শিরোনাম
সোমবার, ১৬ অক্টোবর, ২০২৩ ০০:০০ টা

আমাদের সাহস জোগাচ্ছে পশ্চিমা বিশ্ব : ফখরুল

নিজস্ব প্রতিবেদক

বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, গণতন্ত্রের প্রতি পশ্চিমা বিশ্বের যে অঙ্গীকার, তা আমাদের সাহস জোগাচ্ছে। সামনের দিকে এগিয়ে যেতে সাহায্য করছে, এটি অস্বীকার করার তো উপায় নেই। আমরা একা নই। আমাদের সঙ্গে আছে গণতান্ত্রিক বিশ্বের দেশগুলো। যুক্তরাষ্ট্রসহ পশ্চিমা বিশ্বের সমর্থন সরকার পতনের চলমান গণতান্ত্রিক আন্দোলনে সবাইকে সাহস জোগাচ্ছে। গতকাল রাজধানীর একটি হোটেলে এক সেমিনারে প্রধান অতিথির বক্তব্যে বিএনপি মহাসচিব এ কথা বলেন। কেন্দ্রীয় বিএনপির পক্ষ থেকে ‘বাংলাদেশের গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারে দেশীয়-আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের ভূমিকা এবং আমাদের করণীয়’ শীর্ষক এ সেমিনারের আয়োজন করা হয়। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন বিভাগের অধ্যাপক বোরহান উদ্দিন খানের সভাপতিত্বে বিএনপি স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস, ড. আবদুল মঈন খান, বেগম সেলিমা রহমান, নাগরিক ঐক্যের সভাপতি মাহমুদুর রহমান মান্না, বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান আবদুল্লাহ আল নোমান, ব্যারিস্টার শাহজাহান ওমর বীরউত্তম, বরকতউল্লা বুলু প্রমুখ বক্তব্য রাখেন। 

সেমিনারের শুরুতে একটি তথ্যচিত্রের মাধ্যমে দলীয় সরকারের অধীনে ২০১৮ সালের নির্বাচন কেমন ছিল, তা তুলে ধরা হয়। এরপর ‘নো কমেন্টস : রাতের ভোট ২০১৮’ শীর্ষক বইয়ের মোড়ক উন্মোচন করা হয়। একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের প্রেক্ষাপটে লেখা বইটি সম্পাদনা করেছেন বাবুল তালুকদার।

‘শনিবার রাজধানীর কাওলায় সিভিল এভিয়েশন মাঠে ঢাকা মহানগর উত্তর আওয়ামী লীগের এক সমাবেশে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, যেভাবেই হোক নির্বাচন এ দেশে হবেই এবং জনগণ স্বাধীনভাবে ভোট দেবে।’- এ বক্তব্যের পরিপ্রেক্ষিতে বিএনপি মহাসচিব বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী বলেই দিলেন, তোমরা যে যা বলো ভাই, আমার সোনার হরিণ চাই। যুক্তরাষ্ট্র, ইউরোপীয় ইউনিয়ন, রাজনৈতিক দলগুলো যাই বলুক না কেন, তাঁর সোনার হরিণ চাই। ক্ষমতায় যেতেই হবে। এবারও একই কায়দায় নির্বাচন করার সিদ্ধান্ত নিয়ে নিয়েছেন।’

প্রধানমন্ত্রীর উদ্দেশে মির্জা ফখরুল বলেন, বেআইনিভাবে রাষ্ট্রকে ব্যবহার করে ক্ষমতা দখল করে আছেন, প্রধান সংকট সেখানেই। প্রধানমন্ত্রী বলেছেন, যেভাবেই হোক নির্বাচন হবে। আমরাও চাই নির্বাচন হোক। সে নির্বাচনে অবশ্যই জনগণকে তার ভোটাধিকার প্রয়োগ করতে দিতে হবে। তিনি চাইলেন, আগের মতো বিনা ভোটারের মধ্য দিয়ে নির্বাচিত হবেন। এবার তা আর হবে না। বিএনপি মহাসচিব বলেন, ২০১৪-২০১৮ সালে যা করেছেন, তা ২০২৪ সালে করতে পারবেন না। এবার মানুষ ঘুরে দাঁড়িয়েছে, তাতে সেটা সম্ভব হবে না। আগামী কয়েক দিনের মধ্যে আন্দোলন আরও বেগবান করতে হবে। রাজপথে বিজয় অর্জনের মধ্য দিয়েই জনগণের দ্বিতীয় মুক্তি সম্ভব হবে।সেমিনারে সূচনা বক্তব্যে ড. আবদুল মঈন খান বলেন, ২০১৮ সালের নির্বাচনে কার্যত ভোট হয়েছে আগের রাতে। এ ঘটনা দুঃখজনক, কলঙ্কময়। আওয়ামী লীগ আরেকটি নির্বাচনের চেষ্টা করছে, সে কারণে অতীতের অন্যায় নতুন করে তুলে ধরা হচ্ছে। মাহমুদুর রহমান মান্না বলেন, যুক্তরাষ্ট্রের ভিসানীতি ও র‌্যাব কর্মকর্তাদের দেওয়া নিষেধাজ্ঞা বিরোধীদের জন্য আটকে থাকা দরজা খুলে দিয়েছে। আমরা সামনে যেতে পারছিলাম না। সেই আটকে থাকা দরজা খুলে দিয়েছে ভিসানীতি ও র‌্যাব কর্মকর্তাদের ওপর নিষেধাজ্ঞা। এ দরজা দিয়ে আমাদের এখন সামনে এগিয়ে যেতে হবে। আর সময় নেই। মাত্র দুই মাস সময় আছে। যা করার এরমধ্যেই করতে হবে। বাংলাদেশে নিযুক্ত মার্কিন রাষ্ট্রদূত পিটার হাসকে ধন্যবাদ জানিয়ে ব্যারিস্টার শাহজাহান ওমর বলেন, তিনি আমাদের জন্য অবতার হয়ে এসেছেন।

সর্বশেষ খবর