আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, এ দেশের উন্নয়ন, অর্জন, গণতন্ত্র, মুক্তিযুদ্ধ, স্বাধীনতা যদি রক্ষা করতে চান এবং দেশকে যদি ভালোবাসেন তাহলে ক্ষমতার মঞ্চে শেখ হাসিনার বিকল্প নেই। তিনি বলেন, তত্ত্বাবধায়ক সরকার আজিমপুর গোরস্থানে চিরনিদ্রায় শায়িত। ওই তত্ত্বাবধায়ককে আর ডাকবেন না। ওটা ঘুমিয়ে আছে। জাগবে না। গতকাল সকালে তেজগাঁওয়ে সড়ক পরিবহন ও মহাসড়ক বিভাগের আওতায় ১৫০টি সেতু, ১৪টি ওভার পাস, স্বয়ংক্রিয় মোটরযান ফিটনেস পরীক্ষা কেন্দ্র উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে তিনি এ কথা বলেন। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। ওবায়দুল কাদের বিএনপির উদ্দেশে বলেন, ২০০১ সালে ক্ষমতায় এসে কমিউনিটি হাসপাতাল বন্ধ করেছিলেন। শেখ হাসিনার অর্জন রাখলেন না। এবার পদ্মা সেতু ভাঙবেন? মেট্রোরেল ভাঙবেন? ইউরেনিয়াম বন্ধ করে দেবেন? শেখ হাসিনা সরকারের অর্জন আগে এক দিনে ১০০ সেতু উদ্বোধন, এবার ১৫০ সেতু উদ্বোধন করলেন।

তিনি বলেন, আন্দোলনে সরকারের পতন হয়, আমাদের দেশে ’৬৯-এর আন্দোলনে হয়েছে, এরশাদ সাহেবেরও পতন হয়েছে। বিরোধী দলের পতন কি হয় না? বিএনপি কতবার চেষ্টা করল, সব আন্দোলনে ফেল করল, বিরোধী দলেরও তো পতন হয়। আমাদের দেশে নেতিবাচক রাজনীতিতে বিরোধী দল বারবার পতনের দিকে গেছে। এখনো তারা বিপথে চলছে। ওবায়দুল কাদের বলেন, ১৫ বছর আগের বাংলাদেশ আর এখনকার রূপান্তরিত বাংলাদেশের দিকে তাকান। এ রূপান্তরের রূপকার এখানে বসে আছেন। এ রূপান্তর বিশ্বের বিস্ময়। দেশের জন্য এ মানুষটি নিজের সুখ-শান্তি থেকে শুরু করে সবকিছু বিসর্জন দিয়েছেন। তিনি দায়িত্ববোধ নিয়ে কাজ করেন। বিএনপির প্রতি ইঙ্গিত করে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, একটা দল আছে যারা দিন-রাত বিষোদগার করে। আমাদের প্রধানমন্ত্রীকে ব্রিটেনের প্রধানমন্ত্রী কীভাবে সম্মান করে এরা কি দেখেনি? বহু প্রধানমন্ত্রী জি-টুয়েন্টিতে গেছে। আমেরিকার প্রেসিডেন্ট তো নিজেই সেলফি তুলেছেন। জি-টোয়েন্টিতে তুলেছেন, নিউইয়র্কেও তুলেছেন। তিনি তো অন্য কারও সঙ্গে তোলেননি। আমাদের সমর্থন করছে, আমরা সেজন্য আনন্দিত নই। শেখ হাসিনাকে গুরুত্ব দিয়েছে, গুরুত্বের মানেটা কী, এখানে সেটাই হচ্ছে বিবেচনার বিষয়। সমর্থনের কথা বলে লাভ নেই।

তিনি আরও বলেন, প্রধানমন্ত্রী কোন দুঃখে পদত্যাগ করবেন? কী কারণে? বাংলাদেশে বসে বিএনপি যাদের কথায় উৎসাহ পাচ্ছে সেই দেশের গুরুত্বপূর্ণ সংস্থা আইআরআই বলেছে, বাংলাদেশে বর্তমানে ৭০% লোক শেখ হাসিনার পক্ষে।