বুধবার, ১৮ অক্টোবর, ২০২৩ ০০:০০ টা

ভোট নিয়ে উদ্বিগ্ন হওয়ার কিছু নেই

নিজস্ব প্রতিবেদক

ভোট নিয়ে উদ্বিগ্ন হওয়ার কিছু নেই

নির্বাচন কমিশন (ইসি) সচিব মো. জাহাংগীর আলম বলেছেন, ‘এটা স্পষ্ট যে এখন পর্যন্ত বাংলাদেশের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি আমার দৃষ্টিতে, কমিশনের দৃষ্টিতে শান্তিপূর্ণ আছে।

উদ্বিগ্ন হওয়ার মতো এখানে কোনো পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়নি এবং কমিশন তা মনে করছে না। পরে যদি পরিস্থিতির উদ্ভব হয়, কমিশন আইনি সব ব্যবস্থা নেবে।’ গতকাল ‘সম্প্রীতি বাংলাদেশ’-এর প্রতিনিধিদের সঙ্গে মতবিনিময় শেষে তিনি এসব কথা বলেন। নির্বাচন ভবনে অনুষ্ঠিত এ মতবিনিময় সভায় উপস্থিত ছিলেন নির্বাচন কমিশনার ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) মো. আহসান হাবিব খান, রাশেদা সুলতানা, মো. আলমগীর, আনিছুর রহমান। ইসি সচিব মো. জাহাংগীর আলম সাংবাদিকদের বলেন, ভোটারদের ভোটদানে উৎসাহিত করা, ধর্মীয় সম্প্রীতি বজায় রাখা, নির্বাচনোত্তর ধর্মীয় উন্মাদনা রোধে ব্যবস্থা নেওয়াসহ ‘সম্প্রীতি বাংলাদেশ’ মোট চারটি দাবি তাদের কাছে রেখেছে। সেসবের মধ্যে যেগুলো নিয়ে কমিশনের কাজ করার সুযোগ আছে সেগুলো নিয়ে ইসি কাজ করবে বলে জানান সচিব জাহাংগীর। আর ইসির বাইরে অন্য যে দফতরগুলো তাদের দাবির সঙ্গে সম্পৃক্ত, তাদের এ বিষয়টি অবহিত করা হবে। আইনিভাবে যেটুকু করা সম্ভব তা করার জন্য নির্বাচন কমিশন উদ্যোগ নেবে, বলেন তিনি।

‘ব্ল্যাক অক্টোবর’ আর দেখতে চাই না : ২০০১ সালের জাতীয় সংসদ নির্বাচনের পরে ঘটে যাওয়া ‘নির্বাচনী সহিংসতার’ পুনরাবৃত্তি কখনোই কাম্য নয় বলে মন্তব্য করেছেন সামাজিক সংগঠন সম্প্রীতি বাংলাদেশের আহ্বায়ক পীযূষ বন্দ্যোপাধ্যায়। নির্বাচনী সহিংসতা ঠেকাতে নির্বাচন কমিশনকে কঠোর হওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন তিনি। বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হন সংগঠনের আহ্বায়ক পীযূষ বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি বলেন, ‘আমরা বলেছি, ২০০১-এর ব্ল্যাক অক্টোবর আর বাংলাদেশে দেখতে চাই না। ইসিকে বলেছি শক্তভাবে দায়িত্ব পালন করবেন। সম্প্রীতি বাংলাদেশের মতো অরাজনৈতিক সংগঠনগুলো সহায়তা করবে, ইসি সহমত পোষণ করেছে। ওই সময় যে ভয়াবহতা, নৃশংসতা, যে অত্যাচার হয়েছিল তা প্রায় একাত্তর সালকে মনে করিয়ে দেয়। সে ব্যাপারগুলো আমরা বাংলাদেশ থেকে চিরতরে সরিয়ে দিতে চাই।’ জাতীয় নির্বাচন এলেই দেশের ধর্মীয় সংখ্যালঘু ও মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় বিশ্বাসীদের ‘কপালে ভাঁজ’ পড়ে বলে মন্তব্য করেন পীযূষ বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি বলেন, ‘মুক্তিযুদ্ধের বিরোধিতাকারীদের আমরা সরকার বা কোনো আনুষ্ঠানিক প্রক্রিয়ায় দেখতে চাই না। আমরা ঘরপোড়া গরুর মতো, অতীতের অভিজ্ঞতা থেকে আমাদের ভয়। সাবধানের কোনো মার নেই।... ২০০১ সালে আমরা সারা দেশ ঘুরে নির্যাতন, পাশবিকতার চিহ্ন দেখেছি, বর্বরতার চিহ্ন দেখেছি।’ এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, অংশগ্রহণমূলক নির্বাচনের প্রত্যাশা করছেন তাঁরা। তিনি বলেন, ‘আমরা চাই এ দেশে বৃহত্তর জনগোষ্ঠী নির্বাচনমুখী হোক এবং এবারের ভোটারদের মধ্যে তরুণ বেশি তাদের আমরা নির্বাচনমুখী করতে বলেছি। এজন্য কেবল ইসি নয়, দলগুলোরও একটা ভূমিকা আছে। সামাজিক সংগঠন, মিডিয়ার ভূমিকাও ফেলে দেওয়া যায় না।’ ভোট উৎসবের আবহ তরুণদের মধ্যে ‘ফিরিয়ে আনা গেলে’ অচিরেই একটি ‘কলুষমুক্ত’ নির্বাচন প্রক্রিয়া আসবে বলে তিনি আশাবাদী।

সর্বশেষ খবর