেন, এই যুবসমাজের আশা-আকাক্সক্ষা ও প্রত্যাশা আগামী দিনের বাংলাদেশ গড়ে তোলার ক্ষেত্রে যুক্ত করতে আমরা কতখানি সফল, কতখানি কার্যকর, কতখানি ফলপ্রসূ এ প্রশ্নটি বারবার আমাদের সামনে আসছে। এই প্রশ্নের ভিতরে আরেকটি বড় জিজ্ঞাসা যেটি আসবে, তা হলো- রাষ্ট্র, দেশ, রাজনীতি, সমাজনীতি, পেশা পরিচালনার ক্ষেত্রে ঘরসমাজের ভূমিকা আমরা বজায় রাখতে পারছি কি না, যে ভূমিকা বাড়ানোর একটি বড় জায়গা হলো গণতন্ত্রের চর্চা।

সর্বশেষ খবর